বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীন (৫৬) শনিবার দিবাগত রাত ১২.৪৫ মিনিটে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পাগলাপীর নামক স্থানে পৌঁছার পর হৃদযন্ত্রে ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। ইন্তিকালের সময় তিনি-স্ত্রী দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্নীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
ইন্তিকালের খবর পেয়ে আজ ২৮ মে সকাল ১১.৩০ মিনিটে মরহুমের বাড়িতে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম। তিনি মরহুমের পরিবারের সকলের খোঁজ-খবর নেন এবং সমবেদনা জানিয়ে ধৈর্য্য ধারণের পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি উপস্থিত সকলকে নিয়ে মরহুমের আত্বার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দো’য়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন।
পরে আজ দুপুর ২.৩০ মিনিটে মরহুমের জানাযার নামাজ স্থানীয় ইকরচালী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বেলাল। তিনি ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম এর পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলের কাছে সালাম পৌঁছে দেন এবং মরহুমের জন্য দো’য়া চান। আরও বক্তব্য রাখেন, রংপুর মহানগরী আমীর উপাধ্যক্ষ মাওঃ এটিএম আজম খান, রংপুর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, মহানগর সাবেক নায়েবে আমীর অধ্যাপক শাহ মোঃ নুর হোসাইন, জেলা সাবেক নায়েবে আমীর অধ্যাক্ষ মুহাম্মদ আবদুল গনি, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোঃ এনামুল হক।
বক্তাগণ বলেন, মরহুম জয়নাল আবেদীন ছিলেন একাধারে একজন দ্বীনি আন্দোলনের ত্যাগি দায়িত্বশীল, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ ও গণমানুষের নেতা। তারা আরো বলেন, আজকের এই ব্যাপক উপস্থিতিই প্রমাণ করে, তিনি একজন সৎ, আল্লাহভীরু ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন। সকলেই মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের জন্য সমবেদনা জানান।
জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও তারাগঞ্জ উপজেলা তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মোঃ রায়হান সিরাজীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইকরচালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী, মরহুমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, সৈয়দপুর পৌর শাখার আমীর ও ইকরচালী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মরহুমের বড় ভাই ও ছোট ভাইসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।