বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “শয়তানের বহুমুখী আক্রমণ মোকাবেলা করে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। শয়তান আমাদেরকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। তাই সে আমাদের সাথে লেগেই থাকে। এই শয়তান থেকে বাঁচতে আমাদেরকে মজবুত ঈমানের অধিকারী হতে হবে।”
১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানা আয়োজিত কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার। উক্ত শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ ইলিয়াস, মুহাম্মদ এরশাদুল ইসলাম ও জামায়াত নেতা নুর হোসেন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “মহান আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়ে আখেরাতে চিরস্থায়ী সফল হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। রূহের জগৎ হতে আমরা প্রত্যেকে দুনিয়ায় এসেছি পরীক্ষা দেয়ার প্রয়োজনে। সে পরীক্ষায় ব্যর্থতা যেন আমাদের জাহান্নামের অধিবাসী না করে দেয়।”
তিনি বলেন, “পরকালের জবাবদিহিতা নিয়ে ইকামাতে দ্বীনের কাজ করতে হবে। মুমিনের পরকালের জীবনের সফলতাই প্রকৃত সফলতা। ইসলামী অন্দোলনের ক্ষেত্রেও দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করা হবে। সবাইকে তার দায়িত্বের সঠিক জবাবদিহির মাধ্যমে নাজাত লাভ করতে হবে। আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ইকামাতে দ্বীনের কাজ করে যেতে হবে। মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। জীবনের প্রত্যেক ক্ষেত্রে কুরআনের বিধানকে অনুসরণ করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে দায়িত্বশীল ভাইদের কাজ করতে হবে।”
মহানগরীর নায়েবে আমীর নজরুল ইসলাম বলেন, “ঈমানের পরীক্ষার মাধ্যমে আমাদের প্রমান দিতে হবে যে, আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। পরীক্ষা-নীরিক্ষায় পাশ না করে ইসলামী আন্দোলন করা যাবে না। পরীক্ষার বিষয় আল্লাহ ঠিক করে দেন। যেমন তালুতকে বিজয়ের শর্তহিসাবে পানির পরীক্ষা করা হয়েছিল। খেলাফতের কাজকে অবহেলা করা যাবে না।”