১২ অক্টোবর ২০১৮, শুক্রবার, ৯:০৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমত। তবে সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরাও মনে করি বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কণ্ঠরোধে ও বাকস্বাধীনতায় হস্তপে করতে পারে। এতে করে তিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন।’ বাংলা ট্রিবিউন।

৮ অক্টোবর বাংলাদেশে পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এর পর থেকেই বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমালোচনা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই মুখপাত্র বলেন, আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই আইন পুনরায় পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের প্রতি অঙ্গীকার অটুট রেখে যেন বাংলাদেশ বিষয়টি বিবেচনা করে বৈধ বাকস্বাধীনতার চর্চা যেন ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি খেয়াল রাখে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অনলাইনে মতপ্রকাশসহ সব ধরনের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অন্যতম চাবিকাঠি।

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের মতে, আইনটি মূলত ঔপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কার্যক্রমের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফোর্বস জানায়, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানোয় ১৪ বছর পর্যন্ত জেল এবং উসকানি ও আতঙ্ক ছড়ায় এমন তথ্য প্রকাশে ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/356361