২৬ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৯:২৯

ফিরতি ট্রেনেও বিলম্ব, ভোগান্তি

রাজধানীতে ভোগান্তি নিয়েই ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। বিশেষ করে ট্রেন যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটির সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার ছুটি শেষে গতকাল সকাল থেকেই বাস, ট্রেন ও লঞ্চঘাটে মানুষের ভিড় দেখা যায়। ঈদুল আজহার আগে রেলের সূচিতে যে বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল, ঈদের বিরতির
পর সেই একই চিত্র দেখা গেল গতকালও। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ঢাকায় ফেরা মানুষ। এ অঞ্চলের প্রতিটি ট্রেনই দুই থেকে তিন ঘণ্টা বেশি দেরিতে ঢাকায় এসেছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনে যাত্রী বেশি থাকায় ট্রেনগুলোকে ধীরগতিতে চালাতে হয়েছে এবং স্টেশনে ২ মিনিটের জায়গায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট দেরি করতে হয়। ভিড় ছিল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও। আজ ভোরে লঞ্চে ভিড় আরো বেশি হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে রাজধানীর আপন রূপে ফিরতে এখনো সময় লাগবে। কারণ অনেকেই ঈদের সাধারণ ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি যোগ করেছেন। তাই রাজধানী তার চিরচেনা রূপে ফিরতে আরো সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র সাহা জানান, গতকাল সকাল ৬টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন এসেছে কমলাপুর স্টেশনে। তার মধ্যে সূচি বিপর্যয়ে পড়েছে নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি স্পেশাল ট্রেনগুলো। নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট এবং একতা এক্সপ্রেস ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরি করে প্ল্যাটফরমে এসেছে। লালমনি স্পেশাল সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টায়ও সেই ট্রেন ছাড়েনি। রাজশাহীগামী সিল্ক সিটি সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা, কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টায়ও ছাড়েনি। তিনি জানিয়েছেন, ফিরতি পথে যাত্রীদের সুবিধার জন্য নীলসাগর এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটির কর্মীদের ছুটি আগামী ৩০শে আগস্ট পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। এদিকে ঈদুল আজহার নির্ধারিত ছুটি শেষে গতকাল থেকে খুলেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। আজ রোববার থেকে সরকারি অফিসে কাজ শুরু হবে।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=132236