১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:২৫

পরিবর্তনের প্রত্যাশা

দেখা অদেখা

সালাহউদ্দিন বাবর
একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে এবার যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের বিষয় সম্পত্তির যে হিসাব পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে; বিশেষ করে এখন যারা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের অর্থবিত্ত যে হারে বেড়েছে, তাতে মনে করা যেতে পারে, তারা সংসদ সদস্য হতে পারলে সাথে সাথে রূপকথার আলাদিনের চেরাগও হাতে পেয়ে যাবেন। তাই প্রশ্ন হতে পারে, এমপি হয়ে তারা দেশের সেবা করবেন নাকি চেরাগ নিয়ে ব্যস্ত হবেন? ‘চেরাগ সেবা’য় ব্যস্ত থাকলে অবশ্যই অর্থসম্পদের তরক্কি হবে, দেশের কিছু হোক আর না হোক। এই হিসাবপাতির তথ্য পাওয়া থেকে এটাও স্পষ্ট যে, রাজনীতি এখন আদর্শ চর্চার পর্যায়ে নেই, বরং লাভজনক পেশার পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে পেশাজীবী হতে হলে সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতিকে ‘পেশা’য় পরিণত করতে হলে এসব বিদ্যাবুদ্ধির বিশেষ প্রয়োজন হয় না। আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, পেশাজীবীদের অর্থবিত্ত অর্জনের পথ-পদ্ধতির জন্য সরকারি সংস্থার কাছে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু হালে রাজনীতিকে পেশা করে নিলেও এসব ব্যক্তির হিসাব দেয়ার বালাই নেই। এ জন্য মনে হতে পারে, এই আইন প্রণেতারা নিজেদের সব আইন কানুনের ঊর্ধ্বে মনে করেন। অথচ যারা সংসদ সদস্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অন্যতম হচ্ছে, রাষ্ট্র ও সমাজে সুনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য আইন-কানুন ও বিধিবিধান রচনা করা এবং এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া। রাষ্ট্রে তিন অঙ্গের একটি, আইন বিভাগের সদস্য হিসেবে তাদের তৈরি করা নীতিমালা অনুসারে নির্বাহী বিভাগ দায়িত্ব পালন করছে কি না তার জবাবদিহি নিতে হয়। গত পাঁচ বছর যারা সংসদ সদস্য, তাদের এই কাজের যদি মূল্যায়ন বা পর্যালোচনা করা হয়, দেখা যাবে যে, তারা এমন দায়িত্ব পালনেও কোনো মনোযোগ দেননি। নির্বাহী বিভাগ কিভাবে রাষ্ট্র চালিয়েছে, তার কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় নির্বাহী প্রশাসন একচ্ছত্রভাবে নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। লাগাম ধরার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা রাষ্ট্রে অন্য যে অঙ্গগুলো রয়েছে, তাদের ওপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করেছে। এতে সেসব সংস্থার স্বাধীনতা ুণœ হয়েছে। সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের আয় রোজগারের হিসাবটা যদি তুলে ধরা হয়, তবে এক করুণ চিত্র ফুটে উঠবে। গত ১০ বছরে দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি বৈষম্য হয়েছে বিস্তর। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষ এই বলয় ডিঙ্গাতে পারেনি। সমাজে জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি অনিয়ম অবিচারের শিকার হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। সমাজের এই অবক্ষয় রোধের জন্য বিত্ত ও ক্ষমতার অধিকারীদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা নিজেদের পারিবারিক আয় উন্নতির কথাই কেবল ভেবে থাকেন।

রাজনীতিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে আজকাল শিক্ষাদীক্ষা বা কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। তাই আমাদের মধ্যে অনেক রাজনীতিক আসেন, যারা আর কিছু করতে না পেরেই রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছেন। তবে আগে এমনটি ছিল না, দেশে যারা তখন রাজনীতিতে আসতেন তাদের বেশির ভাগই জনসেবা ও দেশ গড়ার সুমহৎ আদর্শ নিয়ে আসতেন। এখন অবস্থা ঠিক উল্টো। হালে বেশির ভাগই রাজনীতিতে পা রাখেন ক্ষমতা প্রভাব এবং বিশেষত অর্থবিত্ত অর্জনের জন্য। আর স্বল্পসংখ্যক পূর্বসূরিদের মতো আদর্শ লালন করতে রাজনীতিতে আসেন। তাই রাজনীতিতে আর ভালো-মন্দের ভারসাম্য থাকছে না। সে জন্য সমাজে মন্দের অনুকূলে সব কিছু ঘটছে, অনিয়ম দুর্নীতি অব্যবস্থায় ছেয়ে গেছে সব কিছু। সুষ্ঠু রাজনীতির কোনো পথ পদ্ধতি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বয়স কিন্তু কম হয়নি। কিন্তু এ দীর্ঘ সময়ে আমরা তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি জাতি হিসেবে। এই ব্যর্থতার সান্ত্বনা কোথায়?

সংবিধান প্রবর্তনের সময় অধিকতর গণতান্ত্রিকব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। এ ব্যবস্থা বাতিল করে ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৯১ সালে পুনরায় সংসদীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় সবার সম্মতিক্রমে। সংবিধানে এ ব্যবস্থা সন্নিবেশিত হলেও এর যে মূল গণতান্ত্রিক চেতনা, তা আমাদের সরকার ও সংসদ সদস্যরা আজ পর্যন্ত আত্মস্থ করতে পারেননি। ফলে আজো দেশে সংসদীয় সংস্কৃতির প্রচলন হয়নি বলে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকশিত হতে পারেনি। পশ্চিমে এবং ভারতে সংসদের বিধিব্যবস্থার যে সুষ্ঠু বিন্যাস ঘটেছে, এখানে তা হয়নি। তাই রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থায় মারাত্মক গলদ তৈরি হয়ে আছে। ফলে নির্বাহী ও আইন বিভাগের সদস্যদের মধ্যে শিষ্টাচারের তেমন অনুশীলন নেই। এমনকি, এটা অনুশীলন করার মানসিকতাটুকুও কোনো বিভাগের মধ্যে নেই।

একটি জাতীয় দৈনিকের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়াসহ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্য আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পর প্রায় একদশক অতিবাহিত হলেও এই আচরণবিধি প্রণয়নের কাজ হয়নি। যেসব দেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু রয়েছে, সেসব দেশে আইন প্রণেতাদের জন্য এমন আইন রয়েছে। ২০১০ সালে তৎকালীন সংসদের একজন সদস্য বেসরকারি বিল আকারে এর একটি খসড়া সংসদে উপস্থাপন করেছিলেন। বিলটি আইন হিসেবে পাসের পক্ষে সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশও ছিল। তাতে বলা হয়েছে, জনগণের প্রতি সংসদ সদস্যদের যে দায়দায়িত্ব, তার প্রতিফলনের জন্য বাংলাদেশেও একটি আইন থাকা প্রয়োজন।
সুশাসনে অগ্রগতি ও জবাবদিহির জন্য সংসদ সদস্যদের কোনো বিধিবিধান না থাকায় এসব ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা পালন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না। সংসদে যখন কোনো বিষয় আলোচনা ও পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়, তখন সেখানে যুক্তিতর্ক প্রাধান্য পায় না। আলোচনাকালে প্রতিপক্ষের প্রতি আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে যে ভাষা ব্যবহৃত হয়, সেটা সব রকম শিষ্টাচার ও শালীনতা অতিক্রম করে যায়। সংসদের নীতি ও অনুশীলনের বিষয় নিয়ে তর্ক হয় না। বরং চলে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুৎসার অপচর্চা। এভাবে কোনো সংসদ চলে না। সংসদের সুষ্ঠু আলোচনার জন্য কার্যপ্রণালী বিধি রয়েছে। এই বিধি অনুসরণ করা হলে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সরকারের পথ-পদ্ধতির অনুসরণের ভুলত্রুটি চিহ্নিত করা এবং তা সংশোধনের পথ বাতলে দেয়া যেত। সংসদকে আলোচনা সমালোচনায় প্রাণবন্ত করে তুলতে এই বিধি অনুসরণ করা ছাড়া বিকল্প নেই। একজন সদস্যের সংসদের সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে এই বিধিচর্চা অপরিহার্য। সে কারণে দশম সংসদের সদস্যদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা বিশ্বাস নেই। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ হয়ে ওঠা উচিত জাতীয় রাজনীতির মূল কেন্দ্র। সে ভূমিকা পালনে দশম সংসদ ব্যর্থ। এর মূল কারণ হচ্ছে, সংসদের বিজ্ঞ ও বিরোধী দলের কোনো সদস্য না থাকা এবং সংসদীয় রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের প্রত্যাশিত মূল্য না দেয়া।

অসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন একটি নতুন কথা বেশ চাউর হয়েছে। সেটা হলো ‘মনোনয়ন বাণিজ্য’। বিশেষ করে, একটি দলকে নিয়ে এবং সে দলের একজন শীর্ষ নেতাকে ঘিরেই এই আলোচনার সূত্রপাত। এটা আমাদের রাজনীতির ‘অসুস্থতা’র বড় একটি লক্ষণ। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা দলের নেতাদের উৎকোচ দিয়েছেন। কিন্তু এর পরও যখন তারা দলীয় মনোনয়ন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তখন এ নিয়ে ব্যাপক হইচই ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আসলে নির্বাচন বাণিজ্যের সাথে তারাই সম্পৃক্ত হয়েছেন, যারা নব্য রাজনীতিক, দলে তৃণমূলের সাথে তাদের সম্পর্ক নেই। তারাই দলের নি¤œ স্তরের নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে, তাদের সমর্থন ছাড়াই উপরে ‘টাকা খরচ’ করে মনোনয়ন কিনতে চেয়েছেন। আসলে এটা ভয়াবহ অসুস্থ দৃষ্টান্ত। মনোনয়ন বাণিজ্যে অর্থ ‘বিনিয়োগ’ করে তা থেকে ‘সুদে আসলে’ তুলে নেয়ার মতলব রয়েছে। এসব লোকের সবাই মনোনয়নবঞ্চিত হননি। যারা টাকার জোরে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, তাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। এই ‘বিনিয়োগ’ দেশ সেবার জন্য নয়; ক্ষমতা প্রতিপত্তি ও অর্থবিত্ত হাসিলের জন্য। প্রার্থী হওয়ার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকাই শেষ নয়। বিজয়ী হতেও অনেকে প্রচুর টাকা ঢালবেন। ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে কলুষিত। এসব প্রার্থী পেশিশক্তিকে ব্যবহার করে অবাধ ভোটব্যবস্থাকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের মূল চেতনা নস্যাৎ করে দেন। হালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন সংযোজন ঘটেছে। সেটা হলো ব্যবসায়ীদের অনুপ্রবেশ। আসলে তারাই নির্বাচনকে বাণিজ্যে রূপ দিয়েছেন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে আইনজীবীদের সংখ্যা ছিল ৩১ শতাংশ, আর ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৮ শতাংশ। আর দশম জাতীয় সংসদে (যা এখন বহাল রয়েছে) ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে এটাই পরিষ্কার হয় যে, সংসদে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে এটাও অনুমিত হবেÑ রাষ্ট্র পরিচালনায় এবং স্বার্থের বিবেচনায় কোন শ্রেণীর প্রভাব দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রেণীস্বার্থের বিবেচনায় এখন বোঝা যাবে, কোন জনগোষ্ঠী রাজনীতিতে নিয়ামক হয়ে উঠেছে। সমাজের কোনো শ্রেণী যদি সততার সাথে অর্থবিত্ত অর্জন করে রাষ্ট্রের কল্যাণে অবদান রাখে, সেটা দূষণীয় নয়। কিন্তু আমাদের দেশের ব্যবসায়ী সমাজের তেমন কোনো অবদান নেই। দেশে বিনিয়োগ নেই। ফলে শিল্পও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। কর্মসংস্থান না হওয়ায় বেকারত্বের হার ভয়াবহভাবে বাড়ছে। বিনিয়োগের এই করুণ চিত্রের পাশাপাশি এমন খবরও পাওয়া যায় যে, দেশে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সংসদ একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে, সরকারের জবাবদিহি নিয়ে দেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। এখন সে জবাবদিহিতা নেই। ফলে অনিয়ম অব্যবস্থা ও দুর্নীতির দিক দিয়ে দেশ নাজুক অবস্থায় পৌঁছেছে। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য সংসদ সদস্যদের দায় অনেকখানি। স্মরণ করা যেতে পারে, বর্তমান সংসদের প্রায় ৬০ শতাংশ সদস্যই ব্যবসায়ী সমাজের। কিন্তু তাদের মূল ভাবনা তো সংসদ নিয়ে নয়।

যে নির্বাচন এখন ঘরের দুয়ারে, সে নির্বাচন নিয়ে গোটা জাতির প্রত্যাশা অনেক। সে প্রত্যাশা শুধু তখনই পূরণ হতে পারে যখন একটি প্রশ্নমুক্ত, স্বচ্ছ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধিরা সংসদে যেতে পারবেন। মানুষ এখন আমূল পরিবর্তনের আকাক্সী। দেশের মানুষের এই অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, একটি বড় পরিবর্তন ব্যতিরেকে তাদের ভাগ্যের হেরফের হবে না। তাই ওই মানের একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এ জন্য যে ক্ষমতা ও শক্তি দরকার, তা সংবিধান তাদের দিয়েছে। এখন যদি কমিশন সে দায়িত্ব পালনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে সফল না হয়, অবশ্যই ইতিহাসের কাঠগড়ায় তাদের দাঁড়াতে হবে। গত পাঁচ বছর দেশের কেটেছে নির্বাচন ছাড়া একটি সিভিল গভর্নমেন্টের অধীনে। আগামীতে এই গ্লানি যেন ধুয়ে মুছে যায়। হ
ndigantababor@gmail.com

http://www.dailynayadiganta.com/post-editorial/373013