২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:৩৮

সর্বত্রই চলছে আচরণবিধি লংঘন : নির্বাচন কমিশন নির্বিকার

৩৫ ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ, সহকারী প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসারদের তথ্য সংগ্রহ চলছে, পুলিশী খবরদারিতে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার ঃ বাম জোট, পোষ্টার-লিফলেট সরানোর আদেশ

নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে চলছে উৎসব। রাজনৈতিক দল, ঐক্যফ্রন্ট, মহাজোট প্রার্থী বাছাই করছেন। এই উৎসবের সঙ্গে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের মহোৎসব। শুধু প্রতিদ্ব›িদ্ব দলগুলোই নয়, রির্টানিং অফিসার নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন ডিসিসহ ৩৫ জন ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আবার ক্ষমতাসীন দলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে আগাম আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে ভীতি ছড়ানোর অভিযোগ। নির্বাচনে স্কুল-মাদরাসা-কলেজের শিক্ষক যারা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং কর্মকর্তা, দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আনসার-ভিডিপি হিসেবে যারা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তায় থাকবেন তাদের নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান-অতীতে দলীয় পরিচয়, কেউ রাজনীতি করেন কি না এসব তথ্য নেয়া হচ্ছে। এতে সর্বত্রই ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ করেও নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইসি। শুধু তাই নয় পোষ্টার লিফলেটসহ নির্বাচনের আচরণ বিধিতে যা বলা হয়েছে তার কোনোটিই মানা হচ্ছে না।
নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রশাসন তো বটেই; পুলিশ বাহিনী দলীয় বাহিনীর মতো আচরণ করছে। এরা চায় না আমরা নির্বাচনে থাকি’। সুজন সম্পাদক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে। সরকার মানে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশয়ের বিষয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে। এজন্য ইসিকে শক্ত ভূমিকা পালন ও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সদিচ্ছা থাকলে ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে। তারা সাংবিধানিক পদে নিয়োজিত। সুষ্ঠু নির্বাচন করা তাদের দায়িত্ব।
তফসিল ঘোষণার পর ইসি আগাম নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী যেমন পোস্টার-ব্যানার সরানোর নির্দেশ দেয়। ১৮ নভেম্বর ছিল নির্বাচনি প্রচার সামগ্রী সরানোর শেষ দিন। পরে ইসি আরো একদিন সময় বৃদ্ধি করে। কিন্তু নির্দেশনা মানা হয়েছে সামান্যই। এখনো রাজধানী ঢাকার অলিগলিতে পোষ্টারে ভরা। বিভাগ জেলা উপজেলা পর্যায়েও একই অবস্থা। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোর রাস্তাঘাট ঘরের দেয়ালে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীদের পোষ্টার ব্যানার-ফেন্টুনে ছেয়ে গেছে। কিন্তু ইসি নির্বিকার। তবে ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগাম নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার সরিয়ে ফেলার জন্য নিজ খরচে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছিল। যারা এখনও সরাননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা পোস্টার-ব্যানার সরায়নি তাদের বিরুদ্ধে ইসি থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে দোষীদের বিরুদ্ধে জরিমানার করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। অথচ নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধির (৭) ধারার বলা হয়েছে (ক) ‘সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া বিদ্যুত ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দন্ডায়মান বস্তু, (খ) সমগ্র দেশে অবস্থিত সরকারি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ্যের স্থাপনা; (গ) বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিক্সা, কিংবা অন্য কোনো প্রকার যানবাহনে নির্বাচনী পোষ্টার লিফলেট লাগানো যাবে না’। গতকাল বাম গণতান্ত্রিক জোটের বৈঠকের পর প্রস্তাবনা গ্রহণ করে বলা হয়, ‘সরকারি দল বেপরোয়াভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করছে। নানা ভাবে তারা সরকারি সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। পুলিশী খবরদারির ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের উচিত জনগণের পক্ষ্যে কাজ করা’। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইসির সরকারের তল্পিবাহন না হয়ে নিরপেক্ষ ও দৃঢ় ভুমিকা প্রয়োজন। ইসি সে পথে না হেঁটে প্রহসনের নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারীদের প্রয়োজন হইবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সেইরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন’। এটা সরকারের জন্য বাধ্যবাধ্যকতা। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনী কাজে প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর প্রয়োজন পড়বে ইসি তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে। কিন্তু ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে ‘নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ নাকি পুলিশের অধীনে নির্বাচন কমিশন?’। ২১ নভেম্বর আইন শৃংখলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইসি বৈঠকের আহবান করেই খালাস!

ইনকিলাবের জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের সম্পর্কে গোপন অনুসন্ধান নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্কুল-মাদরাসার অনেক শিক্ষক নির্বাচনী দায়িত্ব এড়ানোর কৌশল খুঁজছেন। ভোটের দিন দায়িত্ব পালন করে তারা ঝাঁমেলায় জড়াতে চাচ্ছেন না। অন্যদিকে প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তা স্কুল-মাদরাসা-কলেজের শিক্ষক ও ব্যাংক বীমার কর্মকর্তারা নির্বাচনে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। পুলিশ খোঁজ নিয়ে যে শিক্ষকদের আওয়ামী লীগের বাইরে লোক মনে করছে তাদের বাদ দিয়ে স্থানীয় কোচিং সেন্টারে কর্মরত আওয়ামী লীগ অনুগতদের পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন। নেত্রকোনা থেকে একাধিক ব্যাক্তি এ অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণার আগেই পুলিশ আগবাড়িয়ে এসব করছে অথচ কমিশন কিছু বলছে না কেন? জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো পুলিশ এ ধরনের কাজ করে থাকলে, কেউ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে বিনা মামলায়, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানা থেকে ফোন করে প্রিজাইডিং অফিসারদের নাম চাচ্ছে পুলিশ। বিএনপির কোনো লোক নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে কি না ইত্যাদি তদারকি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সারাদেশে নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার জন্য পুলিশ তালিকা তৈরি করছে। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে কারা কারা সরকার দলের সমর্থক, কারা বিরোধী দলের সমর্থক তাদের তালিকা করে বিরোধী মতের সমর্থক হলে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। পুলিশের প্রকাশ্য ও গোপন হুমকিতে এ নিয়ে দেশজুড়ে শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে আচরণবিধি লংঘন নিয়ে আওয়ামী লীগের বিশেষ কোন অভিযোগ নেই। তবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন যা আচরণবিধির লংঘন হিসেবে নির্বাচন কমিশনে তারা অভিযোগ করেছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কীভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তার আইনগত দিক খতিয়ে দেখতে ইসিকে অনুরোধ করছি। কী করে একজন দন্ডিত, পলাতক, ফিউজিটিভ নেতা একটা দলের লন্ডনে বসে বাংলাদেশের নির্বাচন কাজে অংশ নিতে পারে? এটা কি আরপিওর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন নয়? তা আমরা জানতে চাই। গত রোববার দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি টিম নির্বাচন কমিশনে তারেক রহমানের বিষয়ে অভিযোগ জানায়। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তারেকের কর্মকান্ড আচরণবিধি লংঘনের মধ্যে পড়ে কিনা খতিয়ে দেখতে গতকাল বৈঠকে বসে ইসি। বৈঠকের পর ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, তারেক রহমানের অনলাইন কার্যক্রম আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। নির্বাচনী পোষ্টারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করা যাবে। এটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ব্যাপার। এখন থেকে অহেতুক কাউকে হয়রানি না করতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ ঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করার পরও মাঠ প্রশাসনের অনেক ডিসি, এসপি এবং ইউএনও সরকারি দলের পক্ষে সরাসরি কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। ইসি থেকে ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ সরকারে বিভিন্ন এমপিকে আচরণ বিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর ইসিতে বিভিন্ন জেলার ডিসি. এসপি, ইউএনও এবং সহকারি কমিশনারদের অপসারণ দাবিতে লিখিত অভিযোগ করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এই অভিযোগ ইসিতে ১২ নভেম্বর জমা দেয়া হয়। এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঁদপুরে ডিসি মোঃ মাজেদুর রহমান খান, গোপলগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, মাদারীপুরের ডিসি মো: ওয়াহিদুল ইসলাম, ফরিদপুরের ডিসি উম্মে সালমা তানজিয়া, কিশোরগঞ্জের ডিসি মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের ডিসি মোঃ শহীদুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জের ডিসি সায়লা ফারজানা, চট্টগ্রামের ডিসি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, কুমিল্লার ডিসি মো: আবুল ফজল মীর, নোয়াখালীর ডিসি তন্ময় দাস,খাগড়াছড়ির ডিসি মোঃ শহিদুল ইসলাম, কুডিগ্রামের ডিসি মোছাঃ সুলতানা পারভীন এবং জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদুল করিম, গাইবান্ধর ডিসি সেবাষ্টিন রেমা, নাটোরের ডিসি মুহম্মদ গোলামুর রহমান এবং জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, পাবনার ডিসি জসিম উদ্দিনসহ অনেকই বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে বিএনপি।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসক তথা জেলা রিটার্নিং অফিসার মাজেদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযোগু তুলেছে চাঁদপুরে ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি বলেন, এই দলবাজ রিটার্নিং (ডিসি) অফিসারের কাছে আমরা নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করতে পারি না। এ ছাড়া তিনি দিন কয়েক আগে মিডিয়াতেও বলেছেন, নিরপেক্ষ থাকা যাবে না। জানতে চাইলে সিলেটের ডিসি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জের ডিসি এস এম ফেরদৌস ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে ইসির অধিনে আছি। নির্বাচন শেষ হলে আমরা আবার জনপ্রশাসনে অধিনের যাব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে। আমি আমার জেলায় সেই ভাবে দায়িত্ব পালন করছি।
এখনো অপসারণ হয়নি ঃ রাজধানী থেকে এখনও অপসারণ হয়নি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড। অথচ নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া দ্বিতীয় দফার সময়ও শেষ হয়েছে গত রোববার রাত ১২টায়। উল্টো রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় নতুন পোস্টার ব্যানার দেখা গেছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল থেকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এই সমস্ত পোস্টার, ব্যানার ফেস্টুন অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর গুলশান-১ থেকে গুলশান-২, বনানী, বারিধারা, উত্তরা, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট থেকে শুরু করে পলাশী, আজিমপুর, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, ডেমরা, মুগদাপাড়া, শাহবাগ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে, মৎস্য ভবন, শিক্ষা ভবন মোড়, মগবাজার ও মালিবাগ এলাকা সরকার দলীয় সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের বিলবোর্ড-ব্যানারে ছেয়ে গেছে। বিশেষ করে গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন পর্যন্ত সড়কদ্বীপ ও সড়কের আশেপাশে সরকার দলীয় সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টেুনে ছেয়ে আছে। গোটা রাজধানীতে প্রায় অভিন্ন চিত্র্ অবশ্য গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমেদ বলেন, যাদের পোষ্টার-ব্যনারা সরায়নি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও জরিমানা করা হবে। #

 

https://www.dailyinqilab.com/article/166978