১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ১০:০২

টানা পতনে কমছে মূল্যসূচক

আবারও টানা দরপতনের খপ্পরে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ফলে প্রতিদিনই কমছে মূল্যসূচক। গতকাল রবিবার পর্যন্ত টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হয়েছে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। এমনকি এক মাস পর আবারও সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমেছে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসই সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এইদিন লেনদেনের শুরুতে উত্থান-পতন থাকলেও শেষ ঘন্টায় সেল প্রেসারে নামতে থাকে সূচক। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের (বৃহস্পতিবার) তুলনায় ৩৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ফলে গত ১৬ আগস্টের পর ডিএইএক্স আবারও সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নামলো। এর আগে ১৬ আগস্ট লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ছিল পাঁচ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। এরপর রবিবারের আগ পর্যন্ত লেনদেন হওয়া ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে আর সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নামেনি সূচকটি।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গতকাল অপর দুটি মূল্যসূচকেরও পতন হয়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

আর টাকার অংকেও লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮০৪ কোটি ৩৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার শেয়ার। যা এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
লেনদেনের পাশাপাশি এদিন বাজারটিতে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বৃহস্পতিবারের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমছে ২১৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম।
এদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ৩৮১ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৩০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারটির বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা।

টাকার অংকে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএলের শেয়ার। গতকাল কোম্পানিটির ৬১ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাকটিভ ফাইনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকার। ৩৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গার বিডি। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইফাদ অটোস, বিবিএস কেবলস, পেনিনসুলা চিটাগাং, আমান ফিড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সায়হাম টেক্সটাইল এবং শাশা ডেনিম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৭৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ২২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫১টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দাম।##

https://www.dailyinqilab.com/article/153941