বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সম্পাদক ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেছেন, নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার, সাজানো গায়েবি মিথ্যা মামলা দিয়ে হরহামেশাই হয়রানি করা, প্রশাসনিক রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিজেদের কুক্ষিগত করা, নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের গৃহপালিত করে রাখা, প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদেরকে শপথবদ্ধ রাজনৈতিক দলীয় কর্মীতে পরিণত করা, আলেম-উলামা ও নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অপশাসনের বহিঃপ্রকাশ। জাতির এ অভিশাপ থেকে মুক্তির জন্য নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের চলমান আন্দোলোনকে তিনি আরো বেগবান করার আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য নয় বরং দেশের মানুষের মৌলিক ও যৌক্তিক দাবিসহ অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলনে অতীতে যেমন ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষতেও থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
১৫ নভেম্বর বুধবার যশোর জেলা পূর্ব শাখার আয়োজনে জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফরের সঞ্চালনায় জরুরি দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার এক বৈঠকে যশোর জেলা পূর্বের ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসেবে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আজিজের নাম ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর যশোর জেলা পূর্বের আমীর মাস্টার মোঃ নূরুন্নবীকে তার কর্মস্থল বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইনস্টিটিউট, ঈদগাহ, যশোর থেকে প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ৫টি মটর সাইকেল যোগে ৭/৮ জনের সাদা পোশাকধারী ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায় এবং মনিরামপুর উপজেলার ১টি মিথ্যা সাজানো মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। আমি এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাঁর মুক্তি দাবি করছি।
দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আজীজুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।