৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:১২

দর হারিয়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার কমেছে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ

দর হারিয়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
গতকাল সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮৮টি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টির। ৪১টি প্রতিষ্ঠানের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও এদিন ব্যতিক্রম ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানেরই দাম বেড়েছে।
তবে পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে পরিচিত ব্যাংক খাতের মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় রয়েছে ২৭টির। ব্যাংকের মতো অবস্থা অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। এ খাতের মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮টির।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক চার পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর বাজার মূলধন ৫০০ কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। যা আগের কার্যদিবস শেষে ছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭০৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭২২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কেপিসিএল’র শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ২৯ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিবিএস কেবলস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইউনিক হোটেল, আমান ফিড, ড্রাগন সোয়েটার, সামিট পাওয়ার, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, সায়হাম টেক্সটাইল ও ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ২১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৪২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৩১টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির।

http://www.dailysangram.com/post/344126