৪ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১৭

মনোনয়ন বাতিলের রেকর্ডে জনমনে নানা প্রশ্ন

# স্বাক্ষর ছাড়া সৈয়দ আশরাফের মনোনয়ন বৈধ হলো কিভাবে ? - বিএনপি
# মনোনয়ন বাতিলে সরকার জড়িত নয় - ওবায়দুল কাদের
# ছোটখাটো ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় না-সাখাওয়াত
# মনোনয়ন বাতিল ॥ বিএনপির ১৪১টি ॥ আওয়ামী লীগের মাত্র ৩টি

ছোটখাটো ভুলের কারণে রেকর্ড সংখ্যক মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘটনায় জনমনের নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাতিল করা ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই বিএনপির প্রার্থী। বাতিলকৃত মনোনয়ন পত্রের মধ্যে বিএনপির ১৪১ জন আর আওয়ামী লীগের মাত্র ৩জন। তাদের মধ্য থেকে গতকাল সোমবার প্রথম দিনে ৮২জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছে। আগামীকাল ৫ নভেম্বর পর্যন্ত আপিল করা যাবে। মূল মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর না থাকলেও সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। অন্তত ৫০ জনের বেশি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের কোন বড় নেতার মনোনয়ন বাতিল হয়নি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে টার্গেট করে বিএনপির হেভিওয়েট নেতাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে মনোনয়ন পত্র বাতিলের ক্ষেত্রে সরকার জড়িত নয় বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের। এদিকে ছোটখাটো ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন পত্রে স্বাক্ষর না থাকলে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়, এ জন্য মনোনয়ন পত্র বাতিল হয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত রোববার মনোনয়পত্র বাছাইকালে ৩শ আসনে ৭৮৬টি মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়। বিএনপির বাতিল হয়েছে ১৪১টি আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বাতিল হয়েছে মাত্র ৩টি মনোনয়নপত্র। আওয়ামী লীগের মোট ২৮১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। আর বিএনপির মোট ৬৯৬ জন প্রার্থী নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসিতে যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে বিএনপির ৫৫৫ প্রার্থী বৈধ হিসেবে রয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের বৈধ ২৭৮ প্রার্থী জন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটার না থাকা, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকার জন্য, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগ, দ-প্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণেও এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ৫০জন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। মানিকগঞ্জে মির্জা ফখরুলের স্বাক্ষরের ত্রুটি ধরে গোটা জেলার সকল আসনের বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেয়া হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে ৫০ জনের মতো দলের হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সাংসদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রেকর্ড সংখ্যক মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এখানে সরকার জড়িত নয়। উই হ্যাভ নাথিং টু ডু। আমাদের কিছু করার নেই।

এবার সারা দেশে ৩৯টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোট ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। বাছাইয়ে ২ হাজার ২৭৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়। বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন ২৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রার্থী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাছাইয়ে ২২ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২ হাজার ৪৬০ জন। বাছাইয়ে ৫৫৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল।
১ম দিনে ইসিতে ৮২ জন প্রার্থীর আপিল
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের ৮২ জন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সংক্ষুব্ধদের আপিল গ্রহণ করে কমিশন। তবে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে কেউ আপিল করেননি। দ-প্রাপ্ত আসামী হিসেবে তার তিনটি আসনের মনোনয়নই বাতিল করা হয়। ইমরান এইচ সরকার কমিশনে আসলেও আপিল আর করেনি।
রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসব আপিল গ্রহণ করা হয়। সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭, ৮ ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

এক শতাংশ ভোটার না থাকায়, ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন, লাভজনক পদে থাকার জন্য, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায়, ঋণ খেলাপির অভিযোগ, দ-প্রাপ্ত এবং অন্যান্য কারণেও এদের মনোনয়নয়ন বাতিল করা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার আপিল সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির বলেন, খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের ব্যাপারে সোমবার কোনো আপিল করা হয়নি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে আপিল করা হতে পারে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া ছেলে রেজা কিবরিয়া, গোলাম মাওলা রনি (পটুয়াখালী-৩), মো. মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান (কিশোরগঞ্জ-২), আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম (বগুড়া-৪), ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক, চাপাইনবাবগঞ্জ-১ থেকে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ থেকে খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়ি থেকে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদাহ-১ থেকে আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ থেকে তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ থেকে মোহাম্মদ আফসার আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ থেকে মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ থেকে মোকারম হোসেন, ঝিনাইদাহ-২ লেফটেন্যান্ট (অব.) আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ থেকে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ থেকে ফরিদুল কবির তালুকদার,পটুয়াখালী-৩ থেকে মো. শাহাজাহান, পটুয়াখালী-১ থেকে মো. সুমন সন্যামাত, দিনাজপুর-১ থেকে পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ থেকে জহিরুল ইসলাম মিন্ট, সিলেট-৩ থেকে কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরট-১ থেকে মো. ফজলুর রহমান প্রমুখ আপিল করেন।

আপিলকারী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থীতা দেবে আশা করি।
গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটা বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলের জন্য বাতিল না করতে নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আশবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি, আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।
হিরো আলম বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশনে ন্যায় বিচার পাবো। অন্যথায় আমি আদালতে যাবো। মন্ত্রী-এমপিরা চায় না। রাজারা চায় না প্রজারা রাজা হোক। জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।
ইসির আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিকেলে আপিলকারীদের মধ্যে একজন রয়েছেন যিনি অন্যের মনোনয়নপত্র বাতিল করার জন্য স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সারাদেশে দাখিল করা ৩ হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর ২ হাজার ২৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে।
ছোটখাটো ভুলে মনোনয়নপত্র বাতিল হয় না-সাখাওয়াত
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ছোটখাটো ভুল হলে কারো মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় না। মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না দেয়া হলে তাকে ডেকে এনে আবার স্বাক্ষর দেয়ার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। গত রোববার বেসরকারি একটি টেলিভিশনের আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

সাখাওয়াত বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেজিস্টারে ক্লাসিফাইড লোন দেখাতে হবে, তা না হলে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এছাড়া কারো শিক্ষা সনদ না দেয়া এবং সম্পদের হিসাব না দিলে মনোনয়ন বাতিল হয়। শাস্তির জন্য ২ বছরের বেশি সাজা নিম্ন আদালতে হয় তাহলে উচ্চ আদালতে সেই সাজা স্থগিত না করে, তাহলে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হতে পারে। মনোনয়ন নিয়ে আপিলের জন্য তিন দিন সময় দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আপিলে মনোনয়ন বাতিল হলে সর্বশেষ উচ্চআদালতের যেতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, কেউ যদি আপিলে বৈধ হয় তাহলে কেউ তার বৈধতার বিরুদ্ধে যে কেউ আপিল করতে পারেন। তবে কেউ যদি তার শিক্ষা সনদ জমা না দেন তাহলে তাকে কয়েকদিন সময় দেয়া হয় সনদ জমা দেয়ার জন্য।
তিনি জানান, মানিকগঞ্জে ৩ টি আসনে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার কারণ হিসাবে রির্টার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরের সাথে ওই স্বাক্ষরের মিল পায়নি তাই মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। যদিও মির্জা ফখরুল ইসলাম লিখিতভাবে জানিয়েছে ওই স্বাক্ষর তার নিজের এবং তিনি ওই প্রার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তারপরেও মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সময় অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। কারণ মনোনয়ন জমার শেষ মুহূর্তে রিটার্নিং অফিসারের সামনে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিস এরিয়ার মধ্যে থাকলেও মনোনয়ন গৃহীত হয় না।

আশরাফের মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, মনোনয়নপত্রে সৈয়দ আশরাফের স্বাক্ষর ছিল না।
গতকাল সোমবার সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে বিএনপি বলছে, স্বাক্ষর না থাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে টিপসই দেওয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ। অচেতন অবস্থায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। বিএনপির দাবি, কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তাঁর স্বাক্ষর অথবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। এর মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমমানের। সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র এ ধরনের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি। তাঁর মনোনয়নপত্র বাংলাদেশে নোটারি করা হয়েছে। এটি আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?

বিএনপির অভিযোগ, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য দাখিল না করলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। নিউজ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক দ-িত নেতারও মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাঁদের দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে ৫০ জনের মতো দলের হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সাংসদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যার পর এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে সেই লাশটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টও গায়েব করে দিতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, ঘুম নেই। নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত গুম আর গ্রেপ্তার হচ্ছে কিংবা গ্রেপ্তার ও গুমআতঙ্কে ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সরকারের পরিব্যাপ্ত ছায়া। সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন নির্দেশেই ইসি সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

http://www.dailysangram.com/post/355839