১৮ অক্টোবর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৩২

নৌ ট্রানজিট দিতে ব্যয় হবে ২২৭ কোটি টাকা

বাংলাদেশ-ভারত নৌ-ট্রানজিট দ্রুত কার্যকর করা হচ্ছে। এ জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হবে ২২৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর আওতায় সিরাজগঞ্জ থেকে দাকুয়া পর্যন্ত নৌপথ সংস্কার করা হবে। দুই বছরের মধ্যে এই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ করা হবে। এ সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করবে ‘ধরিত্রী বঙ্গ জয়েনভঞ্জার’ নামে একটি কোম্পানি। অবকাঠামো উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় হবে তার ৮০ ভাগ দেবে ভারত বাকি ২০ ভাগ বাংলাদেশ সরকারকে বহন করতে হবে।

গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের বাইরে থাকায় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ থেকে দাকুয়া পর্যন্ত নৌপথ ৩০ মিটার প্রস্থ এবং ২ দশমিক ৫ মিটার গভীর করে খনন করা হবে। এ নৌপথ থেকে প্রায় ৩৬ লাখ ঘনমিটার বালি অপসারণ করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ধরা হয়েছে ২ বছর। বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তী ৫ বছর এ প্রকল্পের রণাবেণ করতে হবে।
৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর সংস্কারকাজ : সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংস্কার করা হবে। এ জন্য ৩৮৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সংস্কারের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালী করা হবে। এ সংস্কারকাজ বাস্তবায়নের কাজ পেয়েছে যৌথভাবে মেসার্স হাল্লা ও মির আকতার লিমিটেড।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রী চলাচল বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু দিন দিন যাত্রী বাড়লেও বিমানবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, লোকবল ও কারিগরি েেত্র সুযোগ-সুবিধা সে হারে বাড়েনি। ওসমানী বিমানবন্দরে প্রতিদিন আট থেকে ৯টি ফাইট ওঠানামা করে। লন্ডন, আবুধাবি, দুবাই ও জেদ্দা থেকে সরাসরি ফাইট নামছে এ বিমানবন্দরে। তবে এখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশ বিমানের কোনো ফাইট দেশের বাইরে যায় না। লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেটে ফাইট অবতরণ করলেও সিলেট থেকে লন্ডন যেতে হয় ঢাকা হয়ে।
বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে শক্তিশালী করার জন্য গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ৪৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)। সেই প্রকল্পে ব্যয় কিছুটা কমিয়ে এবার ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হলো।


http://www.dailynayadiganta.com/first-page/357869