২৫ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:৩৬

সমতল মাঠ ইসির প্রধান চ্যালেঞ্জ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিন কেটে গেলেও সব রাজনৈতিক দলের জন্য মাঠে সম-অধিকার নেই। নির্বাচনের মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাঁধে ন্যস্ত কিন্তু এখনো তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল মাঠ তৈরি করতে পারেনি বলে রাজনৈতিক দল ও সুশীলসমাজের অভিযোগ। সমতল মাঠ তৈরি করাই ইসির সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সিইসি অবশ্য বলছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিরাজ করছে। পুলিশ কমিশনের কথা অনুসারেই কাজ করছে। সিইসির এই দাবির সাথে মিল নেই নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের। তিনি মনে করেন, সরকার না চাইলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এককভাবে করা সম্ভব নয়। এই অবস্থা যে নেই তার কয়েকটি উদাহরণও তুলে ধরেছেন তিনি।

প্রশাসন ও ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আজো সৃষ্টি করতে পারেনি বলেই প্রতিদিনই অভিযোগের পাহাড় জমছে। এসব অভিযোগের সুরাহা করতেও ইসির কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে সাবেক কমিশনার ও বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রচার-প্রচারণা যখন শুরু হবে তখন প্রকৃতপক্ষে বোঝা যাবে কতটা সমতল মাঠ ইসি তৈরি করতে পেরেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য সমতল ভূমি সৃষ্টি করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে।
কেউ কেউ বলছেন, যখন ইসি গঠন হবে তখন থেকেই সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা ইসির কাজ। এখানে শুধু রাজনৈতিক দলের জন্য নয়, যারা ভোটার ও যারা দলের সাধারণ কর্মী তাদের জন্যও। ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারেন এটাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা প্রশাসন ও সাধারণ প্রশাসনকে পরিবর্তন করার দাবি জানিয়ে দফায় দফায় ইসিকে চিঠি দিচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ বিরোধী জোটের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রমাণসহ লিখিতভাবে সিইসির কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব অভিযোগের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগও দেয়া হচ্ছে। পুলিশের হয়রানির কারণে বিরোধী জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হতে পারছেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের মতে একটা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সমতল মাঠ বা সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা ইসির দায়িত্ব। যেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা নিশ্চিত করা কঠিন। যেহেতু এই প্রথমবারের দলীয় সরকারের অধীনে, সংসদ বহাল রেখে এবং এমপিদের ক্ষমতা অব্যাহত রেখে নির্বাচন হচ্ছে। ফলে এখন দরকার সমতল মাঠ। কিন্তু ইসি এটা কতটা করতে পারবে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
সাবেক এই উপদেষ্টা নয়া দিগন্তকে বলেন, পরিবেশ পরিস্থিতি যা দেখছি তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তো দূরের কথা, নির্বাচন নিয়েই একটা সংশয় কাজ করছে। আমরা যেভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাচ্ছি সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। তিনি বলেন, যেখানে ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি রয়েছে, সেখানে ইসি ইভিএম ব্যবহারে একগুঁয়েমি করছে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) সাখাওয়াত হোসেনের মতে, ভালো নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই এখন বড় কথা। ওটাই বড় চ্যালেঞ্জ ইসির সামনে। সেটা উপহার দিতে পারবে কি না প্রশ্নটা ওখানে। ভালো নির্বাচন করতে গেলে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনী মাঠে সমান অধিকার থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে সেটা খুবই ডিফিকাল্ট। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ইসির কাছে যেসব অভিযোগ আসছে সেগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। এসবের প্রতিকারে কার্যকর পদক্ষেপে যেতে হবে। সেটা যদি তারা করতে না পারেন তাহলে ভালো নির্বাচন উপহার দেয়াটা কঠিন হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো: শাহনেওয়াজের মতে, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করাই বর্তমান কমিশনের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে সফলতা পেতে যা যা করণীয় তা তাদেরকে করতে হবে। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল মাঠের প্রশ্নটা আসবে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার সময়। এখন এটা নিয়ে কিছু বলার নেই। প্রচার-প্রচারণা শুরু হলে তখন দেখতে হবে সবাই সমানভাবে প্রচারণার কাজ করতে পারছে কি না।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ফেমার সভাপতি মুনিরা খানের মতে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি একটা বড় ব্যাপার। এটা বলতে আমি পুরো নির্বাচনের বিষয়টাকে বুঝি। যখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বলে সমতল মাঠ থাকলে আমরা নির্বাচনে যাবো তখন থেকেই এটার সময়কাল শুরু। তবে কোন্ কোন্ সুযোগ তারা পেতে পারে তা দেখতে হবে।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা থাকলে তাকে গ্রেফতার করা হলে সমতল মাঠ নেই বলাটা যেমন ঠিক না, আবার কোনো মামলা নেই অথচ তাকে আটক করা হচ্ছে এটাও ঠিক না। এখানে সমতল মাঠ বলতে আমি বুুঝি ইসির উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কর্মিসভা, সমাবেশ, পোলিং এজেন্ট দেয়ার সমান সুযোগ দেয়া। পোলিং এজেন্টরা যেন নির্বিঘেœ কেন্দ্রে যেতে পারে। পাশাপাশি ভোটারদের জন্যও সমতল মাঠ দরকার। তারা যেন নিশ্চিন্তে নিজের পছন্দমতো ভোট নিরাপদে দিতে পারে তা হলো তাদের জন্য সমতল মাঠ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।
কর্মীদের সমতল মাঠ সম্পর্কে মুনিরা খান বলেন, তারা যেন নিজ দলের হয়ে নির্বিঘেœ কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করা। ইসিকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এটাও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এ ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো বিধিমালা মানবেন এবং সরকারেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর ইসিকে প্রেসার ক্রিয়েট করার একটা প্রবণতা আছে। ইসির জন্য সবার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা বড় চ্যালেঞ্জ।
এ দিকে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ব্যাপক অভিযোগ এলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ৩ দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে এবং পুলিশসহ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা আমাদের কথা মান্য করছে। বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না।

আইন অনুযায়ী যেভাবে এগোনোর কথা সেভাবেই নির্বাচনী কাজ এগোচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘একটি বিশেষ সভা করে পুলিশকে কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। তারা আমাদের কথা দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা কাজ করছে। এখানে সরকারের কোনো নির্দেশ নেই। নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের নির্দেশ মাঠে যায় এবং সেটাই প্রতিফলিত হয়।’
সিইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে যে কথা বলছেন তার সাথে কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের মিল নেই। তিনি বলেছেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব নয়। সরকার যদি সরকারি দলের ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকে, তাহলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা সম্ভব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
গত বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠানে মাহবুব তালুকদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে পুলিশের একটি বিরাট ভূমিকা আছে। অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্যের কর্মকাণ্ডে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এটা আমরা চাই না।

মাহবুব তালুকদার তার বক্তব্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে তিনটি ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রথম ঘটনা হচ্ছে, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ১৭৯ জনের একটি স্বাক্ষরবিহীন তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠালে রিটার্নিং কর্মকর্তা তা গ্রহণে অসম্মতি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ফরোয়ার্ডিংসহ তালিকাটি পাঠানো হলেও তালিকায় কারো স্বাক্ষর ছিল না। এতে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এ কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগসংক্রান্ত। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগসংক্রান্ত কার্যক্রম যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক সম্পাদিত হয়ে থাকে বিধায় প্রতিবেদনটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে পাঠানো হয়।
মাহবুব তালুকদার বৈঠকে বলেন, স্বাক্ষরবিহীন ওই তালিকাটিতে কোনো শিরোনাম ছিল না। ফরোয়ার্ডিংয়ে জেলা প্রশাসক অফিসের নিম্নপর্যায়ের একজন কর্মকর্তার নাম ও স্বাক্ষর ছিল। আমি জানি না প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কোনো অযাচিত সহায়তার প্রয়োজন আছে কি না।
দ্বিতীয় বিষয়টি সম্পর্কে মাহবুব তালুকদার বলেন, এটাও পুলিশের কার্যক্রম সম্পর্কিত। রিটার্নিং কর্মকর্তা মৌখিকভাবে বলেছেন। বিরোধী দলের মেয়রপ্রার্থীর কোনো অভিযোগপত্র পাঠানো হলে পুলিশ অফিস থেকে তা গ্রহণের স্বীকৃতিপত্র দেয়া হতো না। অনেক অনুরোধের পর চিঠি গ্রহণ করা হতো। বিরোধী দলের মেয়রপ্রার্থীর পুলিশি হয়রানি, গণগ্রেফতার, ভীতি প্রদর্শন, কেন্দ্র দখলসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এসব অভিযোগসংবলিত পত্রের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো ১১টি অভিযোগের মধ্যে মাত্র চারটির উত্তর পাওয়া গেছে, যা অনেকটা দায়সারা গোছের। পুলিশ বাকি সাতটি অভিযোগের কোনো উত্তর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।

তৃতীয় বিষয়টিও পুলিশকে নিয়েই উল্লেখ করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘গাজীপুরে নির্বাচনকালে ইউনিফর্মধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ অনেক ব্যক্তিকে বাসা থেকে কিংবা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আছে। অনেককে অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের একজন ছাড়া পুলিশ অন্যদের গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। নির্বাচনের পরে দেখা যায়, তাদের অন্তত দশজনকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাওয়া গেছে। গ্রেফতার না করলে তারা কারাগারে গেলেন কিভাবে? এ প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে, তফসিল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা কতটুকু সম্ভব? এ প্রশ্ন মনে জাগে। পুলিশ বাহিনী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, কিছুসংখ্যক গায়েবি মামলার আসামিদের তালিকাবিরোধী দল থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। যদিও অধিকাংশই পুরোনো মামলা। এসব মামলার অজ্ঞাত আসামিদের অনেকের আদালত থেকে জামিন নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কোনো কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে তারা নির্বাচনী প্রচারকাজ চালাতে ভয় পাচ্ছেন। এমন ভীতি সর্বক্ষেত্রে অমূলক নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তা যথাযথভাবে পরিপালন করা প্রয়োজন।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/367130