৩০ অক্টোবর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৩১

ইভিএমের সুযোগ রেখে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

নির্বাচনে ব্যালট পেপারে প্রচলিত পদ্ধতিতে ভোটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সুযোগ রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের আইন অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। চলতি সংসদ অধিবেশনে এটি পাস হওয়ার সুযোগ না থাকায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে। সংশোধিত আরপিওতে ইভিএমের ‘অপব্যবহার’ করলে সর্বনি¤œ তিন বছর এবং সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত আইনে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৮’ নামে এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। এ সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আরপিও-এর সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়। কতগুলো কেন্দ্রে কিভাবে এটি ব্যবহার করা হবে সেটি নির্বাচন কমিশন দ্বারা নির্ধারিত হবে। দ্বিতীয়ত, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধ করা যাবে। আগে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে তা পরিশোধ করতে হতো। তৃতীয়ত, ম্যান্যুয়াল পদ্ধতিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের পাশাপাশি একই নিয়মে অনলাইনেও মনোনয়নপত্রও দাখিল করা যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৭২ সালে এই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও করা হয়েছিল। তা সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে সংশোধিত এই গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংসদে পাস করার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকায় এটি রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। তিনি বলেন, ইভিএম সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে নতুন আইনে ২৬টি সেফটি মেজারের কথা বলা হয়েছে, যদিও ইভিএমে কোনো নেটওয়ার্ক যুক্ত হয় না বা টেম্পারিং করারও কোনো সুযোগ থাকবে না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ জানান, আইনে ইভিএম মেশিন যদি কেউ ভাঙচুর করে বা চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের লক্ষ্য থাকলেও বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের বিরোধিতা করছে। তাদের আশঙ্কা এই ব্যবস্থায় সরকার ভোট কারচুপি করবে। এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে ইতঃপূর্বে কমিশনের এ সংক্রান্ত বৈঠক ত্যাগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

 

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/360977