২৭ মে ২০২৩, শনিবার

যশোর পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

জামায়াতের কর্মীদেরকে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠন করতে হবে- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

যশোর পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা শাখার উদ্যোগে ২৭ মে (ভার্চুয়াল) কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমির মাওঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওঃ শিহাব উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদেরকে কোরআন হাদিসের আলোকে আত্মগঠনে বলিয়ান হতে হবে। মনে রাখতে হবে দুনিয়া আমাদের আসল ঠিকানা নয়, আখিরাতই হলো আমাদের আসল ঠিকানা। রেল স্টেশনে মানুষ যেমন থাকার জন্য যায় না, তেমনি এই দুনিয়াও আমাদের জন্য থাকার জায়গা নয়। আমাদেরকে জান্নাতের পাথেয় সংগ্রহ করতে হবে। কবর আমাদের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে। আমরা দুনিয়ার সন্তান নই, আমরা আখেরাতের সন্তান।

তিনি আরো বলেন, রাসূল (সাঃ) এর শিখানো দোয়া পড়ে আমাদের সকালের কার্যক্রম শুরু করতে হবে। আযান এর সাথে সাথে মসজিদে সালাতে শরিক হতে হবে। তিনি সূরা হজ্জের ৪১ নম্বর আয়াত উপস্থাপন করে বলেন, ক্ষমতাসীনদের চারটি কাজ এক. সালাত কায়েম, দুই. যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি প্রবর্তন, তিন. শিষ্টের লালন, চার. দুষ্টের দমন। কিন্তু বর্তমান সরকার তা-না করে ১৪ বছর ধরে উলটো শিষ্টের দমন ও দুষ্টের লালন করে সীমাহীন অপরাধ করে চলেছে।

তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মীদেরকে ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠন করতে হবে। যোগ্য কর্মী তৈরিতে ভূমিকা পালন করতে হবে। কোরআন-সুন্নাহর বিধানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কায়েম করতে হবে। সে জন্য প্রয়োজন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থাপনা। জামায়াতের উদ্ভাবিত কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলার সাথে একাত্ম হয়ে ১৯৯৩ সালে আওয়ামীলীগ যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। পরবর্তীতে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সেই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দেশকে গভীর সংকটে নিক্ষেপ করেছে। এখন সেই কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতিতে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আগামী আন্দোলনে জামায়াতের কর্মীদেরকে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ বেআইনীভাবে আটক সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে হবে। শাহাদাতের যযবা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। “আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো বিপদাপদ আসে না।” কোরআনে কারীমের এই আয়াত সামনে রেখে জেল-যুলুম, অত্যচার, অবিচারের পরওয়া না করে আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হুসাইন ও জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান