দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। এই দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। জনগণ কেয়ারটেকার সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবে ইনশাআল্লাহ।
২৪ জুন শনিবার দিনব্যাপী শেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্সুয়ালি আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনে পরীক্ষা ছাড়া সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব নয়। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে মাল ও জানের কুরবানি অবশ্যম্ভাবী। জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ এই পরীক্ষার অন্যতম উপাদান। আমাদেরকে জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর নজরানা পেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন আল্লাহর সাহায্য। নিজেদেরকে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপযোগী করতে হবে এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে। আমাদেরকে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হিক্বমাহ অবলম্বন করে দাওয়াতি কাজ করে যেতে হবে। এ পথে যত কঠিন বাধাই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। ইসলামী আন্দোলন ভীরু-কাপুরুষদের জন্য নয়। কেবল ঈমানের বলে বলিয়ান শার্দুল মুজাহিদরাই বিজয়ের তাজে চুম্বন করতে পারে।
শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম।