২৭ আগস্ট ২০২২, শনিবার

ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলা ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বের জন্য ত্যাগ ও কুরবানি অপরিহার্য- মতিউর রহমান আকন্দ

প্রত্যেক পরিবর্তনের পেছনে ঐ আন্দোলনের কর্মী এবং নেতৃত্বের সীমাহীন ত্যাগ-কুরবানি রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব ত্যাগ-কুরবানি ছাড়া সম্ভব নয়। এই আন্দোলনের যে কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বের আসনে যারা রয়েছেন, তাদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ-কুরবানি ও ঈমানের পরীক্ষা দিতে হবে- এটাই স্বাভাবিক। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামগণ ত্যাগ-কুরবানির নজরানা পেশ করেছেন এবং দৃষ্টান্তমূলক পরীক্ষা দিয়েছেন। পৃথিবীর কোনো বিপ্লবই ত্যাগ-কুরবানি ছাড়া সফল হয়নি। ১৯১৭ সালের সোভিয়েত বিপ্লব, ১৯৭৯ সালের ইরানের ইসলামী বিপ্লবও লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে সফল হয়েছে।

২৬ ও ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ অঞ্চলের জেলা ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ উপরোক্ত একথা বলেন। শিক্ষাশিবিরে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ডঃ সামিউল হক ফারুকী।

এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, “ইসলামী বিপ্লব জানমালের কুরবানি ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের কোনো রসম-রেওয়াজ এখানে বাধা হতে পারবে না। এমনকি নিজের জীবনের চেয়েও ভালবেসে যাদেরকে বুকে আগলে রাখি, সেই সন্তান-সন্ততি, পিতা-মাতা, ধন-সম্পদ ইত্যাদির মোহ ত্যাগ না করলেও ইসলামী বিপ্লব সম্ভব নয়। এক কথায় ইসলামী বিপ্লব সাধনে আমাদেরকে সবকিছুর ঊর্দ্ধে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদেরকে সর্বোচ্চ কুরবানির নজরানা পেশ করে শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ ভূমিতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা নিরব হবনা, নিথর হবনা, যত দিন না ইসলামকে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে দেখতে পাব।”

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল, ময়মনসিংহ জেলা আমীর মোঃ আব্দুল করিম, জামালপুর জেলা আমীর এডভোকেট নাজমুল হক সাঈদী, নেত্রকোনা জেলা আমীর অধ্যাপক এনামুল হক, কিশোরগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যাপক রমজান আলী, শেরপুর জেলা আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান।