৩০ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৩৩

তিন বছরে ঝরে গেল সাড়ে ৬ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক ; ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ, না মানলে শাস্তি ; প্রশ্নফাঁসের চেষ্টাকারীরা

পরশু বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে একযোগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ১৫ নভেম্বর। এবার যেসব শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, তারা ২০১৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। সে বছর ডিসেম্বরে প্রকাশিত ওই দুই পরীক্ষার ফলে মোট ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪৪ জন (প্রাথমিকে ২৭ লাখ ৯৭ হাজার ২৭৪ জন) এবং (ইবতেদায়িতে ২ লাখ ৫১ হাজার ২৭০ জন) উত্তীর্ণ হয়েছিল। তারাই এবারের (২০১৮) জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, তিন বছর পর এবার নি¤œমাধ্যমিক স্তরের আরেকটি পাবলিক পরীক্ষায় (জেএসসি-জেডিসি) অংশ নিচ্ছে ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬২ জন শিক্ষার্থী। অবশিষ্ট ৬ লাখ ৫৯ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী কোথায় এর কোনো তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলো জানাতে পারেনি। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেয়া হয়নি। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, ঝরে পড়া রোধে সরকারের বিগত বছরগুলোর পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দশ বছর আগে ঝরে পড়াই ছিল বড় সমস্যা। ৫ম শ্রেণীর আগেই ৪৮ শতাংশ ঝরে পড়ত। এখন সব শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, ৫ম-এ সমাপনী ও ৮ম শ্রেণীতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পর সনদ প্রদান, সব শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির আওতায় আনা এবং নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ভবন নির্মাণসহ শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করার ফলে ঝরে পড়ার হার কমেছে।

এ দিকে, আগামী ১ নভেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরুর আগে গত ২৮ অক্টোবর থেকে সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এসব কোচিং সেন্টার থেকেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব বিভাগ থেকে এ সুপারিশ করা হয়েছে এবং এখন তারাই দেশের সব কোচিং সেন্টারকে নজরদারির আওতায় এনেছে। এ নজরদারি অব্যাহত থাকবে পরীক্ষার শেষ দিন পর্যন্ত। কেউ এ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা ও শাস্তির আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুধু নয়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তার জন্য শিক্ষাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ৫টি মন্ত্রণালয় জড়িত। এখন কেউ প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলে রেহাই পাবে না। অতীতে যারা প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টা করেছে, তাদের প্রায় সবাইকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অন্যরাও এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে। কেউ রেহাই পাচ্ছে না।

 

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/360967