বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, মানবতার মুক্তি ও একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের তৃণমূল দায়িত্বশীলদেরকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। আখিরাতে নাজাতের জন্য নিজেদের নৈতিক মান উন্নত করতে হবে। দাওয়াতি কাজ ও সংগঠন সম্প্রসারণে ইউনিট সভাপতিদেরকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই সাথে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে।
১২ মে শুক্রবার সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা ভারপ্রাপ্ত আমীর মাওলানা আব্দুছ ছালামের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রায় দুই সহস্রাধিক ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলগণ অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবুদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও বগুড়া অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আলী আলম প্রমুখ।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, দায়িত্ব সম্পর্কে সবাইকে আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে জবাবদিহি করতে হবে। নবী ও সাহাবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে দ্বীনের পথে নবী-রাসূলগণ দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। তিনি উপস্থিত ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারিদেরকে ইসলামী আন্দোলনের পথে নবী ও রাসূলগণের উত্তরসূরি হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন এবং নিজেদেরকে ইসলামী আদর্শ ও নৈতিক মানে সমৃদ্ধ করারও আহবান জানান।
তিনি আরো বলেন, জেলে আটক আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমান, নায়েবে আমীর মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, উল্লাপাড়া ও সিরাজগঞ্জের কৃতিসন্তান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেলারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর জনাব শাহজাহান চৌধুরী ও সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর মাওলানা শাহীনূর আলমসহ আমি সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করছি। সরকারের জুলুম-নির্যাতন বন্ধ এবং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন দ্বীন কায়েমের আন্দোলনকে বেগবান ও বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউনিট দায়িত্বশীলদেরকে তৃণমূল সংগঠনকে শক্তিশালী ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেদের জানমাল কুরবানী করার মানসিকতা নিয়ে ময়দানে ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
ভারপ্রাপ্ত জেলা আমীর মাওলানা আব্দুছ ছালাম সম্মেলন সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভূমিকা পালন করেছেন তাদের এবং উপস্থিত সকল ইউনিট দায়িত্বশীলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে ইউনিট সভাপতি ও সেক্রেটারিদেরকে ময়দানে জোরালো ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনূর আলম এবং সারাদেশে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন।