৫ ডিসেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১২:২৪

অরিত্রির মৃত্যু, অনেক প্রশ্ন

'হত্যা'র বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাজপথে, ভিকারুননিসা উত্তাল

অরিত্রি অধিকারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ক্লাস থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভ করে ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা সহপাঠীর মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষকদের পূর্ণ বরখাস্তের দাবি জানায়-মাহবুব হোসেন নবীন
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর মৃত্যু সামনে নিয়ে এসেছে অনেক প্রশ্ন। সোমবার মেধাবী এ শিক্ষার্থীর আত্মহননের পর দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার দিকেই আঙুল উঁচিয়েছেন সংশ্নিষ্ট অনেকে। প্রশ্ন উঠেছে, এ কেমন শিক্ষা, যার জন্য শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হবে? শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের আচরণ নিয়েও কথা বলেছেন অনেকে। নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে সবকিছু ছাপিয়ে গতকাল সারাদেশে আলোচনার মূল বিষয় ছিল অরিত্রির মৃত্যু। শহরের রাজপথ থেকে বিপণিবিতান, মাঠ থেকে পাড়ার চায়ের দোকান কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক- সবখানে সবার বক্তব্য একটাই, এটা আসলে আত্মহত্যা নয়, 'হত্যা'। বাবা-মাকে অপমানের মাধ্যমে অরিত্রিকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এ জন্য দায়ীদের বিচারও চেয়েছেন তারা।
দোষীদের বিচার ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে গতকাল উত্তাল ছিল রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের প্রধান ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও যোগ দেন তাদের সঙ্গে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভের মধ্যেই অরিত্রির আত্মহত্যার ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি করেছে। পাশাপাশি হাইকোর্টও এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের নামকরা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল শাখায় গতকাল সমবেত অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের চোখ ছিল অশ্রুসজল। অকালে বন্ধু হারানোর বিচার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে অরিত্রির সহপাঠীরা। বিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে সড়ক পর্যন্ত ছিল স্লোগানে উত্তাল। আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসের অপসারণ, অরিত্রির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি এবং শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক নির্যাতন বন্ধের দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল গেট আটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ক্যাম্পাসে গিয়ে তাদের সান্বতনা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ঘিরে ও দোষীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিদ্যালয়ের চলমান বার্ষিক পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। আজ বুধবারও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
এদিকে অরিত্রির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল রাতে তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করেছেন। ৩০৫ ধারার এই মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতি শাখার প্রধান জিন্নাত আরা এবং অরিত্রির শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়েছে। পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, অভিযোগ তদন্ত করে আসামিদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরিত্রির এক স্বজন জানিয়েছেন, গত সোমবার রাতেই অরিত্রির মরদেহ শাহজাহানপুরের একটি মন্দিরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।

ভিকারুননিসা স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। একজন ছাত্রীর 'আত্মহত্যা'র মতো পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হলো, সে বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে প্রভাতি শাখার প্রধান জিন্নাত আরাকে সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস। তিনি দাবি করেন, পরীক্ষার হলে ওই ছাত্রীর সঙ্গে এমন কোনো ব্যবহার করা হয়নি, যাতে সে আত্মহত্যা করবে। শাখাপ্রধান (প্রভাতি) তাকে বলেছেন, অন্য শিক্ষার্থীর বেলায় যে নিয়ম, তার বেলায়ও একই নিয়ম প্রয়োগ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে শাস্তির নিয়মটা কী- জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, আসলে নিয়মটা আমার জানা নেই। তবে আমরা অভিভাবককে ডেকে তার সামনে এ বিষয়ে কথা বলি। ওই দিনের পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। এটা প্রচলিত নিয়ম।
তাহলে পরের দিন কেন অরিত্রির পরীক্ষা নেওয়া হলো না- এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। এ সময় তিনি অরিত্রির আত্মহত্যার জন্য ক্ষমা চান।
গত রোববার পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারী (১৫)। ফোনে নকল থাকার অভিযোগ তুলে তাকে পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়। এর পর তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার সকালে তারা স্কুলে যান এবং মেয়ের হয়ে দফায় দফায় ক্ষমা চান। উপাধ্যক্ষের কক্ষ থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কক্ষে তারা গেলে তিনিও তাদের অপমান করেন এবং স্কুল থেকে অরিত্রি অধিকারীকে ছাড়পত্র দেওয়ার হুমকি দেন। নিজের সামনে বাবা-মায়ের এমন অপমান সইতে না পেরে ওই দিন দুপুরে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। ওই ঘটনার জেরে গতকাল শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে ভিকারুননিসা ক্যাম্পাস।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া কয়েকজন অভিভাবক জানান, এমন শোকাহত ঘটনার পর তারা আশা করেছিলেন, মঙ্গলবার স্কুলের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হবে। কিন্তু এই ধরনের কোনো বার্তা না পেয়ে তারা তাদের মেয়েদের নিয়ে স্কুলে আসেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির মৃত্যু নিয়ে শোক পালন তো দূরের কথা, ক্যাম্পাসের কোথাও একটি ব্যানারও টানায়নি। এতে ক্ষুব্ধ হন তারা। অরিত্রির সহপাঠীসহ অন্যান্য শ্রেণির ছাত্রীরা এমন ঘটনার পর পরীক্ষা দিতে না চাইলে উল্টো স্কুল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারও ছাড়পত্র দেওয়ার ভয় দেখায়। এতেই মূলত ফুঁসে ওঠেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখার ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে সেখানে আরও শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত হন। তারা অরিত্রি অধিকারীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রভাতি শাখার শিক্ষার্থীদের এ অবস্থানের সঙ্গে দুপুর ১২টার দিকে দিবা শাখার শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভে অংশ নেয়। শত শত শিক্ষার্থীর অবস্থানের কারণে একপর্যায়ে অফিসার্স ক্লাব মোড় থেকে বেইলি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দুপুরের দিকে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিতে চাইলেও তারা তার কক্ষের সামনে যাওয়ার আগেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। পরে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিপ্লব কুমার পাল নামের একজন অভিভাবক বলেন, তার মেয়েও অরিত্রির সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ে। এমন ঘটনার পর মেয়েটি রাতভর কান্নাকাটি করেছে। পড়তে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে আজকের (মঙ্গলবার) পরীক্ষাটা স্থগিতের জন্য তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উল্টো অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার রেজাল্ট আটকে দেওয়ার ভয় দেখায়। বাধ্য হয়ে মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠিয়ে তিনি ঘটনার বিচার চাইছেন।

গোপাল সাহা নামের এক অভিভাবক বলছিলেন, একজন শিক্ষিকা, একজন অধ্যক্ষ তো এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না। একজন ছাত্রীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। অবশ্যই তার অপসারণ করতে হবে। তা না হলে অভিভাবক হিসেবে নিজের সন্তান নিয়ে তো তারা স্বস্তি পাচ্ছেন না।
অভিভাবকরা বলেন, নানা কারণেই শিক্ষকরা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। ২০১২ সালেও শিক্ষকদের মানসিক নির্যাতনে চৈতী রায় নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। আগেরগুলোর বিচার না হওয়ায় শিক্ষকদের অমানবিক আচরণ দিন দিন আরও নিষ্ঠুর হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়োগ ও ভর্তি-বাণিজ্য, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবি জানান অভিভাবকরা।

এর আগে ২০১১ সালে বিদ্যালয়ের বসুন্ধরা শাখায় পরিমল জয়ধর নামের এক শিক্ষক দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজ কোচিংয়ে ধর্ষণ করলে ভিকারুননিসার সব শাখার ছাত্রীরা একযোগে ঘটনার বিচার ও তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগমের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নামে।
একি শুধু আত্মহত্যা : অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যাকে 'আত্মহত্যা' বলতে চায় না তার সহপাঠীরা। তাদের দাবি, ছোট্ট অপরাধে অরিত্রিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন শিক্ষকরা। গতকাল বিক্ষোভের সময় অনেক ছাত্রীর হাতে 'একি শুধু আত্মহত্যা?' লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল। অরিত্রির অনেক সহপাঠী 'চিটিংয়ের পানিশমেন্ট মৃত্যু কবে থেকে?' লেখা ফেস্টুন নিয়েও বিক্ষোভ করে। অনেক শিক্ষার্থীর হাতে ঝুলছিল 'নো স্টুডেন্ট ডিজার্ভ টু বি ইনসালটেড (কোনো শিক্ষার্থীই অপমানিত হতে চায় না)'; 'প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চাই'; 'এডুকেশন এনলাইটেড আস, ইট ডাজ নট কিলস আস (শিক্ষা আলো দেয়, হত্যা করে না)'; উই ডিমান্ড অ্যানসার্স ফরম দ্য অথরিটি (প্রশাসন জবাব চাই)'; 'এডুকেশন মেড অরিত্রি হ্যাং (অরিত্রির মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষাব্যবস্থা)'; 'এটি আত্মহত্যা না এটি হত্যা'সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রীরা।

অরিত্রির সহপাঠী সুলতানা বিলকিস বলছিল, তারা শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত নানা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছে। কারও কোনো সমস্যা থাকলে সেগুলো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমঝোতা করা উচিত। সেজন্য পরিবারকে বিব্রত করা উচিত নয়। তার দাবি, অরিত্রিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন শিক্ষকরাই।
অবরুদ্ধ শিক্ষামন্ত্রী : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কথা শুনে তাদের সান্ত্বনা দিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভিকারুননিসায় ছুটে আসেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বিদ্যালয় থেকে তিনি ফিরে যাওয়ার সময় ফটকে বিক্ষোভকারীরা তাকে গাড়ির ভেতরই ঘিরে ধরে। তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিজ' স্লোগান তুলে অরিত্রির মৃত্যুর ঘটনায় অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে। অভিভাবকরা যোগ দেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিট তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, অরিত্রির আত্মহত্যা হৃদয়বিদারক ঘটনা। এর পেছনে বা ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা : গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পরে সব শিক্ষার্থীর পক্ষে আনুশাকা নামে নবম শ্রেণির একজন ছাত্রী ঘোষণা দেয়, আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে তারা পরীক্ষা বর্জন করে কালো ব্যাজ ধারণ করে স্কুলের প্রধান ফটকে অবস্থান নেবে। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এ ছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ ও শাখাপ্রধানের পূর্ণ বরখাস্ত, গভর্নিং বডি বাতিল চেয়েছে তারা।
বিকেলে সিদ্দিকী নাসির উদ্দীন নামে এক অভিভাবক জানান, তিন দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রচলিত আইনে বিচার, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের অপসারণ বা পদত্যাগ এবং প্রতিষ্ঠানটির জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তারা আন্দোলন করছেন।

 

http://samakal.com/capital/article/1812297