৩০ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৪৬

চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা, আমদানি-রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ

পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম থেকে গতকাল সোমবারও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কোনো পণ্য ডেলিভারি নেয়নি ট্রাক, কাভার্ডভ্যান। পরিবহন অচলাবস্থার কারণে চট্টগ্রাম চেম্বার, আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ীমহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজিএমইএসহ বিভিন্ন রপ্তানি সংশ্লিষ্ট মহল জানান, সময়মতো পণ্য জাহাজিকরণ করা না গেলে তাদের অর্ডার বাতিল হয়ে যাবে। স্টকলট নিয়ে তারা পড়বেন বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে। অন্যদিকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল বন্দর থেকে ডেলিভারি না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উত্পাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ারও আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে।

গতকাল দূরপাল্লার যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাস চলাচল দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ট্রেনে যাত্রী চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বহু যাত্রী ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েন। বিমান যাত্রীরা গণপরিবহনের স্বল্পতায় পতেঙ্গা শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে হয়েছেন চরম কষ্টের শিকার। গতকাল খোলা পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা দেখা গেছে মাঝিরঘাট লাইটারেজ জেটি এলাকাগুলোতে। ঘাট শ্রমিকরা গত দু’দিন ধরে কাটিয়েছেন অলস সময়। অবশ্য বন্দরের ভেতরে জাহাজ থেকে পণ্য ও কন্টেইনার জেটিতে নামানো হলেও বন্দরে আসতে পারেনি বেসরকারি আইসিডি থেকে রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার। অন্যদিকে বন্দর থেকেও আইসিডিতে যেতে পারেনি অফডকের পণ্যভর্তি কন্টেইনার। বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাক্তাই-খাতুনগঞ্জেও পণ্যবাহী ট্রাক আসেনি বা যায়নি।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ বলেন, পরিবহন অচলাবস্থার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যের জট হয়ে যাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানিতে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষতি। মানুষের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অবস্থার অবসান প্রয়োজন। সব সেক্টর থেকে প্রতিনিধি নিয়ে এখন কী করণীয় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রয়োজন। আইন সবার জন্য সমান, সেটা মানতে হবে। তবে কিভাবে মানতে হবে সেটা সবাই বসে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করতে হবে।

প্রাইম মুভার ট্রেইলার মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি সূত্র ইত্তেফাককে বলেন, বন্দরে গত দু’দিন ধরে পণ্য ডেলিভারি নেই। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানের পাশাপাশি প্রাইম মুভার, ট্রেইলার ও লং ভেহিক্যালসহ যেখানে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার যানবাহনে পণ্য ডেলিভারি হতো সেখানে একটি গাড়িতেও কন্টেইনার কিংবা পণ্য ওঠেনি।

 

http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2018/10/30/176419.html