১৯ আগস্ট ২০২২, শুক্রবার

গাজীপুর জেলা জামায়াতের ইউনিট সভাপতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

দাওয়াতি তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইসলামকে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে- মতিউর রহমান আকন্দ

উত্তম ভাষা ও হিকমতের সাথে মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান জানানোর মাধ্যমে গণজাগরণ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে ইসলামকে একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

১৯ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর জেলা শাখা আয়োজিত ইউনিট সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি জনাব মতিউর রহমান আকন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

জেলা আমীর ড. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ্যাডভোকেট মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল। আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. ছামিউল হক ফারুকী, মাওলানা আব্দুল হাকিম, শেফাউল প্রমুখ।

জনাব মতিউর রহমান আকন্দ রলেন, “মহান রাব্বুল আলামীন ইসলামকে অন্য সকল মতাদর্শের উপর একটি বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ দুনিয়ায় লক্ষাধিক নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তাঁরা দ্বীন বিজয়ের লক্ষে কাজ করেছেন। এ মহান দায়িত্ব পালনের সূচনা হয়েছিল দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে। সকল নবী-রাসূলগণ এক ও অভিন্ন ভাষায় দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁদের দাওয়াত ছিল, ‘হে মানবমণ্ডলী, এক আল্লাহর দাসত্ব মেনে নাও।’ নবীদের দাওয়াত ছিল নিঃস্বার্থ। কোনো কিছুর বিনিময়ে তাঁরা দাওয়াতি কাজ করেননি। তাঁদের বক্তব্য ছিল ‘এ কাজের জন্য আমরা কোনো প্রতিদান চাই না, আমাদের প্রতিদান আল্লাহর কাছে।’

তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশ এক ভয়াবহ সংকটে নিপতিত। এ সংকট থেকে আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র ইসলাম। ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে মানুষের দুঃখ-দুর্দশার অবসান ঘটতে পারে। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, ‘জনপদের লোকেরা যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এ তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করে, তাহলে আসমান ও জমিন উভয় দিক থেকে তাদেরকে বরকত দান করবেন।’

তিনি বলেন, ইসলাম বিজয়ী হবার জন্য এসেছে। অন্যায়-অসত্য ও মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার করতে আসেনি। ইসলাম মানেই অন্যায়, অবিচার ও জুলুমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। ইসলাম মানে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন। একজন মুসলমান আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করতে পারে না। আমাদেরকে শুধু আল্লাহর নির্দেশই মানতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দুনিয়ায় কোনো আদর্শই ত্যাগ-কুরবানী ব্যতীত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইসলামী জীবন বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য সাহাবায়ে কেরাম নির্যাতিত হয়েছেন। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের নেতৃবৃন্দ শাহাদাত বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আমাদেরকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।”