১ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১

বগুড়ায় দেড়শ’ কোটি টাকার সার গায়েব

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার (বাফা) গুদাম থেকে গায়েব হয়ে গেছে ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ টাকার সার। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুদক দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদমদীঘির সান্তাহার সরকারি সারের গুদামের সাবেক ইনচার্জ নবির উদ্দিন ও সান্তাহার শহরের ঠিকাদারি ব্যবসায়ী ও আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা এই মামলার আসামি। বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় এ মামলা করেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম মনির জানান, বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন (বিসিআইসি)’র সাবেক উপ-প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) ও সান্তাহার রাসায়নিক সারের আপৎকালীন মজুদাগার (বাফার)-এর ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান এবং সান্তাহার শহরের বাসিন্দা রাজা ইন্টারপ্রাইজের মালিক শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা যোগসাজশে এ সার গায়েবের ঘটনা ঘটে। তারা ২০১৩ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪শে জুনের মধ্যে ৫২ হাজার ৩৪২ টন সার যার মূল্য ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ টাকা বিভিন্ন পরিবহন ঠিকাদারের নিকট থেকে গ্রহণ করে। কিন্তু মজুদাগারের স্টক রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ না করে আত্মসাৎ করেন।

আত্মসাৎ ঘটনায় ৪০৯/৪২০ ও ১০৯ ধারা প্যানেল কোডসহ দুদক আইনে এই মামলা করা হয়েছে। আদমদীঘি থানায় সার আত্মসাৎ সংক্রান্ত এটি দুদকের দ্বিতীয় মামলা।
এর আগে ৬ কোটি টাকার রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০১৭ সালের ২রা অক্টোবর অপর একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় সান্তাহার বাফার ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান, সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টা শিপিং এন্ড ট্রেনিং গ্লোবের নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান সান্তাহার বাফার স্টক গুদামের সাবেক হিসাব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় সান্তাহার বাফার স্টক গুদামের ইনচার্জ নবির উদ্দিন খান জামিনে রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমন্ব্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই সারের গুদামের ইনচার্জ নবির উদ্দিন এবং ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম সরকারি গুদামের এসব সার গোপনে বিক্রি করেছে। এমন তথ্য দুদকের কাছে আসলে প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। বুধবার বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয়েছে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=143056