১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, সোমবার, ৯:০৬

অনিয়ম আর লুটপাটে বেসিক ব্যাংকের মতো ভাগ্যবরণের পথে জনতা ব্যাংক

একসময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিলো বেসিক ব্যাংক। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে অনিয়ম আর লুটপাটের কারণে ব্যাংকটি এখন মৃতপ্রায়। এর হোতা সরকারের আনুকূল্যে থাকা ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু। ব্যাংকটিকে কোমায় নিয়ে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। একই কারণে ও দলীয় হস্তক্ষেপে বেসিক ব্যাংকের ভাগ্যবরণের পথে এখন রাষ্ট্রায়ত্ত আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক। সরকার ক্ষমতায় আসার পর কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাংকটি এক গ্রাহককেই মাত্র ৬ বছরে দিয়েছে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার ঋণ ও ঋণসুবিধা। এই গ্রাহক হচ্ছেন এননটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউনুস (বাদল)। অথচ নিয়ম অনুযায়ী তিনি ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। গ্রাহক ইউনুস এখন এ ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। নিয়ম মেনে ঋণ না দেয়ায় বিপদে পড়েছে ব্যাংকটি। শুধু এখানেই শেষ নয়, এই অনিয়মের পর আরও থলের বিড়াল বের হতে থাকে। ৫০০ কোটি টাকার ওপরে এমন ছোট খাটো ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হতে থাকে। এরপর আবারও জনতা ব্যাংকে ঘটে বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা। এবার ভুঁয়া রফতানি নথিপত্র তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেয়ার খবর ফাঁস হয়ে যায়। অপকর্মে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্রিসেন্ট গ্রুপকে অর্থায়নও করে জনতা ব্যাংক। ক্রিসেন্টের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। বিদেশে রফতানির ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। সরকারের নগদ সহায়তা তহবিল থেকে তুলে নিয়েছে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে গ্রুপটি সরকারি ব্যাংক ও সরকারের তহবিল থেকে মাত্র পাঁচ বছরেই নিয়ে নিয়েছে ৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ফলে মাত্র দু’টি গ্রুপের কাছেই ব্যাংকটির পাওনা ১০ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। যার পুরোটাই এখন খেলাপির খাতায় চলে গেছে। ফলে অনিয়ম ও দলীয় হস্তক্ষেপে লুটপাটের কারণে বেসিক ব্যাংকের মতো করুণ পরিণতির দিকে যাচ্ছে এক সময়ের ভালো অবস্থানে থাকা জনতা ব্যাংক।
জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের মোট মূলধন ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। অথচ একজন গ্রাহককেই দেয়া হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ। ব্যাংক দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত পরিচালনা পর্ষদই এই বিপজ্জনক কাজটি করেছে। হল-মার্ক ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর এটিকেই পারস্পরিক যোগসাজশে সাধারণ মানুষের আমানত নিয়ে ভয়ংকর কারসাজির আরেকটি বড় উদাহরণ বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাতের সময় এই অর্থ দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এ সময় ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নাগিবুল ইসলাম ওরফে দীপু, টাঙ্গাইলের কালিহাতী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগ নেতা আবু নাসের প্রমুখ। ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয় খেয়ালখুশিমতো।
ব্যাংকটিতে প্রথম যে বৃহৎ কেলেঙ্কারির ঘটেছে সেটা হলো এননটেক্স গ্রুপ। যার এমডি মো. ইউনুস (বাদল) এর ২২টি প্রতিষ্ঠানের নামে সব ঋণ দিয়েছে ব্যাংকটি। তাঁর মূল ব্যবসা বস্ত্র উৎপাদন ও পোশাক রফতানি। জনতা ব্যাংকের একাধিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, কোম্পানিগুলোর নামে বিভিন্ন সময়ে কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হলেও টাকা পরিশোধ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে ব্যাংক নিজেই বাধ্য হয়ে বিদেশী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে অর্থ শোধ করে দিয়েছে। পরে গ্রাহক তা পরিশোধ করেনি। এভাবে নেওয়া ঋণসুবিধার (নন-ফান্ডেড) সব অর্থই সরাসরি ঋণে (ফান্ডেড) পরিণত হয়েছে। আবার দৈনন্দিন ব্যবসা পরিচালনার জন্য নেয়া চলতি মূলধনও (সিসি ঋণ) ফেরত দেয়নি।

জনতা ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০০৪ সাল থেকে জনতা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখায় প্রথম ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করে এননটেক্স গ্রুপের জুভেনিল সোয়েটার। ওই শাখার বেশি ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় ২০০৮ সালে জনতা ভবন করপোরেট শাখায় ঋণটি স্থানান্তর করা হয়। ২০১০ সাল থেকে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান খুলে ঋণসুবিধা নেয়া শুরু হয়। আর এ ঋণ দেয়ার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাত।

এক গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের বৃহত্তম কেলেঙ্কারির পাশাপাশি চাতুর্যের আশ্রয়ও নিয়েছে জনতা ব্যাংক। ঋণ কম দেখাতে ব্যাংক তাদের নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক গ্রুপ বলে উল্লেখ করেছে। নিয়মনীতি ভেঙে এক গ্রাহককে বেশি ঋণ দেওয়ার তথ্য লুকাতেই এই চাতুরতার আশ্রয় নেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেয়া প্রতিবেদনেও ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণকে তিনটি পৃথক গ্রুপ হিসেবে দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। যোগসাজসের মাধ্যমে এ অনিয়ম ঘটাতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করে বলেন, জনতা ব্যাংক একসময় সেরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু আবুল বারকাতই ব্যাংকটি শেষ করে দিয়েছেন।

জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে গত তিন বছর দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তাঁর চেয়ারম্যানের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে তারা আরও ঋণ চেয়েছিল, আমি দিইনি। এ কারণে আমি তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছি। আর ঋণের প্রায় সবই আগের চেয়ারম্যানের (আবুল বারকাত) সময় দেয়া। তিনি বলেন, কেন একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণকে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের নামে দেখানো হলো, তা জানি না। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই এটি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আর এটা এত দিন গোপন করার চেষ্টা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আইনে আছে, মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি এক গ্রুপকে দেয়া যাবে না। এর বেশি ঋণ গেলে ব্যাংকের জন্য বড় ঝুঁকি হয়ে যায়। ফলে যা হবার তাই হয়েছে।
একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা জনতা ব্যাংককে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারির খবরে ছোট ছোট অনিয়মের খবর যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়। বৃহৎ এ ঋণ জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বৃহৎ ঋণ কেলেঙ্কারির খবর জনসম্মুখে চলে আসে। এ যেন ব্যাংক লুটপাটের মহোৎসব। নিয়ম করে একটি ব্যাংক লুটপাট শেষে আরেকটি শুরু করা। এ ক্ষেত্রে এবার জনতা ব্যাংককেই বেছে নেয়া হয়।

এবার ভুয়া রফতানি নথিপত্র তৈরি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেয়া হয়। এভাবে সরকারের নগদ সহায়তা তহবিল থেকে ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা নিয়েছে ক্রিসেন্ট গ্রুপ। অপকর্মে সহায়তা করার পাশাপাশি ক্রিসেন্ট গ্রুপকে অর্থায়নও করেছে জনতা ব্যাংক। ক্রিসেন্টের কাছে জনতা ব্যাংকের পাওনা ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। বিদেশে রপ্তানির ১ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা আটকা রয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটি সরকারি ব্যাংক ও সরকারের তহবিল থেকে মাত্র পাঁচ বছরেই নিয়ে নিয়েছে ৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। ২০১৩ সাল থেকে এসব অনিয়মের শুরু।
জনতা ব্যাংক ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখার মাধ্যমে এত সব জালিয়াতি হয়েছে। শাখাটির মোট ঋণের ৯৮ শতাংশই এ গ্রুপের কাছে আটকা। যার সবই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ক্রিসেন্ট গ্রুপের পাদুকাসহ চামড়াজাত পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জনতা ব্যাংকের নিজস্ব অনুসন্ধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সরকার থেকে নেওয়া নগদ সহায়তার টাকা দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছে গ্রুপটি।
জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ করপোরেট শাখায় গ্রাহক বলতে ক্রিসেন্ট গ্রুপ একাই। শাখাটির মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রিসেন্ট গ্রপের ছয় প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, ব্যাংকের রক্ষিত মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি কোনো গ্রুপকে অর্থায়ন করা যায় না। কিন্তু ব্যাংকটির শাখা থেকে ঋণ হিসেবে গেছে মূলধনের ৫৫ শতাংশ।

ক্রিসেন্ট গ্রুপের ছয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ, রূপালী কম্পোজিট লেদার, লেক্সকো লিমিটেড, গ্লোরী এগ্রোর কর্ণধার এম এ কাদের। আর রিমেক্স ফুটওয়্যার নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার তাঁর ভাই এম এম আজিজ।
২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন আবদুস সালাম। তাঁর মেয়াদেই সবচেয়ে বড় অনিয়ম হয়। তাঁর সময়ে রপ্তানি বিল শাখার দায়িত্বে ছিলেন ডিএমডি মোহাম্মদ ফখরুল আলম। গত ১২ জুন ফখরুল আলমকে কৃষি ব্যাংকে বদলি করে সরকার।
২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে জনতা ব্যাংকের এমডির দায়িত্বে আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দায়ের সবই এখন খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সম্প্রতি এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামতের ভিত্তিতে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান মেনে তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর অবসরে যান আবদুস সালাম। বর্তমানে তিনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের উপদেষ্টা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক তাঁকে এমডি বানাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত মাসে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। জানা গেছে, তাঁর মেয়াদে জনতা ব্যাংকে বিভিন্ন অনিয়ম হওয়ার কারণেই তা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ দুটি ব্যাংকই চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে।

এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা গত ২ আগস্ট ক্রিসেন্ট গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ব্যাংকের সাবেক এমডি ও একাধিক ডিএমডির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অর্থ মন্ত্রণালয় এ চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এসব অনিয়মের মূল কারণ হলো, আগের দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা না নেয়া। ব্যবস্থা নিলে আর এমন ঘটনা ঘটতো না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, একটি ব্যাংক কীভাবে পারলো একজনকে ৫ হাজার কোটি টাকা দিতে। নিশ্চয়ই বড় কেউ রয়েছে এর পেছনে। এটার পেছনে কারা, তা খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

http://www.dailysangram.com/post/344911