১৩ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার, ১০:৩১

বাজারে ইলিশ নেই মাছের দাম চড়া

শীতের সবজিতে বাজার ভরপুর। তবু কমছে না সবজির দাম। উল্টো বেশকিছু সবজির দাম বেড়েছে। এদিকে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজার। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা ও তেলের দাম।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।
মাছের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ করার কারণে বাজারে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। আর অন্যান্য মাছের চাহিদা বেড়েছে। যার কারণে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিপিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতিপিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন শাক। কলমি শাক প্রতি আঁটি ৭ থেকে ১০ টাকা, লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সবজি বিক্রেতা হাসান আলী বলেন, কাঁচামালের বাজার একদিনের ব্যবধানে দ্বিগুন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার বাজারে তুলনামূলক কাঁচা পণ্য কম আসায় দাম একটু বেড়েছে। তাছাড়া সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ায় শাকসবজির দাম বেড়েছে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বাড়ছে। আর দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ক্রেতারা।
বাজারে মাছের দামও বেশ চড়া। প্রতিকেজি রুই মাছ ২২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিংড়ি হরিণা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গলদা ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কিছুটা নিম্নমুখী ডিম ও মুরগির বাজার। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকা, বয়লার মুরগির ডিম ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতি হালি (৩০০ গ্রাম ওজন) ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু গোশতের দাম। প্রতিকেজি গরুর গোশত ৫০০ টাকা ও খাসির গোশত ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মসলা ও তেলের দাম। প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন (ইন্ডিয়ান) ৭০ টাকা, দেশি ৬০ টাকা, পেয়াঁজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে চালের বাজারে মিনিকেট ও নাজির সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৮ টাকা থেকে ৬৮ টাকা, মাঝারি ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায় আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৬ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম।

http://www.dailysangram.com/post/349103