‘ভোটের রাজনীতি ও জনগণের ভোটের অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি-যুগান্তর
২৫ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১:২৩

সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি হতে পারে ভয়াবহ

‘নির্বাচন করবে, নাকি বেইল নেবে, নাকি জেলে যাবে? এখন মানুষকে ঘরছাড়া করে ফেলা হচ্ছে’ * ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ, প্রয়োজনে আরও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে * হঠাৎ করে ইভিএম ব্যবহার করলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ বাড়বে * নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে


সংবিধানপ্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, ‘পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রশাসন রাজনৈতিক দলের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের এখানে আইনের শাসন অনুপস্থিত। এক্সিকিউটিভ পাওয়ার (নির্বাহী ক্ষমতা) পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে এবং এর কোনো অ্যাকাউন্টিবিলিটি ( দায়বদ্ধতা) নেই।’

নির্বাচনের এই সময়েও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে ব্যারিস্টার আমীর আরও বলেন, ‘কোর্টে এখনও গেলে আপনারা পাবেন হাজারেরও বেশি লোক জামিন নিতে অপেক্ষায় আছে। এখন মানুষ নির্বাচন করবে, নাকি বেইল (জামিন) নেবে, নাকি জেলে যাবে? এখন মানুষকে ঘরছাড়া করে ফেলা হচ্ছে।’
শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ভোটের রাজনীতি ও জনগণের ভোটের অধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম এসব কথা বলেন।
‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)’ আয়োজিত এ সেমিনারের অন্য বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যেতে পারে। তাদের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের মানুষ একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। নির্ভুল ভোটার তালিকা, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি ইসিকেই নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ইসিকে আরও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি ইভিএম ব্যবহার করার মতো মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতা আসেনি। হঠাৎ করে ইভিএম ব্যবহার করলে মানুষের মধ্যে সন্দেহ আরও বাড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
সেমিনারে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আরও বলেছেন, ‘পত্রিকায় দেখেছি সিইসি কালকে নাকি পুলিশকে বলেছে, আপনারা সম্ভাব্য প্রিসাইডিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তাদের বাড়িতে বাড়িতে কেন যাচ্ছেন, যা করবেন চুপচাপ করবেন। তাহলে কারা প্রিসাইডিং অফিসার হবে এবং হবে না সেটাও ওখানে সিদ্ধান্ত হচ্ছে? ‘ইভিএম কি জিনিস আমি তো বুঝি না। ইভিএম কোম্পানিটা কোথাকার সেটাও জানি না। এটা কি এমআরআই মেশিনের মতো কোনো মেশিন নাকি? আমি এর সম্পর্কে কিছুই জানি না। ইভিএমের ডেমো করা হচ্ছে, এটা বিরাট প্রমোশন, আমি কোম্পানিটার নাম জানতে চাই।’
সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সাধারণ মানুষ কোনোরকম পুলিশি হয়রানিতে পড়বে না, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি কিনা? নিলে কেন তারা কোনো জামিন পাচ্ছে না, সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্টে বেইল নিতে আসছে। পরিস্থিতি এখন এ রকম। ইতিহাস বলে নির্বাচন হচ্ছে মুক্তির পথ। এই নির্বাচন জনগণকে উপভোগ করতে দিতে হবে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ.ম রেজাউল করিম, প্রফেসর মুনিরা খান প্রমুখ।
‘তৃতীয় মাত্রা’র জিল্লুর রহমানের সঞ্চলনায় এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম আতাউর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।

মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপট আগামী নির্বাচন সম্পর্কে একটা শঙ্কা তৈরি করছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও সেটা প্রতিযোগিতামূলক হবে কিনা, ভোটের ফলাফল জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে কিনা কিংবা ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে কিনা, সেই শঙ্কা এবং প্রশ্ন রয়ে গেছে।’
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পিপা নোরিসের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যদি ত্রুটিপূর্ণ এবং ব্যর্থ হয় তবে গণতন্ত্রের ভিত্তিই দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন ব্যর্থ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারকে বলা হয় ‘হাইব্রিড ডেমোক্রেটিক’ সরকার।
প্রবন্ধে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কিছু আলামত তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ১. আদালতের মাধ্যমে প্রধান বিরোধী শক্তিকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা, ২. সীমানা পুনর্নির্ধারণের সময় বিভিন্ন কূটকৌশল, ৩. স্বাধীন গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা, ৪. রাষ্ট্রীয় সম্পদের দাফতরিক অপব্যবহার ৫. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার সমান সুযোগ না থাকা ৬. বিরোধী দলকে মিছিল মিটিং করতে না দেয়া, ৭. প্রচারে সরকারি সুবিধা গ্রহণসহ অন্যান্য।
রাজনৈতিক দল গঠনে আইন প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে সেমিনারে সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, উপমহাদেশের প্রত্যেকটা দেশে রাজনৈতিক দল গঠনে আইন থাকলেও আমাদের দেশে নেই। যার ফলে আজকে দেশে কতটা রাজনৈতিক দল আছে এবং তাদের গঠনতন্ত্রে কী আছে, তা কেউ জানে না। তিনি বলেন, ইভিএম তড়িঘড়ি করে করতে হবে কেন? ভারতে ২৫ বছর লেগেছে ইভিএমকে সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠা করতে। এখনও অনেক পার্টি সেটা মানতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, যদি ইভিএম ব্যবহার করেন তাহলে আজকেই আপনাদের বলতে হবে কোন কোন কেন্দ্রে এগুলো ব্যবহার করবেন। এখন থেকে ওই সংসদীয় এলাকার সব প্রার্থী ও অন্যদের এ বিষয়ে অবহিত করতে হবে। হঠাৎ করে করলে আমাদের মাঝে সন্দেহ বাড়বে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘অনেক ইতিহাস আছে যে, নির্বাচন ফ্রি (অবাধ) হল কিন্তু ফেয়ার (সুষ্ঠু) হল না। দীর্ঘলাইনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দেয়ার জন্য অথচ বুথে ঘটে অন্য ঘটনা। বুথে গিয়ে তাকে বলা হল- তুমি হাতে কালি মেখে চলে যাও আর ব্যালট পেপার দিয়ে দাও- এমন যেন না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব দেখার বিষয় ইসির। কিন্তু এখন ইসি নিজেরা মাঝে মধ্যে এমন সব কথা বলছে যা তারা নিজেদের বিতর্কিত করে ফেলছে। মনে রাখতে হবে বিশ্ব তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে। সরকারের অধীনে এর আগে নির্বাচন হলেও এবারই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে সব দল অংশ নিচ্ছে। মনে রাখতে হবে, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ও ফেয়ার করতে ইসির জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। একে গ্রহণযোগ্য করতে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে সরকারকে।’
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা জেনুইন একটি ইলেকশন চাই। সেটা করতে হলে বেশ কয়েকটি কাজ করতে হবে। তার মধ্যে রয়েছে- সুষ্ঠু ভোটার তালিকা, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান, নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি। এসব নির্বাচন কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, জনগণের মতামতের প্রতিফলন যদি না ঘটে, তাহলে আমি মনে করি, তাহলে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাব।
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এ নির্বাচনে ইভিএম নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে ইভিএম ব্যবহার করার মতো মানুষের মধ্যে এখনও সচেতনতা আসেনি।
এ নির্বাচন কমিশন সঠিক নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘এক ইভিএম ইস্যুতে ইসির প্রতি মানুষের সন্দেহ বেড়ে গেছে। কিন্তু তারা তাদের অবস্থানে অনড়। তাছাড়া বিরোধী পক্ষ ঐক্যফ্রন্টের দিক থেকে প্রশাসনে রদবদল করতে বলা হয়েছে, আর ১৪ দল নিষেধ করেছে। এ রদবদল করলে দেশের কোনো ক্ষতি হবে বলে আমার তো মনে হয় না।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে দেখতে চান তিনি। নির্বাচন কমিশনও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। ‘আমি আশাবাদী মানুষ, তাই এ ঘোষণাকে ইতিবাচকই দেখছি।’
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিশনকে সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তারা যদি ক্ষমতার পূর্ণ প্রয়োগ ঘটায় নির্বাচনের পর যারা সরকারে আসবে তাদের রোষের মুখে পড়তে পারে এ ভয় থেকেই সব ক্ষমতার চর্চা করছে না। কিন্তু কমিশন নিজের ভয় তাড়াতে না পারলে জনগণ এবং ভোটাররা কিভাবে ভয়মুক্ত হবে? তারা তো আরও ক্ষুদ্র।’

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে আশঙ্কার কথা বলছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন। একইভাবে রাজনীতিবিদ কর্নেল (অব.) অলি আহমদও আশঙ্কা করছেন এ নির্বাচন হবে কিনা। আমরা জানি না এ নির্বাচন নিয়ে কি হচ্ছে। তবে আমরা নির্বাচনটি নিয়ে কোনো খেলা দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের এমপি বদির পরিবর্তে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে সমালোচনা চলছে। বদির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও তাকে এবার মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। এখন তার স্ত্রীকে মনোনয়ন দেয়ায় অনেকেই সমালোচনা করছেন। তবে আমি বলতে চাই, তারেক রহমান একজন দণ্ডিত অপরাধী। তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান যখন রাজনীতিতে আসবেন, নির্বাচনে আসবেন- এ সমালোচনাকারীরা তখন কী করবেন।
তিনি বলেন, আমরা ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন চাই। নির্বাচনে যে দলই জিতবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। আমরা জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় যেসব হামলার ঘটনা ঘটে, সেগুলোর তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে। তদন্তে যারা দোষী হবে, তাদের শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে নানা ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্নজনের ওপর হামলাও হয়েছে। সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এখনও হয়নি। ওই ঘটনাগুলোর তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। তদন্তে যারা দোষী হবে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। ‘ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে আসছেন বলে অনেকেই সমালোচনা করছেন। তবে আমি কখনও সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করিনি। আমি আমার মতো করে ব্যবসা করেছি।

এফবিসিসিআইর সাবেক এ সভাপতি আরও বলেন, দেশের বর্তমান সামাজিক- রাজনৈতিক অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে জিন-পরীকে আসতে হবে। তাতে যদি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়।
‘আগামী নির্বাচন ফ্রি হলেও ফেয়ার নাও হতে পারে। তাই আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ফেয়ার ইকেলশনের জন্য সরকারকেও এ চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, কারণ আন্তর্জাতিক মহল তাকিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘আইন ও সংবিধানের মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনকে সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এখন তারা যদি আজ্ঞাবহ হয়, বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করে সেটা তাদের ব্যাপার।’
‘না’ ভোটের বিধান চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, নির্বাচনে না ভোটের কোনো সুযোগ না থাকায় অসৎ লোকদের বাধ্য হয়ে ভোট দিচ্ছেন অনেকেই। এ ব্যবস্থা চালু হলে অনেক খারাপ লোক নির্বাচনে আসবেন না। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী সরকারের জন্য শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার।

https://www.jugantor.com/todays-paper/first-page/115179