১ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১

৪০ হাজার কর্মীর যাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন প্রক্রিয়া চালু এবং কাজের অনুমতি পাওয়া ৪০ হাজার কর্মীর যাওয়া নিশ্চিত করতে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠক।

বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের ফাঁকে প্রবাসী কল্যাণ সচিব রৌনক জাহান গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এখন থেকে বাংলাদেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে। অতীতের মতো কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হবে না। সেখানকার শ্রমবাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ী জনৈক রইস এবং হানিফকে সামনে রেখে একটি মহল নতুন করে সিন্ডিকেট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে রৌনক জাহান বলেন, ‘এ রকম কিছুই হচ্ছে না। আপনারা যেটা শুনেছেন সেটা ঠিক না। তবে আমরা চেষ্টা করছি একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় পৌঁছানোর বিষয়ে আমরা চেষ্টা করছি। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। দুটি বিষয়—অভিবাসন ব্যয় কমানো এবং অভিন্ন এক প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো এ দুটি বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’
নতুন করে সিন্ডিকেটের জন্য মালয়েশিয়া থেকে কোনো চাপ আছে কি না জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, ‘এ রকম কোনো চাপ নেই। বরং মালয়েশিয়ায় সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তারা একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চাচ্ছে, আমরাও সেটা চাচ্ছি। সেটাই হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’ কবে থেকে নতুন প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হবে এ নিয়ে তিনি নির্দিষ্ট করে সময়সীমার কথা জানাতে পারেননি। রৌনক জাহান বলেন, ‘কবে থেকে যাবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের চেষ্টা আছে যত দ্রুত সম্ভব। তাদেরও প্রয়োজন, আমাদেরও প্রয়োজন।’
অভিবাসন ব্যয় কমাতে দুই পক্ষ রাজি হলেও সেই অর্থের পরিমাণ কত সেটাও তিনি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।

কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন ছাড়া অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে একটি মহল মালয়েশিয়ার মাধ্যমে চেষ্টা করছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে রৌনক জাহান বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কাজেই ভিসার ক্ষেত্রে সত্যায়ন করতে হবে। সেটা তারা (মালয়েশিয়া) মেনে নিয়েছে।’

 

https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1563426