২৪ মার্চ ২০২৩, শুক্রবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরী জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে সহযোগী সদস্য সম্মেলন'২৩ অনুষ্ঠিত

জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণের জন্য ইকামতে দ্বীনের কাজে আরো অগ্রসর হতে হবে- ডাঃ তাহের

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, “জান্নাতের সুসংবাদ গ্রহণ করতে হলে দ্বীন কায়েমের পথে আমাদেরকে আরো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে অগ্রসর হতে হবে। কেবল আন্দোলনের খাতায় সহযোগীর নাম লেখালে জীবনে সফলতা আসবেনা। এজন্য আমল এবং কর্মের পরিবর্তন আনতে হবে, যেমন পরিবর্তন এনেছিলেন নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরাম এবং তাদের উত্তরসুরিগন।

তিনি বলেন, সহযোগী সদস্য ইসলামে কোন মূল্য নেই, মূল্য হচ্ছে আমল এবং আখলাকের। জামায়াতে ইসলামীতে সহযোগী সদস্য হিসেবে যোগদান করার পর সকলেরই উচিত নিয়মিত কোরআন, হাদিস, ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন এবং নবী রাসূলদের জীবনী ও সাহাবায়ে কেরামদের জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দ্বীন কায়েমের পথে কাঙ্খিত ভূমিকা রাখা। তাই নিজেদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী আমলের পরিবর্তন, কাজের পরিবর্তন , ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে ময়দানে আরো বেশি ভূমিকা রাখার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

২৪ মার্চ ২০২৩ ইং রোজ শুক্রবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলার যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়ালী সহযোগী সদস্য সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরী আমীর, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবদুল জব্বারেরর সভাপতিত্বে ও মহানগরী সেক্রেটারি মুঃ আবদুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের উপরোক্ত কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মু্ঃ মুমিনুল হক সরকার।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববর্তী শহর হওয়ার কারণে তার রাজনৈতিক গুরুত্ব যেমন বেশি তেমনি দ্বীন কায়েমেও এ অঞ্চলের গুরুত্ব রয়েছে। রাসূল সাঃ যেখান থেকে দাওয়াতি কাজের সূত্রপাত করেছিলেন তা ছিল একটি শহর এবং যেখানে তিনি হিজরত করে বিপ্লব সাধন করেছেন সেটাও ছিল শহর। তাই নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে কাজের সফলতা আসলে তা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে। এজন্য পবিত্র মাহে রমজানে নিজেদের আত্মগঠন করে ময়দানে একজন মুজাহিদ হিসেবে ভূমিকা রাখার জন্য সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মইনুদ্দিন আহমদ বলেন, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদেরকে তাঁর খলিফা হিসাবে এই দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং রাসুল (সঃ) হলেন আমাদের শিক্ষক ও নেতা । তাঁর দেখানো পদ্ধতিতে আমাদের দ্বীন কায়েমের কাজে আরো অগ্রসর হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ মমিনুল হক সরকার বলেন, দ্বীন কায়েমের চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই, তাই যারা সহযোগী হিসেবে আছি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে আমাদেরকে কুরআনের পথে আরও অগ্রসর হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, জমায়াতে ইসলামীর সহযোগী হিসেবে যারা আজকের সম্মেলনে যোগদান করেছেন তারা ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনকে জানার জন্য কোরআন হাদিস এবং সাহিত্য অধ্যায়নের মাধ্যমে নিজেকে গঠন করতে হবে। বিশেষ করে মাহে রমজানকে প্রশিক্ষণের মাস হিসাবে কাজে লাগাতে হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য নারায়নগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারি মোঃ জাকির হোসাইন, মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ জামাল হোসেন, জেলা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোঃ আবু সাঈদ মুন্নাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।