পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের অবস্থান ভেদে মানসম্মান রয়েছে। প্রতিটি রাষ্ট্রই মানুষের মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এক্ষেত্রে আমাদের দেশও ব্যতিক্রম নয়। এ বিষয়ে আমাদের সংবিধানে সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে রাষ্ট্র মানুষের মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করবে।
একজন ব্যক্তির সম্মানের প্রতি অসম্মান করা হলে বা সম্মান বিষয়ে হানিকর কিছু বলা হলে সেটিকে সাধারণ অর্থে মানহানি বলা হয়; তবে আইনের ভাষায় মানহানির ভিন্নতর সংজ্ঞা রয়েছে। একজন ব্যক্তির মানসম্মান তার অধিকার। এ অধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
এ অধিকারের লঙ্ঘন বা হানি ঘটলে একজন ব্যক্তি আদালতের মাধ্যমে তা সংরক্ষণে সচেষ্ট হয়।
আমাদের দেশে একজন ব্যক্তির অপর ব্যক্তি কর্তৃক সম্মান হানি ঘটলে তিনি ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় আদালতে এর প্রতিবিধান চেয়ে মামলা করতে পারেন। দেশের মূল দণ্ড আইন দণ্ডবিধিতে মানহানিকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে এর লঙ্ঘন বা হানির ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির বর্ণিত সংজ্ঞায় মানহানি বিষয়ে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কিংবা তার খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট হবে বলে জেনেও বা তার বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও উচ্চারিত বা পাঠের জন্য অভিপ্রেত শব্দাবলি বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে অনুরূপ ব্যক্তি সম্পর্কিত নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে তবে নিম্নের ১ থেকে ৪ নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যাখ্যা পরে উল্লেখিত ব্যক্তিক্রম ব্যতীত মানহানি সংঘটিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।
ব্যাখ্যা- ১ : কোনো মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে নিন্দাবাদ আরোপ করা এবং সে মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজন বা অন্যান্য নিকটাত্মীয়ের মনকে পীড়িত করার উদ্দেশ্যে অনুরূপ নিন্দাবাদ আরোপ করা মানহানি বলে গণ্য হবে।

ব্যাখ্যা- ২ : কোনো কোম্পানি, সমিতি বা ব্যক্তিসমষ্টি সম্পর্কে সমষ্টিগতভাবে কোনো নিন্দাবাদ আরোপ করা মানহানি বলে গণ্য হবে।
ব্যাখ্যা- ৩ : বিকল্পরূপে বা বিদ্রূপাত্মকভাবে নিন্দাবাদ আরোপ করা মানহানি বলে গণ্য হবে।
ব্যাখ্যা- ৪ : কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো নিন্দাবাদ আরোপ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিতে সে ব্যক্তির নৈতিক বা বুদ্ধিগত চরিত্র অবনমিত না করলে কিংবা তার বর্ণ বা সম্প্রদায় বা তার পেশার দিক থেকে সে ব্যক্তির চরিত্রকে অবনমিত না করলে কিংবা সে ব্যক্তির প্রসিদ্ধি ক্ষুণœ না করলে কিংবা তার দেহ বীভৎস বা ঘৃণ্য অবস্থায় বা যে অবস্থা সাধারণভাবে অরুচিকর বলে বিবেচিত, সে অবস্থায় আছে বলে বিশ্বাস সৃষ্টি না করলে, সে ব্যক্তি সম্পর্কে সে নিন্দাবাদ আরোপ তার খ্যাতি বা সুনাম নষ্ট করেনি বলে গণ্য হবে।

ব্যতিক্রম- ১ : যদি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো ঘটনা সত্য হয় এবং জনকল্যাণের খাতিরে সে ঘটনার উল্লেখ বা প্রকাশ প্রয়োজনীয় হয়, তাহলে সে ব্যক্তি সম্পর্কে সে নিন্দাবাদ আরোপ মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ২ : সরকারি কার্যসম্পাদনের ব্যাপারে কোনো সরকারি কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে বা উক্ত আচরণে তার চরিত্রের যতদূর প্রকাশ পায় ততদূর পর্যন্ত তার চরিত্র সম্পর্কে সরল মনে বা বিশ্বাসে কোনো মতামত প্রকাশ মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ৩ : কোনো সরকারি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির আচরণ এবং সে ব্যক্তির আচরণে তার চরিত্র যতদূর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক, শুধু ততদূর পর্যন্ত তার চরিত্র সম্পর্কে সরল মনে বা বিশ্বাসে কোনো মতামত প্রকাশ করা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ৪ : কোনো আদালত বা বিচারালয়ের কার্যক্রমের প্রায় সম্পূর্ণ সত্য রিপোর্ট প্রকাশ করা বা অনুরূপ কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ করা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ৫ : কোনো বিচারালয়ের বিচারের পূর্ব-কার্যক্রম হিসেবে প্রকাশ্য আদালতে তদন্ত অনুষ্ঠানকারী ন্যায়পাল বা অপর কোনো পদস্থ কর্মকর্তা উপরোক্ত ধারার অর্থ অনুসারে একটি আদালত।
ব্যতিক্রম- ৬ : কোনো বিচারালয়ের বা আদালত কর্তৃক সাব্যস্ত কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলার প্রধান দোষ ও গুণাবলি সম্পর্কে কিংবা অনুরূপ কোনো মামলার সঙ্গে অন্যতম পক্ষ, সাক্ষী বা এজেন্ট হিসেবে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির আচরণ কিংবা উক্ত আচরণে তার চরিত্র যতদূর পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক, ততদূর পর্যন্ত তার চরিত্র সম্পর্কে সরল মনে বা বিশ্বাসে কোনো মতামত প্রকাশ করা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ৭ : সরকারি কোনো কার্যের কর্তা কর্তৃক জনসাধারণের বিচারার্থ উপস্থাপিত কার্যের দোষ-গুণ সম্পর্কে কিংবা কার্যটিতে কর্তার চরিত্র যতদূর পর্যন্ত প্রতিফলিত হয়েছে, শুধু ততদূর পর্যন্ত তার চরিত্র সম্পর্কে কোনো মতামত প্রকাশ করা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।

ব্যতিক্রম- ৮ : কোনো কার্য প্রকাশ্যভাবে কিংবা কর্তার যে ব্যবস্থা দ্বারা জনসাধারণের বিচারার্থ কার্যটির উপস্থাপন বোঝায়, সে ব্যবস্থা দ্বারাও কার্যটি জনগণের বিচারার্থ উপস্থাপিত হতে পারে।
ব্যতিক্রম- ৯ : যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তির ওপর আইন দ্বারা কর্তৃত্ব সম্পন্ন হয়ে অনুরূপ আইনসম্মত কর্তৃত্ব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরল মনে বা বিশ্বাসে তিনি অপর ব্যক্তিকে তিরস্কার করেন, তাহলে সেটা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ১০ : অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির ওপর যেসব লোকের আইনানুগ কর্তৃত্ব রয়েছে, তাদের কারও কাছে অনুরূপ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে কোনো অভিযোগ করা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ১১ : যদি কোনো ব্যক্তি, সরল বিশ্বাসে নিজের স্বার্থে বা অন্য কারও স্বার্থ সংরক্ষণের বা জনকল্যাণের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে অপর কোনো ব্যক্তির চরিত্র সম্পর্কে কোনো নিন্দা আরোপ করেন, তবে তা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।
ব্যতিক্রম- ১২ : যদি কোনো ব্যক্তি অপর কোনো ব্যক্তিকে তার কল্যাণার্থে কিংবা যে ব্যক্তিতে উক্ত ব্যক্তির স্বার্থ নিহিত রয়েছে তার কিংবা জনকল্যাণার্থে হুশিয়ারি দান, সতর্কীকরণ করা হয়, তবে সেটা মানহানির অপরাধ বলে গণ্য হবে না।

দণ্ডবিধির অধীন সংঘটিত মানহানির অপরাধটি আমল অযোগ্য অপরাধ হওয়ায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতিরেকে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেন না। দণ্ডবিধিতে বর্ণিত মানহানির অপরাধটি জামিনযোগ্য এবং মানহানিকর উক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি কর্তৃক আপসযোগ্য। দণ্ডবিধিতে সংজ্ঞায়িত মানহানির শাস্তি ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। এ অপরাধটি যে কোনো ধরনের ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য।
একজন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের কারা ও অর্থদণ্ডের ক্ষমতা অনধিক যথাক্রমে ৫ বছর ও ১০ হাজার টাকা, ৩ বছর ও ৫ হাজার টাকা এবং ২ বছর ও ২ হাজার টাকা। একজন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম শ্রেণীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট।
মানহানির অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচারকার্য পরিচালনার জন্য সব শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেও উক্ত অপরাধের জন্য বর্ণিত সর্বোচ্চ কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের অধিক কারা বা অর্থদণ্ড প্রদানের সুযোগ শ্রেণীভেদে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের নেই।
একজন ব্যক্তির মানহানিকর উক্তি দ্বারা অপর যে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় একমাত্র তিনিই প্রতিকার চেয়ে মানহানিকর উক্তির জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি আমলি ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা রুজু করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে থানায় এজাহার দায়েরপূর্বক মামলা করার কোনো সুযোগ নেই।
এরূপ ব্যক্তি মামলা রুজু করলে এবং সে মামলাটি আদালত কর্তৃক তদন্তের জন্য বা বিচারার্থে গৃহীত হলে অপর কোনো আদালতের এরূপ মামলায় তদন্তের আদেশ বা বিচারার্থে গ্রহণের সুযোগ নেই। আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান অনুযায়ী একই অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যায় না।

আমাদের দেশে প্রায়ই লক্ষ করা যায় রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অথবা রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কর্তৃক মানহানিকর উক্তি করা হলে উক্ত উক্তি দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নন এমন অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একাধিক মামলা রুজু করে থাকেন। একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি অপরাধ সংঘটনের জন্য একটি আদালতে একবারই মামলা রুজু করা যায়। একই বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা রুজু করার সুযোগ আইন দ্বারা বারিত।
দণ্ডবিধির অধীন কৃত মানহানির অপরাধ আমল অযোগ্য এবং জামিনযোগ্য হওয়ার কারণে পুলিশ কর্তৃক ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ব্যতিরেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের যেমন সুযোগ নেই, অনুরূপ অপরাধটি জামিনযোগ্য হওয়ার কারণে অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্ত হতে চাইলে জামিন নামঞ্জুর হওয়ার সঙ্গত কোনো কারণ নেই।
দণ্ডবিধির অধীন সংঘটিত মানহানির ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের প্রকারভেদে অর্থদণ্ডের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ১০ হাজার, ৫ হাজার ও ২ হাজার টাকা হওয়ার কারণে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য নির্ধারিত অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ড আরোপ করার সুযোগ নেই।

একজন ব্যক্তির মানসম্মানের মূল্য অর্থ দ্বারা পরিমাপ করা না গেলেও মানহানিকর উক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বিভিন্ন অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দাবি করে ফৌজদারি মামলা রুজু করে থাকেন। ক্ষতিপূরণের বিষয়টি দেওয়ানি প্রতিকার বিধায় ফৌজদারি মামলায় ক্ষতিপূরণ চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তাছাড়া ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের প্রকারভেদে অর্থদণ্ডের সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্ধারিত হওয়ায় যে কোনো শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক তার জন্য নির্ধারিত অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ড প্রদানের সুযোগ নেই।
সুতরাং ফৌজদারি মামলায় মানহানিকর উক্তির জন্য প্রথমত ক্ষতিপূরণ চাওয়ার সুযোগ নেই; তবে একান্তই কেউ ক্ষতিপূরণ চাইলে তা কোনোভাবেই নির্র্ধারিত শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের জন্য নির্ধারিত অর্থদণ্ডের অতিরিক্ত হওয়া সমীচীন নয়।
মানহানিকর উক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ চাওয়ার অধিকার আইন দ্বারা স্বীকৃত; তবে সে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবিকৃত অর্থের ওপর প্রদেয় কোর্ট ফি প্রদানপূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেওয়ানি আদালতে মামলা রুজু করতে হয়। একজন ব্যক্তি তার মানহানির ক্ষতিপূরণের জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করলে তাকে মামলার আর্জির সঙ্গে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা কোর্ট ফি জমা দিয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা রুজু করতে হয়।

দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে মামলার মূল্যমানের ওপর কোর্ট ফি’র পরিমাণ নির্ভর করে। কোর্ট ফি রাষ্ট্রকে প্রদত্ত এক ধরনের প্রত্যক্ষ কর। যেসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে কর প্রদানের বিষয়টি আইন দ্বারা নির্ধারিত সেসব ক্ষেত্রে আইনবহির্ভূতভাবে দেওয়ানি আদালতের পরিবর্তে ফৌজদারি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের অর্থদণ্ডবিষয়ক বিচারিক এখতিয়ারের বাইরে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি থেকে হাজার কোটি টাকা দাবি প্রকারান্তরে কোর্ট ফি ফাঁকি দেয়ার এক ধরনের চতুরতা। এ বিষয়ে বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনাঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এবং মূল্যবোধ ও নীতিনৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল সচেতন দেশবাসীর সতর্ক থাকা জরুরি।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
iktederahmed@yahoo.com