২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, রবিবার, ১০:২২

আলোচনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারা

সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৪৩ ধারা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারার চেয়েও নতুন আইনের ৪৩ ধারা বেশি অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তার। (১) যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, ‘কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, মহাপরিচালকের

অনুমোদনক্রমে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম সম্পাদন করিতে পারিবেন-
(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; (খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি বা অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; (গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যেকোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; (ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=136824