রাজনীতির প্রধান নিয়ামক শক্তি হচ্ছে মানুষ। আমরা যে ভূখণ্ডে বাস করি সেই ভূখণ্ডের মানুষের ইতিহাস জানতে হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনগণই ক্ষমতার উৎস বলা হলেও বাস্তবে প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন, বিভিন্ন বাহিনী, আমলা ও আন্তর্জাতিক শক্তি এদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দল ও দর্শন নাস্তিক্যবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাদ, জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম এই চার ভাগে বিভক্ত।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬ ও ২৭ আগষ্ট দুই দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আমীর মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “১৯৮৮ সালের নির্বাচন ছিলো জঘন্য। বিশটি হুন্ডা, চল্লিশ জন গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা এই শ্লোগানটি শুরু হয়েছিলো ঐ সময়। এসময় মেজর কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।
আওয়ামীলীগ পূর্বেও যেমন বেপরোয়া দল ছিলো, এখনও তারা বেপরোয়া। সকল রাজনৈতিক শক্তি একত্রে হোক বা যুগপৎভাবে হোক আন্দোলন করা দরকার। সকলে মিলে একটি শক্তিশালী গণ আন্দোলন গড়ে তুলে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে জনগণ কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।”
শিক্ষাশিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহি পরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াতের স্থায়ী কর্মসূচী ও কর্মনীতি কুরআন ও হাদিসের আলোকে প্রণীত। এই সংগঠনের কাঙ্ক্ষিত মান ঠিক রাখতে হলে আমাদেরকে আখেরাত ভিত্তিক তৎপরতা চালাতে হবে। আমাদের কাজের মধ্যে কোনো কৃত্রিমত্তা রাখা যাবে না। খুলুসিয়াতের সাথে সব কাজ করতে হবে। ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে। কথা ও কাজে মিল রাখতে হবে। ক্ষমা ও উদার মন নিয়ে সংগঠনের কাজে রুকনদের ভূমিকা পালন করতে হবে।”
দুই দিনব্যাপী শিক্ষাশিবিরে জেলা নায়েবে আমীর, জেলা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা আমীর ও রুকনগণ অংশগ্রহণ করেন।