১ জানুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, ১১:৫০

ঠাণ্ডার প্রকোপ আরো হ্রাস, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে আজো

ঠাণ্ডার প্রকোপ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে যদিও গতকালও দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। কেবল মাত্র পঞ্চগড় জেলা ছাড়া দেশের কোথায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ নেই। মওসুমের একটি স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকদিন যাবত অবস্থান করছিল। কিন্তু গতকাল এটা উত্তর বঙ্গোপসাগরেও বিস্তৃত হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিমের হিমালয় পেরিয়ে যে হিম শীতল বায়ু উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপ বলয় আকারে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল তাতে লঘুচাপের প্রভাব স্পষ্ট। ফলে ২৯ ডিসেম্বর যেখানে কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া যেখানে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা মৃদু থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আওতায় ছিল সেখানে গতকাল রংপর বিভাগের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ছিল।

আজ মঙ্গলবার সারা দিনই পঞ্চগড় জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, নওগাঁ, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ বিভাগ ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে গত রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে। দিনের তাপমাত্রাতে এর কিছুটা প্রভাব পড়বে, দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ফলে আজ হয়তো শৈত্যপ্রবাহের আওতা আরেকটু হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ডিমলা ও রাজারহাটেও তুলনামূলক তাপমাত্রা কম ছিল। উল্লিখিত এই চারটি স্থানে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৭.৫, ৮.২, ৮ ও ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।

রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/377079