কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া এদেশের জনগণ আর কোনো নির্বাচন মানবে না। বর্তমান আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেশকে একটি স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটবে ইনশাআল্লাহ। একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
২৩ জুলাই, রবিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে এবং জেলা আমীর আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে¡ ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আন্তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত ১৯৪১ সাল থেকে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে রাজনৈতিক অঙ্গণে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শত জুলুম-নির্যাতন, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি উপেক্ষা করে জামায়াত ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমীরে জামায়াতসহ ১০ জন জামায়াতের শীর্ষ নেতার জীবন কুরবানি, শত শত নেতাকর্মীর শাহাদাৎ ও হাজার হাজার জামায়াত নেতাকর্মীর আত্মত্যাগ ও কুরবানি এ আন্দোলনকে শাণিত করেছে। তিনি কারাগারে আটক আমীরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তির দাবি করেন।
আরো বক্তব্য রাখেন অঞ্চল টীম সদস্য মাওলানা আব্দুল খালেক, জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম ও অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফি, জলঢাকা উপজেলা আমীর মোখলেছুর রহমান, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি সাব্বির হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে জেলা কর্মপরিষদ, জলঢাকা উপজেলা কর্মপরিষদ (পুরুষ ও মহিলা) সদস্য এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের
দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।