২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১:৩২

লবণ শিল্পকে ধ্বংসের চক্রান্ত করছে একটি সিন্ডিকেট

১ লাখ ৬০ হাজার টন উদ্বৃত্ত

লবণ শিল্পকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে একটি চিহ্নিত চক্র। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দেশের একমাত্র লাভজনক খাতকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ১ লাখ ৬০ হাজার টন লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে। এরপরও ঢাকাকেন্দ্রিক চিহ্নিত একটি সিন্ডিকেট সরকারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে লবণ আমদানির চক্রান্ত করছে। তাদের কারণে এই শিল্পটি আবারো হুমকির মুখে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে লবণচাষিদের ব্যাপারে চিন্তা করছেন সেখানে যারা লবণ শিল্প ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে এদেরকে চিহ্নিত করা দরকার বলে মনে করছেন কক্সবাজারের লবণচাষিরা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কক্সবাজারের লবণ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে দেশে লবণের চাহিদা ছিল ১৫ দশমিক ৭৬ লাখ টন। এই মওসুমে উৎপাদন হয়েছে ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ টন। এ হিসাবে চাহিদার চেয়ে লবণের ঘাটতি ছিল ২ লাখ ১২ হাজার টন। সেই বছর ৫ লাখ টন আমদানি বাদে ২ লাখ ৮৮ টন উদ্বৃত্ত থাকে।
২০১৮ সালে ১৬ লাখ ২১ হাজার টন লবণচাহিদা ছিল। এই বছর ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়। ঘাটতি থাকে ১ লাখ ২৮ হাজার টন। ২০১৭ সালের উদ্বৃত্ত ২ লাখ ৮৮ টন বাদে বর্তমানে ১ লাখ ৬০ হাজার টন লবণ চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত রয়েছে।
১৩টি কেন্দ্রের (মোকাম) অধীনে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, কক্সবাজার সদর ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলাসহ (আংশিক) ৬৪ হাজার ১৪৭ একর জমিতে লবণ চাষ হয়।
ইসলামপুর লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদের প্রশ্ন, চাহিদার সাথে উৎপাদনের সমতা থাকলে কোন যুক্তিতে লবণ আমদানি করবে? বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। লবণচাষিদের দাবি, আমদানিকারক সিন্ডিকেটকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। অন্যথায় দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
লবণ মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়। এর পরও বেশি মুনাফার আশায় আমদানির চক্রান্ত করে চিহ্নিত সিন্ডিকেট। তাদের সুযোগ দিলে চলবে না।
এ দিকে কক্সবাজার সদরের চৌফলদণ্ডিতে বিসিকের আওতাধীন জমিতে নতুন ও উন্নত পদ্ধতিতে লবণচাষের পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। সোমবার বিকেলে প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহাম্মদ ইফতিখার। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক জীবন কুমার চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক শফিকুল আলম, আঞ্চলিক পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম, উপমহাব্যবস্থাপক দিলদার আহমদ চৌধুরী, লবণ বিশেষজ্ঞ রতন কুমার আইচ সরকার। অতিথিরা প্রকল্প পরিদর্শনে গেলে স্বাগত জানান লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদসহ সংশ্লিষ্টরা। তিনি লবণ শিল্পের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।

http://www.dailynayadiganta.com/last-page/352062/