বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জামালপুর জেলা শাখার সদস্য (রুকন) সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, “জামায়াত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত রাস্তায় সংগ্রামরত আল্লাহর বান্দাহদের দ্বারা পরিচালিত একটি জনসম্পৃক্ত দল। কারো জিঘাংসা বা দুশমনিতে এর অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে না। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে রয়েছে জামায়াতের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক অবদান। সীমাহীন জুলুম-অত্যাচার আর বৈরী পরিস্থিতিতে গড়ে ওঠা জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রী পদে থেকে আমানতদারী, আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা, কর্মীদের ত্যাগ-কুরবানি আর আল্লাহর কাছে ঝড়ানো চোখের পানিতে বিকশিত এ সংগঠন এ দেশেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সংসদেই জনগণ ভোট দিয়ে জামায়াত নেতাদেরকে প্রতিনিধি করে জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছে। জামায়াতের শিকড় জনগণের হৃদয়ের গভীরে। কাজেই যাদের নাম ছাড়া কোনো অস্তিত্ব নেই, কোনো পর্যায়ের কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হবার দৃষ্টান্ত নেই, এমন ব্যক্তিদের আবদারে জামায়াতের রাজনৈতিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হতে পারে না। এ ধরনের যে কোনো বেআইনী ও গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জামায়াত সব ধরনের নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগ পন্থা অনুসরণ করবে এবং এ সব অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি জামালপুর জেলার এক বিশেষ সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব বলেন। জামালপুর জেলা জামায়াতের আমীর কবীর আহমদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি এডভোকেট আবদুল আওয়ালের সঞ্চালনায় স্থানীয় এক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী। এতে বক্তৃতা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ময়মনসিংহ অঞ্চল টীমের সদস্য মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া। জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা এবং ময়মনসিংহ অঞ্চল টীমের সদস্য ও জামালপুর জেলার সাবেক আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী এবং জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা খলিলুর রহমান মন্ডলসহ জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং এ জন্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বেগবান করার আহবান দানান। সেই সাথে জামায়াতের নেতৃত্বে একটি ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশগ্রহণের আহবান জানান।
