২৫ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:৩৭

এক সপ্তাহে ৩৪৯ বিচারিক কর্মকর্তার বদলি ও পদায়ন

খোকন বড়–য়া

গত এক সপ্তাহে ৩৪৯ বিচারিক কর্মকর্তার বদলি ও পদায়নের আদেশ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১৩৭ জন সহকারী জজকে পদায়ন করা হয়েছে। এসব বিচারিক কর্মকর্তার বদলি ও পদায়নের বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। আবার এসব কর্মকর্তার মধ্যে প্রেষণে বদলিও রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, বদলি ও পদায়নকৃতদের মধ্যে জেলা জজ, জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাও রয়েছেন। এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগকেই বিভিন্ন জেলায় বদলি করে বিচারিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া কিছু কর্মকর্তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত করা হয়েছে কিছু কর্মকর্তাকে।
মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বিচার বিভাগের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় তথা নির্বাহী বিভাগে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বিচারিক কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিচারকাজের বাইরে নির্বাহী বিভাগে কর্মরত আছেন। এর মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সংসদ সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। এসব কর্মকর্তা দীর্ঘদিন নির্বাহী বিভাগে কর্মরত থাকলেও বিচারকাজে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেই। উল্টো প্রেষণে বদলি ও পদায়ন অব্যাহত রয়েছে। ফলে এ সংখ্যা আরো বাড়ছে। স্বল্প সময়ের জন্য কিছু কর্মকর্তাকে বিচারকাজে আদালতে দেয়া হলেও পরে তাদের নির্বাহী বিভাগে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

জানতে চাইলে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, বদলি, পদায়ন, পদোন্নতি, প্রেষণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব বদলি পদায়ন করে থাকে। এতে কোনো কিছুর ব্যত্যয় ঘটে না।
এ দিকে ২০১৫ সালের এপ্রিলে জেলা জজের শূন্য পদ পূরণের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়। তবে তৎকালীন (পদত্যাগ করা) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সাথে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপড়েনে ওই প্রস্তাবের আর অগ্রগতি হয়নি। গত বছর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর আবার জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন অর্থাৎ বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ফুল কোর্ট সভায় জেলা জজ পদোন্নতির শর্ত শিথিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এসব বিচারিক কর্মকর্তার পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে তা অব্যাহত রয়েছে।


http://www.dailynayadiganta.com/first-page/367123