২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ৮:৩৬

ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির মাংস। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণেই বেশি দামে মুরগি ও ডিম বিক্রি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। তবে নতুন করে দাম বাড়েনি সবজির।
রামপুরা, কারওয়ান বাজার, সেগুনবাগিচা, ফার্মগেট, গুদারাঘাটসহ বেশ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকায়; যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৩০-১৩৫ টাকার মধ্যে। তবে কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে কিছুদিন আগেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১২০-১২৫ টাকায় পাওয়া যেত। এই বাজারে এখন ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দুটি মুরগির দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকানেই দাম চাইছে ১৫০ টাকা কেজি। তবে ১৪৫ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারবে না বলে জানান বিক্রেতারা। আনোয়ার হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘মুরগির দাম বেশি। আমাদেরও বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।’ তবে গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা জানান, ১৪০ টাকা কেজি দরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রি করছেন। ফার্মগেটের তেজগাঁও কলেজের পাশের বাজারে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গুদারাঘাটের কাঁচাবাজারে মুরগির মাংস কিনতে আসা ক্রেতা সামিয়া বলেন, ‘পাঁচ-ছয় দিন আগে ব্রয়লার মুরগি নিয়েছিলাম ১৩৫ টাকায়। এখন পাঁচ টাকা বেশি নিচ্ছে। দুই-তিনটি দোকান ঘুরলাম, একই দাম।’
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বৃহস্পতিবারের বাজার বিশ্লেষণের তথ্যে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংসের দামে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, মুরগির উৎপাদন খরচ তো বেশি। খাদ্যের দামও বেশি। এ কারণে দাম বাড়ছে। দেড়-দুই মাস আগেও এই দাম ছিল। কোরবানির মধ্যে চাহিদা কমায় দাম কমেছিল। এখন আবার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ডিমের বাজার চড়া। এখনো প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ টাকায়। তবে মুদি দোকানগুলোতে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে পেঁয়াজের বাজার। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। তবে স্থিতিশীল থাকলেও কিছু কিছু সবজি দীর্ঘদিন ধরে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। বেশির ভাগ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকার আশপাশে।

বাজারে নতুন সবজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ও মুলার শাক। তবে মুলা বাজারে এলেও সেগুলো খুব বেশি বড় নয়। এই মুলা বাজারভেদে ৩০-৪০ টাকা দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর মুলার শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা আঁটি। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৬০-৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৮০-৯০ টাকা, আলু ২৫-৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কয়েকজন বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামনে শীত আসছে। এর আগ পর্যন্ত সবজির দাম এ রকমই থাকবে। শীতের মধ্যে সবজির দাম কমবে।

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/industry-business/2018/09/28/684981