২৩ নভেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ২:১৬

চার জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ জন নিহত

র্যা ব ও পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার জেলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। জেলাগুলো হচ্ছেÑ কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, মুন্সীগঞ্জ ও সিলেট। পুলিশের দাবি নিহতরা মাদক বিক্রেতা ও ডাকাত।
কক্সবাজার (দক্ষিণ) সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের উপকূলে গভীর রাতে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের ছেলে নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত (৩৯) এবং হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার ছেলে আব্দুল আমিন (৩৭)। পুলিশ জানায়, ২১ নভেম্বর রাত আড়াই টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়া খালীর ট্যুরিস্টজোন সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের এসআই মংছিং প্রু (৩৮), খাইরুল আলম (৩৮), কনস্টেবল রুমন (৩৪) ও আব্দুস শুক্কুর (২২) আহত হন। তাদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা, চারটি দেশীয় অস্ত্র ও ২১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, নিহত দুই ব্যক্তি একাধিক ডাকাতি, মাদকসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত এবং এসব অপরাধের মামলার আসামি ছিল। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোবারক হোসেন (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। বুধবার রাতে উপজেলার মল্লিকবাড়ির নয়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সফিকুল ইসলাম ও মোজাম্মেল নামে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। নিহত মোবারক মল্লিকবাড়ি নয়নপুর গ্রামের মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় চুরি, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে র্যা বের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবুল হোসেন (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। গত বুধবার (২১ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার সোনারং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল হোসেন একজন মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র্যা ব।
র্যা ব-১১ নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মেজর আশিক বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহতের লাশ টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ৫০০ পিস ইয়াবা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যা বের দাবি, নিহত আবুল হোসেন একজন মাদক কারবারি। তার নামে বিভিন্ন থানায় ১৮টি মামলা আছে।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটে র্যা বের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। নিহত মো: শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মিয়া দণি সুরমা থানার তেলিবাজার আহম্মদপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। গত বুধবার ভোরে মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর বাইপাস এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যা ব-৯ এর প থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দণি সুরমা উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায় র্যা ব-৯ এর একটি বিশেষ দল। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শহীদ মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি বলে জানিয়েছে র্যা ব।
সিলেটে ৩০ জুয়াড়িকে কারাদণ্ড ও জরিমানা
এদিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে ৩০ জনকে জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব-৯) পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত মেজর নুর আলমের নেতৃত্বে সিনিয়র এএসপি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরীকে সাথে নিয়ে র্যা ব-৯ কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকায় জুয়া খেলার বিরুদ্ধে বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে ৩০ জনকে আটক করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে তাদের কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেন র্যা ব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/366667