১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:৩০

জেনুইন নির্বাচন চেয়ে ইউরোপীয় দূতদের বিবৃতি

দলমত, গোত্র, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ এবং সত্যিকারের (জেনুইন) নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায়
থাকা ইউরোপের দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর দিনে গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে ২৮ রাষ্ট্রের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্য রাষ্ট্র এবং নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের ঢাকাস্থ মিশন প্রধানরা সম্মিলিতভাবে এ আহ্বান জানান।

আগামী ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউরোপের ১০ জন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের সই করা ওই বিবৃতিতে জেনুইন বা প্রকৃত রাজনৈতিক পছন্দের প্রতিফলন ঘটে এমন নির্বাচনী প্রক্রিয়াই চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এই প্রথম ইউরোপের দেশগুলোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এবং সম্মিলিত বিবৃতি এলো। এর আগে অবশ্য এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, জাতিসংঘ, ইইউ, ভারত, চীনসহ বাংলাদেশের বন্ধু-উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। সেখানে মোটা দাগে দুটি বিষয় ছিল।

প্রথমত. নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হওয়া, দ্বিতীয়ত. সহিংসতামুক্ত এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া। ইউরোপের শীর্ষ কূটনীতিকরা এবারের বিবৃতিতে নাগরিকদের সর্বজনীন ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সমর্থন ও সুরক্ষায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
পাশাপাশি তারা এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও নির্বাচন কমিশন যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে স্বাগত জানান। নাগরিকদের জন্য চলমান জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে কূটনীতিকরা আইনের শাসন যথাযথভাবে মেনে চলতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

একই সঙ্গে তারা গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন ও নির্বাচনী সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বানও জানান। গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকার বিষয়ে কূটনীতিকরা বলেন- স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সমালোচনামূলক পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী দূতরা হলেন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্র রেন্সজে তেরিঙ্ক, বৃটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ড. অ্যালভারো ডি স্যালাস গিমেনেজ ডি অ্যাজকারেত, সুইডিশ রাষ্ট্রদূত শার্লটা স্লাইটার, ফরাসি রাষ্ট্রদূত মেরি অ্যানিক বার্ডিন, জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফ্যারেনহোল্টজ, ডাচ রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভিরওয়েজ, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রুপ পিটারসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=149159