২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৪৫

শাহ আমানতে যাত্রীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশ বিমানের মাস্কটগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রা বিলম্বিত হওয়ায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছেন যাত্রীরা। বুধবার রাত ১০টায় ফ্লাইটটি মাস্কটের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এটি বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত যেতে পারেনি। বিক্ষোভের মুখে ২১৫ যাত্রীকে বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাদের মাস্কট পাঠানোর কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

শাহ আমানত বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইট বিজি-১২১ ঢাকা থেকে এসে চট্টগ্রামে যাত্রী নিয়ে ওমানের মাস্কটের উদ্দেশে যাওয়ার কথা ছিল বুধবার রাত ১০টায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সেটি না আসায় বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় আটকা পড়েন যাত্রীরা। ২১৫ জন যাত্রী ওই ফ্লাইটে চট্টগ্রাম থেকে উঠার কথা ছিল। রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে যাত্রীদের জানানো হয়, ঢাকা থেকে ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার ভোরে আসবে। যাত্রীরা তাই বিমান বন্দরেই অবস্থান নিয়ে ভোরের ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকেন। ভোরে তাদের জানানো হয়, ফ্লাইট অসেনি, বিকালে আসবে। এরপর আবার জানানো হয়, সন্ধ্যায় আসবে। ফ্লাইটের এমন অনিশ্চিত অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার সকালেই তারা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বিক্ষোভ শুরু করেন। যাত্রীদের অভিযোগ- নিয়ম অনুযায়ী ফ্লাইট ৮ ঘণ্টা বিলম্বিত হলে যাত্রীদের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করতে হয়। এক্ষেত্রে বিমানের পক্ষ থেকে তা করা হয়নি। কখন ফ্লাইট ছাড়বে, তারও কোনো নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেনি তারা।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ম্যানেজার সরোয়ার-ই-জাহান যুগান্তরকে বলেন, ‘রাত ১০টায় ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা থাকলেও দফায় দফায় রিসিডিউল করেও ঢাকা থেকে ফ্লাইট না আসায় যাত্রীরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার ফলে তাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটে। পরে আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করি। কেন ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে, সেটা আমরা বলতে পারছি না। বিমান কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবে। বুধবার ইউএস বাংলার একটি এয়ারক্রাফট এখানে জরুরি অবতরণের যে ঘটনা ঘটেছিল, তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ বুধবার বিকাল থেকেই আমরা রানওয়ে চালু করে দিয়েছি।’
বিমান স্টেশন ম্যানেজার হাসান জহির জানান, বিকাল পর্যন্ত ঢাকা থেকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম আসেনি। তবে যাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে তাদের ঢাকা হয়ে মাস্কট পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ২১৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৭০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয় দুপুরের দুটি ট্রানজিট ফ্লাইটে। বাকি ৪৫ জনকে রাতে অপর একটি ফ্লাইটে ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের মাস্কট পাঠানো হবে।

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/news/94984