৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১২:০২

নির্বাচন হয়তো অংশগ্রহণমূলক হবে কিন্তু অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা ভাই বোনেরা, আপনাদেরকে আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা। বিগত ১০ বছর ধরে আপনাদেরকে শুধু হতাশার সংবাদই শুনিয়েছি। এই ১০ বছর ধরে আপনাদের উদ্দেশ্যে যে সব রাজনৈতিক ভাষ্য ও বিশ্লেষণ লিখেছি সেখানে আপনাদেরকে চাঙ্গা এবং উজ্জীবিত করার মত কিছু লিখতে পারিনি। আর পারবো কোত্থেকে? আপনাদেরকে তো আর আমি ব্লাফ দিতে পারি না। আপনাদেরকে উজ্জীবিত করার মতো মাল-মসলা যদি আমার হাতে না থাকে তাহলে কিভাবে আপনাদেরকে চাঙ্গা করবো।কিন্তু এতদিন পর মনে হচ্ছে, আপনাদেরকে চাঙ্গা করার মতো কিছু মাল মসলা হাতে এসেছে। সেটিই আপনাদেরকে সর্বাগ্রে পরিবেশন করছি।

আপনারা সকলেই জানেন লন্ডনের দি ইকোনোমিস্ট পত্রিকা পৃথিবীর অন্যতম খ্যাতিমান পত্রিকা এবং পৃথিবীর সমস্ত সুধী জনের কাছে অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য, নির্ভরশীল এবং শ্রদ্ধার পাত্র। তেমন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পত্রিকাটি ‘ওয়ার্ল্ড ইন ২০১৯’ সংখ্যায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভবিষ্যৎবাণী করেছে যে, আগামী ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে। এটি অত্যন্ত লম্বা একটি রিপোর্ট। ১২৫৬ শব্দের এই রিপোর্টটি একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক রিপোট। এই রিপোর্টটি পুরাপুরি উদ্ধৃত করা যাবে না। কারণ তাহলে এই কলামে আমার নিজের লেখার আর কিছুই থাকবে না। তবুও এই চমৎকার এবং প্রেরণাদায়ক রিপোর্টটির আসল রস থেকে আপনাদেরকে বঞ্চিত করবো না। সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। তবে একটু পরে। তার আগে আমাদের নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেই।
আজ শনিবার দুপুর বেলা যখন এই রিপোর্টটি লিখছি তখন যে সব প্রার্থীর নমিনেশন পেপার রিটার্নিং অফিসারের যাচাই বাছাইয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল, ইলেকশন কমিশনে সেগুলোর আপিল চলছে। আপিলে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো আপত্তি গৃহীত হয়েছে এবং কিছু আপত্তি গৃহীত হয়নি। যেসব আপত্তি গৃহীত হয়নি তারা পরবর্তী পর্যায়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে মনে হয়। তবে শনিবার সন্ধ্যায় বড় দুই দলের অর্থাৎ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীণ দুই জোটের চূড়ান্ত নমিনেশন ঘোষিত হবে। শনিবারের পত্রিকা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য ২৪০টি আসন সংরক্ষণ করেছে। অবশিষ্ট ৬০টি আসন জোট, মহাজোট, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা এবং দুইটি ইসলামী জোটের মধ্যে বেঁটে দেবে। বিএনপি নিজেদের জন্য এপর্যন্ত ২০২টি আসন সংরক্ষণ করেছে। অবশিষ্ট ৯৮টি আসন তারা ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের জন্য রেখে দিয়েছে। ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের জন্য ৯৮টি আসন রেখে দিয়েছে, এই কথাটি বলা ভুল হবে। কারণ প্রাথমিক যাচাই বাছাইয়ে বিএনপির ১৪১ জন প্রার্থীর নমিনেশন বাতিল হয়েছিল। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগের বাতিল হয়েছিল মাত্র ৩ জন। পরের দিন আপিলে বিএনপির ৪০ জনেরও বেশি প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। আজ শনিবার যখন এই রিপোর্ট লিখছি তখন আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। যারা প্রার্থীতা ফিরে পাবেন তাদেরকেও এ্যাকমোডেট করতে হবে। সুতরাং বিএনপি ৫৯০টি আসন শরিকদের জন্য আলাদা করে রেখেছে এটি ভুল। বরং যাচাই বাছাই এবং আপিল চূড়ান্ত হলে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলীয় জোটের যে কয়জনের নমিনেশন বৈধ হবে তাদেরকে এ্যাকমোডেট করা হবে। সুতরাং একথা বলা ঠিক হবে না যে, বিএনপি ২০২টি আসন রেখেছে।

॥দুই॥
কিন্তু প্রশ্ন সেটা নয়, যে গতিতে ইলেকশন কমিশন নির্বাচনী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তার ফলে একথা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, আসন্ন নির্বাচন হয়তো অংশ গ্রহণমূলক হবে কিন্তু প্রতিযোগিতা মূলক, অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ হবে না। আরও বড় কথা হলো এই যে, এই নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড বলে কোনো বস্তু থাকবে না। এসব আশঙ্কা বিএনপি জামায়াত বা জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ঘরানা করে আসছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ধর্মের কল বাতাসে বাজছে। একসময় যারা আওয়ামী লীগের বি টিম বলে পরিচিত ছিল সেই সিপিবির নেতৃত্বাধীন বামজোটও এখন বলছে যে এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে এ যাবৎ যত অভিযোগ উঠেছে তার ষোল আনাই সঠিক। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এই নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ করা হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের কমরেড মনিসিংহ সড়কের মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি এসব কথা বলেন।
সেলিম বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন বিরোধী দলে থাকে, তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। আবার ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কৌশল গ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেবল মাত্র উৎসবের বিষয় ভাবা ঠিক নয়। নির্বাচন জনগণের জন্য পাঁচ বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের।

এ সময় তিনি কাস্তে মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, বামপন্থীরা জিতলে সরকার গঠন করতে পারবো। আমরা কোয়ালিশন সরকার গঠন করবো। এ ক্ষেত্রে অন্যান্য দলের সৎ ও যোগ্য এমপিদের নিয়ে এই সরকার গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি সিপিবির ৭৪ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
এটি বিশ^ স্বীকৃত নিয়ম যে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হলে বিরোধী দলের কোনো নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো রকম বেআইনী দমন পীড়ন মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। কিন্তু বাংলাদেশে সেসবের কোনো ধার বর্তমান সরকার ধারছে না। এবং কি আশ্চর্য্য নির্বাচন কমিশনও এব্যাপারে সম্পূর্ণ ভাবে ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করছে। জামায়াতে ইসলামী কোনো নিষিদ্ধ দল নয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে সত্য, তাই বলে তারা রাজনীতি করতে পারবে না একথা ঠিক নয়। হয়তো তারা তাদের প্রতীক অর্থাৎ দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু তারা অন্য প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে। এবারও জামায়াতে ইসলামী ২০ দলীয় জোটের অন্যতম পার্টনার হিসাবে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করছে। ইতো মধ্যেই তাদের ৩০টিরও বেশি মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। অথচ, রংপুর পাঁচ আসনে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা গ্রহণ করেছে সেটিকে আওয়ামী নির্বাচন কমিশন বলা ছাড়া আর কিই বা বলা যেতে পারে। রংপুরের ঘটনায় আমরা একটু পরেই আসছি।
এর মধ্যে বাগেরহাটে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিমসহ ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার তাদের বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয় বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আটককৃতদের নামে দায়েরকৃত মামলায় জামিন রয়েছে বলে তাদের পরিবার উল্লেখ করেন। অপর আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা ইমাদ উদ্দিন, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান ও অপর দুইজন কারেন্টের মিস্ত্রি বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে বাগেরহাট গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় পরে জানাতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
॥তিন॥

ইসির কথা আমরা আর কি বলবো? বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, ইসি সরকারের কথায় চলে। এই রাষ্ট্র বিজ্ঞানীর নাম ড. দিলারা চৌধুরী। গত শনিবার একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অবাধ এবং সুষ্ঠু করার ব্যাপারে ইসির ভূমিকা খুব বিতর্কিত। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আশা নিরাশা দু’টি দিকই আছে। আশার কথা, সব দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে, আর নিরাশার কথা নির্বাচনকে অবাধ এবং সুষ্ঠু করার ব্যপারে ইসির ভূমিকা খুব বিতর্কিত। ইসি সমতল ক্ষেত্র বা লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করতে পারছে না। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মনে হয়, ইসি সরকারের কথায় চলছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক এই অধ্যপক মনে করেন, সরকার যদি দেশ চালায় এবং সেখানে যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। তিনি বলেন, যদি একটি হ্যানত্যান নির্বাচন হয় এবং সেই নির্বাচনে সরকারি দল জিতেও তারপরও তারা দেশ চালাতে পারবে না। প্রখ্যাত এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন পুলিশ যে সকল কান্ড কারখানা করছে, মামলা, গায়েবি মামলা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি, যাদেরকে পোলিং এজেন্ট করা হবে তাদের খবরাখবর নিচ্ছে, এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারছে না।
গত ২৮ নভেম্বর রংপুর-৫ আসনের নমিনেশন পেপার দাখিল করার জন্য জামায়াতের প্রার্থী জনাব গোলাম রব্বানী রংপুরে রিটার্নিং অফিসারের কাছে যান। সেখানে তাকে ঘন্টা দুয়েক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তারপরেও তার ডাক পড়ে না। ঐ দিকে তারপরে যারা আসেন সেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজনকে দিব্যি ডেকে নেওয়া হয় এবং তাদের মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করা হয়। এমন অবস্থায় অধৈর্য্য হয়ে জামায়াত প্রাথী রব্বানীর লোকজন ডিসিকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা তাকে আরও ধৈর্য্য ধরতে বলেন। বিষয়টি এডিসিকে জানানো হলে তিনি বলেন যে তিনি ডিসি সাহেবের সাথে এব্যাপারে আলাপ করবেন। এরপর ডিসি সাহেব সহ অন্য একজন অফিসার পাশর্^বর্তী একটি ছোট রুমে প্রবেশ করেন। তখন জামায়াত প্রার্থীকে বলা হয় যে ডিসি সাহেব ওপর ওয়ালাদের সাথে কথা বলছেন। সেখান থেকে তিনি জনাব রব্বানীর মনোনয়ন দাখিল সম্পর্কে ইনস্ট্রাকশন চাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর ডিসি সাহেবের অফিস থেকে একজন লোক বেরিয়ে আসে এবং বলে যে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গোলাম রব্বানীর নমিনেশন পেপার গ্রহণ করাতে বারণ রয়েছে। কেন তার নমিনেশ পেপার গ্রহণ করা হবে না সেটি জনাব রব্বানী জানতে চান। কিন্তু তাকে কিছু জানানো হয়নি। এ অবস্থায় নমিনেশন পেপার জমা না দিয়েই জনাব রব্বানী ফিরে আসেন।

পরদিন তিনি ইলেকশন কমিশনে আপিল করেন। তার নমিনেশন পেপার গ্রহণ করার জন্য ইলেকশন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেন। এটি হলো জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ঘরানার প্রার্থীদেরকে হয়রানি ও পেরেশানি করার একটি নজির। সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, জনাব গোলাম রব্বানীর মনোনয়ন পত্র ইসি কর্তৃক বৈধ ঘোষিত হয়েছে। অন্য দিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদের মনোনয়ন পত্র রিটার্নিং অফিসার অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইলেকশন কমিশনে ডক্টর মাসুদ আপিল করলে ইলেকশন কমিশন তার নমিনেশন বৈধ ঘোষণা করেন।

এই ধরনের অসংখ্য নজির আছে। গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার পর বিরোধী দলীয় কোনো ব্যক্তির রাজনৈতিক গ্রেফতার, মামলা বা রিমান্ড নিষিদ্ধ। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেদিন যে তথ্য লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন সেই তথ্যে দেখা যায় যে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত ৫৩২ জন বিরোধী দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আড়াই হাজারেরও বেশি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরকার এবং ইলেকশন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতার নজির বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরলে একটি মহাকাব্য রচনা করতে হবে। তবে সর্বশ্রেণীর সুধী বৃন্দ এমনকি একশ্রেণীর পশ্চিমা রাষ্ট্রও স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, এই সরকারের অধীনে বর্তমানে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই নির্বাচন হয়তো অংশ গ্রহণমূলক হবে, কিন্তু সেটি কারচুপি, কালোটাকা ও পেশী শক্তি মুক্ত হবে না।
Email: asifarsalan15@gmail.com

 

http://www.dailysangram.com/post/356488