১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:৫৪

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষা বাংলাদেশে

মাত্র গত সাত মাসের মধ্যে এশিয়ার চারটি দেশ নেপাল, তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। কিছু অভিযোগ ছাড়া অবাধ, নিরপেক্ষ ও মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে এসব দেশের জনসাধারণ তাদের জাতীয় নেতৃত্ব নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। এর মধ্য দিয়ে এশিয়ার দেশে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে চলেছে। অতঃপর বাংলাদেশেও একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে এবং এশিয়ার অন্য সব দেশের মতো এখানেও গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত প্রায় এক যুগে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রায় তলানিতে ঠেকেছে বলে মনে করেন এখানকার বিশ্লেষকরা। নির্বাচনে কারচুপি ও রেজাল্ট পক্ষে নেয়ার জন্য বহু পথ-পদ্ধতি ও কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। যা নিয়মিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চর্চাকারী দেশগুলোর পক্ষে চিন্তা করা অভাবনীয় বিষয়। বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়াকে এখন বৈধতা দেয়ার এবং এসব অনৈতিক কর্মকা-কে ‘অপকৌশলের’ পরিবর্তে ‘নির্বাচনী কৌশল’ হিসেবে চালানো চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলে ফেলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে কোথাও কোনো অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ তাঁর নেই। তবে অনিয়ম হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাঁর এই বক্তব্যে রাজনীতির ময়দানে বিতর্ক সৃষ্টি করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করেন ভাষ্যকাররা।

নেপালে নির্বাচন : ২০১৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী নেপালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হওয়া দেশে রাজনৈতিক ভূমিকম্পও চলে সমানতালে। কিন্তু সেখানে একটি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিলো- যা এই নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ হয়েছে। এই নির্বাচনে ২৭৫টি আসনের মধ্যে বিরোধী জোট সিপিএন (সংযুক্ত মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) সর্বমোট ১২১টি আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। আর ক্ষমতাসীন নেপালী কংগ্রেস ৬৩টি আসন পেয়ে বিরোধী দলে পরিণত হয়। অপর বামপন্থী দল সিপিএন (মাওবাদী) পায় ৫৩টি আসন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় জনতা পার্টি ১৭টি এবং ফেডারেল সোসালিস্ট ফোরাম লাভ করে ১৬টি আসন। প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন বিজয়ী জোটের শরিক নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলি। বামপন্থী জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় নেপালে এবার একটি স্থিতিশীল সরকার গঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।

মালয়েশিয়ায় নির্বাচন : চলতি বছর ৯ মে এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র মালয়েশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীর্ঘ মেয়াদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও বিরোধী দলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহীমের নেতৃত্বাধীন বিরোধী পাকাতান হারাপান জোট বিপুলভাবে বিজয়ী হয়। মালয়েশিয়ার ১৪তম এই সাধারণ নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদ পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে সমাসীন হন। নির্বাচনে ২২২ আসনে মধ্যে পাকাতান হারাপান ১২৬ আসনে এবং ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বারিসান ন্যাশনাল ৮৮ আসনে জয়ী হয়। সাবেক সহকর্মী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন ৯২ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বারিসান ন্যাশনাল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পাকাতান হারাপান জোটে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথবারের মতো মালয়েশিয়ায় সরকার গঠন করে বিরোধী দলীয় জোট পাকাতান হারাপান। এই নির্বাচন বিশ্বব্যাপি বিশেষ করে এশিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

তুরস্কে নির্বাচন : চলতি বছরের ২৫ জুন আরেকটি আলোচিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ার উত্তর প্রান্তের শেষ রাষ্ট্র তুরস্কে। সেখানে একই দিনে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন এ.কে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং এরদোগান পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে বিজয় অর্জন করেন। নির্বাচনে ৬০০টি আসনের মধ্যে একে পার্টির নেতৃত্বাধীন পিপলস এ্যলায়েন্স লাভ করে ৩৪৪টি, রিপাবলিক্যান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন জাতীয় জোট পায় ১৮৯টি এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি পায় ৬৭টি আসন। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও এরদোগান আগাম নির্বাচন দেন। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর তিনি বলেন, ‘পুরো বিশ্বকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে তুরস্ক।’
পাকিস্তানে নির্বাচন : সর্বশেষ গত ২৫ জুলাই বুধবার অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তান পার্লামেন্টের ১৫তম নির্বাচন। সাবেক বিশ্বখ্যাত ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পি.টি.আই) বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। নির্বাচনে সাধারণ ২৭০টি আসনের মধ্যে তেহরিক-ই ইনসাফ পায় ১১৫টি আসন এবং মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৬৪টি আসন। এ ছাড়া, বিলাওয়াল ভুট্টো ও জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি.পি.পি) ৪৩টি, এম.কিউ.এম ৬টি এবং এমএমএ ১৩টি আসন লাভ করে। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করে মুসলিম লীগ (নওয়াজ) নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে। পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।’ তবে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রধান (সিইসি) মুহাম্মাদ রাজা খান এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেন, নির্বাচন শতকরা একশ’ ভাগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের নয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পিটিআই প্রধান ইমরান খান শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনও সম্পন্ন হয়েছে। সর্বশেষ দেখা যায়, নির্বাচনী ফলাফল মেনেই নির্বাচিত সকল দলই পার্লামেন্টে যোগ দিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশের চিত্র : বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পুর্তিতে চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এখানে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা ছিলো প্রধান বিরোধী দলগুলো বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এককথায় নজিরবিহীন অনিয়মে ভরা নির্বাচন। যা বিশ্বব্যাপি গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে কখনোই সমর্থ হয়নি। শুরুতে বিজয়ী আওয়ামী লীগ সরকার বলে আসছিলো যে, এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার নির্বাচন। সকল দলের অশংগ্রহণে পুনরায় নির্বাচনের আশ্বাস থাকলেও শেষ পর্যন্ত সরকার সেই পোকায় খাওয়া নির্বাচনকেই হালাল করে নেয় এবং পূর্ণ মেয়াদ পুর্তির দিকে এগিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, আগামী নির্বাচনও ৫ জানুয়ারির অনুরূপভাবে আয়োজন করে পার পাওয়া যায় কি না- সে চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশে এযাবত অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহে অসংখ্য অনিয়ম, অনৈতিকতা ও অবৈধ প্রক্রিয়া গ্রহণ করে বিজয়ী হওয়ার প্রবণতা খুঁজে পেয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ভোটের পুরো কার্যক্রম থেকে বিরোধী পক্ষের মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্ব ও নির্বাচনী এজেন্টদেরকে বিতাড়িত করা, দলীয় প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসার নিয়োগ, বিরোধীদেরকে মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা, ভোটের দিন উদ্দেশ্যমূলক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিরোধী ভোটারদেরকে কেন্দ্রে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করা, প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও হুমকিপ্রদান করা, ভোট কেনা-বেচা, ভোটার ও এজেন্টদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়া, ডামি এজেন্ট ও ভোটার নিয়োগ করা, ভোটকেন্দ্রে শক্তিমত্তা প্রদর্শণ, অন্ধকার ও সংকীর্ণ পরিসরে ভোট গ্রহণ করা, ভোটকেন্দ্র দখলে নিয়ে ইচ্ছেমত সিল মারা, একজনের শতাধিক ভোট প্রদান করা এবং এজন্য একেকজনের ১০ আঙ্গুলের টিপ নেয়া, একজনের ভোট আরেকজনের দিয়ে দেয়া, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষদের কাজে বাধা প্রদান করা, ব্যালটের বা-িলে গণনায় কারচুপি করা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা, ব্যালট পেপার ছিনতাই করা, স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট পেপার বৈধ হিসেবে গ্রহণ করা, স্বাক্ষর ছাড়াই রেজাল্ট শিট প্রদান করা, পুরো বই মেরে দিয়ে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখা, নির্বাচনসংশ্লিষ্টদেরকে সবসময় ভীতি ও চাপের মধ্যে রাখা, ভোটের শতকরা হার বেশি দেখানো, ভোটের শেষ সময়ে চাপ সৃষ্টি করে দলের পক্ষে ভোট গ্রহণ করা প্রভৃতি। তবে সর্বসাম্প্রতিক সংযোজন হলো, বিশেষ প্রতীকে সিল মেরে পূর্বেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হচ্ছে এবং ভোট গণনার সময় এসব বাক্সের ব্যালট গণনায় যুক্ত করা হচ্ছে। এভাবে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে। এজন্য প্রশাসন যন্ত্রকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। পুরোপুরি না হলেও এর আংশিক স্বীকৃতি মিলেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য থেকে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলে ফেলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে কোথাও কোনো অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ তার নেই। গত ৭ আগস্ট নির্বাচন প্রশিক্ষণ ভবনে এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমরা অস্বস্তিতে নেই। আমরা মনে করি না যে জাতীয় নির্বাচনে এ রকম অসুবিধা হবে। তবে পাবলিক নির্বাচন, বড় বড় নির্বাচনে কোথাও কোনো অনিয়ম হবে না- এই নিশ্চয়তা দেয়ার সুযোগ আমার নাই।’

বিশেষজ্ঞ অভিমত : এব্যাপারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফজলুল হক বলেন, এশিয়ার যেসব দেশে সম্প্রতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোতে গণতন্ত্রের পথে আরো এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হলো। বাংলাদেশের জনগণও সেই দিনের অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। একটি সরকারের দায়িত্বই হচ্ছে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও এটাই যে, মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানবিক অধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ উল্টোপথে যাত্রা করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রেখে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর মধ্য দিয়ে দেশে পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। মানুষ একটি স্বস্তির পরিবেশ ফিরে পাবে।
এদিক থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা সফলতার দ্বারপ্রান্তে আসা এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জাতিসংঘসহ বাইরের দেশসমূহ সক্রিয় হয়ে উঠায় নতুন আশার সঞ্চার করেছে। মনে করা হচ্ছে, ২০১৪ সালের ভোট ও ভোটারহীন নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি আর বাংলাদেশে ঘটবে না।

http://www.dailysangram.com/post/345856