১। নীতি নির্ধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটি মজলিসে শূরা থাকিবে। এই মজলিসের নাম হইবে ‘কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা’ অথবা ‘মজলিসে শূরা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কার্যকাল হইবে তিন বৎসর।
৩। বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ পরবর্তী মজলিসে শূরায় জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার নির্ধারণ করিবে।
৪। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নিম্নরূপে গঠিত হইবে ঃ
(ক) সারা দেশের সদস্যগণ (রুকনগণ) বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত জামায়াত সদস্যগণের (রুকনগণের) প্রতিনিধিত্বের আনুপাতিক হার মোতাবেক মজলিসে শূরার সদস্য নির্বাচন করিবেন, কিন্তু কোন সাংগঠনিক জেলা প্রতিনিধিত্ব হইতে বঞ্চিত হইবে না।
(খ) বিদায়ী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হারে কেন্দ্রীয় ইউনিটের প্রতিনিধিত্ব থাকিবে।
(গ) ৪নং উপধারার ক ও খ অনুযায়ী নির্বাচিত মজলিস সদস্যগণ দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশের সদস্যগণের (রুকনগণের) মধ্য হইতে ত্রিশ জন মজলিস সদস্য নির্বাচিত করিবেন।
(ঘ) মজলিসে শূরার সদস্য নন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এমন সদস্যগণ পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
(ঙ) কেন্দ্রীয় মহিলা মজলিসে শূরার সকল সদস্য কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৫। (ক) আমীরে জামায়াত পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সভাপতি হইবেন।
(খ) সেক্রেটারী জেনারেল (যদি মজলিসে শূরার সদস্য না হইয়া থাকেন) পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হইবেন।
৬। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কোন আসন শূন্য হইলে তিন মাসের মধ্যে উহা পূরণ করিবেন।
৭। (ক) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর এক মাসের মধ্যেই আমীরে জামায়াত নির্বাচিত মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিবেন এবং এই অধিবেশনে মজলিসে শূরার প্রত্যেক সদস্য আমীরে জামায়াতের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
(খ) কোন কারণে যদি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয়, তাহা হইলে মজলিসে শূরার সদস্যগণ একত্রে অথবা পৃথকভাবে আমীরে জামায়াত অথবা তাহার প্রতিনিধির সম্মুখে শপথ গ্রহণ করিবেন।