৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত আয়োজিত রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

নৈতিক মানবীয় গুণাবলী অর্জন ছাড়া দ্বীন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়- মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেছেন, নৈতিক মানবীয় গুণাবলী অর্জন ছাড়া দ্বীন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মুয়ামেলাতের বিধিনিষেধ আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। আল্লাহ পাকের হক এবং বান্দার হক দুইটির বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। মুয়ামেলাতের বিধিনিষেধ মেনে চললে ইসলাম তার জন্য আলাদা পুরস্কার ও সওয়াবের ঘোষণা দিয়েছে। তিনি বলেন, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মাধ্যমে একটি সোনালী সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর জোন ১, ২ ও ৫ আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা'ছুম। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান।

মাওলানা এটিএম মা'ছুম বলেন, দেশ ও জাতির ঘাড়ে এক অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ও বাকশালী শক্তি জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। এমতাবস্থায় দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। অন্যথায় ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করা যাবে না। তাই আগামী দিনে দেশের এই বঞ্চিত মানবতাকে উদ্ধারের জন্য সংগঠনের দায়িত্বশীলদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, সাংগঠনিক স¤পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।

মুহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, চট্টগ্রাম রাজনৈতিকভাবে দেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সুতরাং এখানে কাজ করতে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। প্রত্যেক পাড়ায়-মহল্লায় সকলের কাছে দাওয়াত দেয়ার ক্ষেত্রে আরো তৎপর হতে হবে। আন্দোলন সফল করতে মজবুত সাংগঠনিক ভিত্তির কোনো বিকল্প নেই। সেইসাথে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়তে দায়িত্ব নিতে হবে। পরিবার রাষ্ট্র সমাজ সবক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ও নৈতিকতা স¤পন্ন মানুষ তৈরি করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, মানুষের হেদায়াতের জন্য দায়িত্বশীল হিসেবে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।

মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, গণভিত্তি গড়ে তোলা ছাড়া দ্বীনের বিজয় সম্ভব নয়। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা দুইটি টার্গেট সামনে রেখে কাজ করে, একটি জাগতিক ও অন্যটি পরকালীন। জাগতিক টার্গেট হচ্ছে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা, আর পরকালীন টার্গেট হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি। দ্বীন বিজয়ী হয়েছে এটি দুনিয়ায় দেখে যাব এমন গ্যারান্টি নেই, কিন্তু পরকালে আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনই আমাদের মূখ্য বিষয়। একটি সংগঠন যতই মজবুত ও সুশৃঙ্খল হোক না কেন, সংগঠনের যদি গণভিত্তি না আসে, এই সংগঠনকে দিয়ে দ্বীন বিজয় সম্ভব না।

তিনি শিক্ষাশিবিরের ডেলিগেটদের ৩টি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংগঠনভুক্ত সকল লোকের চিন্তা ও আকিদার পরিশুদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ, উন্নত আমল-আখলাক গঠনের গঠনের জন্যে জনশক্তির নিবিড় পরিচর্যা এবং সংগঠনের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ পর¯পর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ করা।