২৭ মে ২০২৩, শনিবার

নরসিংদী জেলা জামায়াতের উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্যদের শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না- মাওলানা এটিএম মা’ছুম

ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ কেয়ারটেকার সরকার চায়। এজন্য জনগণ যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। জনগণকে জিম্মি করে রাখা এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। গাজিপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। তাসত্ত্বেও তারা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারেনি। জালেম সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করে লুটপাট-দুর্নীতি, দুঃশাসন আর অর্থ পাচার করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্যদের শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সজাগ-সচেতন থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে হবে। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জামায়াতকে গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জনমত তৈরি করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় নেতৃবৃন্দকে কাক্সিক্ষত ভূমিকা রাখতে হবে। সংগঠনের সকল স্তরে উন্নত নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে মাঠ পর্যায়ে মজবুত সংগঠন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

নরসিংদী জেলা আমিরর মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব হামিদুর রহমান আযাদ ও মাওলানা আবদুল হালিম।

জনাব হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আধুনিক, যুগোপযোগী ও জন চাহিদা সম্পন্ন সংগঠন প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের বাস্তবতা। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে সকল স্তরে স্মার্ট সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ন্যায়ানুগ সমাজ গঠনে কাক্সিক্ষত ও প্রত্যাশিত ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। ত্যাগ ও কুরবানীর মাধ্যমে নেতৃবৃন্দকে নজির সৃষ্টি করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। দুনিয়া মুখী নয়, আখেরাতমুখী জনশক্তি সংগঠনের সম্পদ। আমাদেরকে তাক্বওয়া সম্পন্ন ও আল্লাহর রঙে রঙিন একদল মুমিন তৈরীর কাজকে বেগবান ও গতিশীল করতে হবে।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, সকল স্তরে দ্বীনের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে হবে। দাওয়াতি দ্বীনকে জীবনের অনুষঙ্গ করতে হবে। দাওয়াতকে যুগের চাহিদা উপযোগী করতে হবে। উত্তম কথা, হিকমাহ, সুন্দর উপস্থাপন ও মাওয়িযাতুল হাসানাহর মাধ্যমে দাওয়াতকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। এদেশের মানুষ ইসলামের প্রতি অনুরক্ত। তারা ইসলামকে জীবনে ধারণ করে এবং ধর্মকে মানে। তাদের মধ্যে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার অনুরাগ ও অনুপ্রেরণা জাগাতে হবে। ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় দাওয়াতের কোনো বিকল্প নেই।

জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় শিক্ষা শিবিরে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।