বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেছেন, পরিবেশ পরিস্থিতি যখন যাই হোকনা কেন দাওয়াতী কাজে বিরতী দেওয়া যাবেনা। পরিবেশ ঝুকিপূর্ণ হলেও দাওয়াতী কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কোন অবস্থায় দাওয়াতী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা যাবেনা। তিনি বলেন, মুসলমানদেরকে পরিশুদ্ধ মুসলিম হিসেবে গড়ে উঠার দাওয়াত এবং অমুসলিমদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পার্বত্য এলাকাতে উভয় শ্রেণীর মানুষের মাঝে দাওয়াতী কাজ করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে ভাষা- পরিবেশ এলাকার মানুষের মন-মানসিকতাকে সামনে রেখে উপযোগী কৌশলে দাওয়াতী কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ২৭ মে'২০২৩ইং বান্দরবান পার্বত্য জেলা জামায়াত কর্তৃক বাছাইকৃত কর্মীদের নিয়ে ভার্সুয়ালি আয়োজিত দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত আলোচনা পেশ করেন।
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, আমাদের সামনে রয়েছে বিশ্বনবী (সা.) সঙ্গী-সাথী। যারা দুনিয়ার বুকে একমাত্র সোনার মানুষ হিসেবে স্বীকৃত সেই সাহাবায়ে আজমাঈনদের উজ্জল জীবন ধারা। এ সকল সোনার মানুষগণ দাওয়াতী কাজ করতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। কিন্ত কোন অবস্থায় মহান আল্লাহর দুষমনদের কাছে মাথা নত করেননি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে সহজ-সরল জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলার আহবান জানান এবং মহান আল্লাহর আযাবের ভয়াবহতা উপলব্দী করে জীবন গড়া ও জীবন ধারণ করার আহবান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও বান্দরবান জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব এসএম আব্দুস ছালাম আজাদের সভাপতিত্বে ভার্সুয়ালী অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক জনাব উপধ্যক্ষ আবদুর রব, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জনাব জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল মোমেন।
প্রোগ্রামটি পরিচালনা করেন বান্দরবান জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম।