১১ জুলাই ২০১৮, বুধবার, ১০:০৩

ঢাবি ভিসি আখতারুজ্জামান ও হোটেল সাহারা

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে অনেক সিনেমা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ১৯৫১ সালে একটি ছবি তৈরি করা হয়, তার নাম ছিল হোটেল সাহারা। তৎকালে এই কমেডি ছবিটি ব্যাপক সাড়া জাগায়। হোটেলটি উত্তর আফ্রিকার এমন জায়গায় অবস্থিত ছিল যে, এই এলাকায় অবিরাম ইতালিয়ান, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ব্রিটিশ প্রভৃতি দেশের সেনাবাহিনী এসে হাজির হয়। ফলে হোটেলটি পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। হোটেলের মালিক হোটেলটি পরিত্যাগ করে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বান্ধবী ইয়াসমিন তাকে পরামর্শ দেয় যে, পরিত্যাগ করার চেয়ে বরং আমরা দেখি যে, হোটেলটিকে রক্ষা করা যায় কিনা। তাদের সঙ্গে রয়ে যায় ইয়াসমিনের মা ম্যাডাম প্যালাস এবং ইউসুফসহ কয়েকজন। এর মধ্যে প্রথমেই সেখানে আসে ইতালিয়ান বাহিনী তারা হোটেলটি দখল করে নেয়। আর হোটেল মালিক দ্রুত হোটেলের সামনে ইতালিয়ান পতাকা টানিয়ে দেয়। ইয়াসমিন ইতালিয়ান জেনারেলদের তার সৌন্দর্য দিয়ে আকর্ষিত করে। কিন্তু ইতালিয়ানরা শীঘ্রই বুঝতে পারেন যে, এই এলাকায় তাদের পতন আসন্ন, আর তাই তারা হোটেল সাহারাসহ এলাকার সকল স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু মালিকের সহযোগী এমাদ হোটেলটি রক্ষার জন্য, এই ইতালিয়ানদের ট্রাকের চাকা নষ্ট করে দেয় এবং ইতালিয়ানরা পালিয়ে যেতে থাকে, তখন পেছন থেকে অবিরাম গুলী চালায় ফলে তারা আরও দ্রুত পালিয়ে চলে যায়।

এরপর আসে ব্রিটিশ বাহিনী। ব্রিটিশ এক মেজর র্যােন্ডাল ও ক্যাপ্টেন চেনি ইয়াসমিনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ম্যাডাম প্যালাসও অনেকের সঙ্গে খুনসুঁটি করতে থাকে। মেজর র্যা ন্ডালের দায়িত্ব ছিল ব্রিটিশ বাহিনীর পক্ষে আরবদের সমবেত করা। এমাদ ঐ মেজর ও ক্যাপ্টেনকে জানায় যে, তারা হোটেলে থাকার বিনিময়ে টাকা চায় না বরং কিছু খাদ্য ও পণ্য চায়। ততক্ষণে হোটেলে ব্রিটিশ পতাকা উঠে গেছে। এমাদ কথা দেয় যে, সে ব্রিটিশ বাহিনীর জন্য আরবদের জোগাড় করে দেবে। তবে শর্ত এই যে, ব্রিটিশদের ঐ এলাকা ত্যাগ করতে হবে। ব্রিটিশরা এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়।
তারা চলে যাওয়ার পর আসে জার্মান বাহিনী। হোটেলের পতাকা বদলে জার্মান পতাকা তোলা হয়। তারাও ইয়াসমিনের রূপে মুগ্ধ হয়। এমাদ এবং চেনি এ সময় উটের পিঠে চড়ে আরবদের নিয়ে হোটেলে এসে হাজির হয়। চেনিও সে সময় আরবদের পোশাক পরে ছিল, তারপর তারা একটি ভোজসভার আয়োজন করে এবং আরব শেখদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে। আর ইয়াসমিন আরবীয় পোশাক করে বেলি ড্যান্স করতে থাকে। সে সময় জার্মানরা দেখতে পায় যে, বিশাল একটি ফরাসি বাহিনী তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। তখন জার্মান লেফটেনেন্ট এবং ব্রিটিশ মেজর আরবীয় পোশাক পরে। চেনিও পরে আরবীয় মেয়েদের বোরকা। এরকম সময় ফরাসি বাহিনী চলে যায়। জার্মান ও ব্রিটিশ তিনজন তখন পরস্পরকে চিনতে পারে এবং গোলাগুলী শুরু করে। এতে জার্মানরা পালিয়ে যায়। তখন এমাদ এবং ইয়াসমিন আমেরিকানদের আগমন বার্তা শুনতে পায়, ছবিটি এখানেই শেষ।

আমাদের সাংবাদিকতার প্রথম জীবনে যে সব সংবাদপত্র আজ এক রকম কাল আরেক রকম লিখতো- তাদের আমরা এই বলে টিটকারি দিতাম যে হোটেল সাহারা। অর্থাৎ আবহাওয়া পরিবেশ প্রকৃতি অনুযায়ী পতাকা বদল করে ফেলে যারা, তাদেরকেই এই অভিধায় চিহ্নিত করা হতো। শিক্ষিত ও সভ্য সমাজে তাই আশির দশকের শুরুর দিকে হোটেল সাহারা গালি হিসেবে ধরা হতো। অর্থাৎ এদের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতি ও আদর্শ নেই। যখন যেমন সুবিধা- তখন তেমনই আচরণ তারা করেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আখতারুজ্জামান তেমনি হোটেল সাহারার নীতি প্রদর্শন করলেন। মাত্র তিন মাস আগে যে আখতারুজ্জামান ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছে, তিন মাস পরে তিনি একেবারে উল্টে দাঁড়িয়েছেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক, সরকারের উচিৎ তাদের দাবি মেনে নেয়া। কেননা তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, কোটা থাকবেই না। কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়া হলো। শেখ হাসিনা বলেছেন- অতএব আর তো কোনো কথা চলে না। এসব শেয়াল এক রা তুললো, কোটা সংস্কার যৌক্তিক। প্রায় সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কোটা সংস্কারের পক্ষে দাঁড়ালেন। কিন্তু যেই না প্রধানমন্ত্রী তার সুর বদলালেন, তখন এ শেয়ালেরা রা বদলালেন।
আর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার, সহিংসতা ও হয়রানির প্রতিবাদে গত রোববার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো নিপীড়ন বিরোধী পদযাত্রা। নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের ব্যানারে ক্যাম্পাস থেকে শুরু শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। তাতে ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। পদযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে সঞ্চালনা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান। সমাবেশে শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও অবিশ্বাস্য। এটি পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলেও ঘটেনি। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। এজন্য ছেলেমেয়ে, অভিভাবক, শিক্ষক সবাই এতে সমর্থন দিয়েছে। ৫৬ শতাংশ কোটা অত্যন্ত অযৌক্তিক। আন্দোলন করেছে বলে সরকার কমিটি করতে বাধ্য হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কারে যারা আন্দোলন করেছে, তাদের ওপর নৃশংস-বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। হাতুড়ি দিয়ে এভাবে নৃশংস হামলা আগে দেখিনি। যে অবস্থা চলছে, তাতে মানুষের নিরাপত্তা নেই। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে- এটি যৌক্তিক নয়। অবিলম্বে কোটা সংস্কারের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এ শিক্ষাবিদ। সমাবেশে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আন্দোলন করার কারণে শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা করা হয়েছে। মেয়েদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মিথ্যা হয়রানির মামলা করা হয়েছে। নানা অপবাদ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার বন্ধ করা গণতন্ত্রবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার চাই এবং হাতুড়িপেটাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদ- চাই।’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চেয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তাসনিম সিরাজ মাহবুব বলেন, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে গলা চেপে ধরার যে প্রবণতা তার নিন্দা জানাচ্ছি। হাসপাতাল থেকে শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা না করে বের করে দেয়ারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সমাবেশে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আলমগীর নিশাদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান ১১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে কোটা সংস্কারের দাবিকে ‘যৌক্তিক’ অভিহিত করে এই আন্দোলনের প্রতি তার ‘সমর্থন’ ঘোষণা করেন। ওইদিন সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবি যৌক্তিক। আমি কোটা সংস্কারের এই যৌক্তিক দাবি সমর্থন করি এবং সরকারের প্রতি বিষয়টি বিবেচনার দাবি জানাই।’ ওইদিন আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলন গণতান্ত্রিক। এই আন্দোলনের প্রতি আমি পূর্ণ সমর্থন জানাই। আমি আইজিপি'র প্রতি আহ্বান জানিয়েছি, ক্যাম্পাসে যেন পুলিশ প্রবেশ না করে। তবে সবার নিরাপত্তার দাবি জানাই।’ (বাংলা ট্রিবিউন/ ১১ ০৪ ২০১৮)

ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ঘোষণার আহ্বান এবং ছাত্রদের আন্দোলনকে তারা নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেন। বিবৃতিতে সমিতি জানায়, ‘শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই কোটা সংস্কার এখন যুগের চাহিদা। সে অনুযায়ী কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ে ঘোষণা করার জন্য আমরা আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালীন কোনোরূপ পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।‘ (শিক্ষক সমিতির বিবৃতি/ ১১ ০৪ ২০১৮)

কিন্তু তিন মাসের ব্যবধানে আজ সেই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কার্যক্রমকে ‘জঙ্গিবাদী’ ধরনের সঙ্গে তুলনা করে উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই উপাচার্য আখতারুজ্জামান। রবিবার সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, জঙ্গিরা যেভাবে শেষ অস্ত্র হিসেবে নারীদের ব্যবহার করে, সেভাবে কোটা আন্দোলনেও ছাত্রীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় এসব মেনে নেবে না। ফৌজদারি অপরাধ করলে আইনের শাসন কার্যকর হতে হবে। তিনি আরো জানান, ‘তালেবান জঙ্গিরা বিভিন্ন গোপন আস্তানা থেকে যে রকম উসকানিমূলক ভিডিও বার্তা পাঠায়, তার অবিকল উগ্র চরমপন্থী মতাদর্শী প্রচারণামূলক ভিডিও আমি নিজে দেখেছি। ..তালেবান নেতা মোল্লা ওমর ও ওসামা বিন লাদেনের মতো ভিডিও বার্তা পাঠানো হচ্ছে।’ (প্রথম আলো/ ০৮ ০৭ ২০১৮)’
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কার আন্দোলকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে তুলনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য (ভিসি) ড. মো. আখতারুজ্জামানের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্টের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।
একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ঢাবি ভিসির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভিসি কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্তদের তালেবান, আল শাবাব এবং বোকো হারামের সঙ্গে তুলনা করে একটি ভিডিওকে ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমি দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিবাদ নিয়ে গবেষণা করছি। আর গবেষণার প্রয়োজনেই সেই ভিডিওটি প্রদর্শনের ওপেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি উপাচার্যকে।’ আলী রিয়াজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেওয়া সেই মন্তব্য পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের ‘জঙ্গি বলে বর্ণনার সময় তাদের তুলনা করেছেন তালেবান, আল শাবাব এবং বোকো হারামের সঙ্গে। তিনি বলেছেন যে, তিনি ফেসবুক ব্যবহার করেন না, কিন্তু তাঁর একজন সহকর্মী তাকে এমন কোনো ভিডিও দেখিয়েছেন যা থেকে তাঁর এই উপসংহার।

আমি দীর্ঘদিন ধরে উগ্র সহিংসবাদ এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিষয়ে পঠন-পাঠনের চেষ্টা করছি; বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সামান্য গবেষণার অভিজ্ঞতাও আছে; সেই আগ্রহ থেকে এবং আমার গবেষণার প্রয়োজনেই আমি জানতে চাইছি- সেই ভিডিওটা কোথায়?
তা ছাড়া উপাচার্য যেহেতু দেখেছেন সেহেতু এটা কোথাও আছে; সেটা দেখার অধিকার বাংলাদেশের মানুষের নিশ্চয় আছে। যদি এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে চান সেইভাবে বিবেচনা করেই উপাচার্য মহোদয় বলুন কোথায় সেই ভিডিও?’

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ড. আখতারুজ্জামানের বক্তব্যে সাখে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন, তার বক্তব্যটি ঢালাও হয়ে গেছে। কোটা আন্দোলনকারীদের সব কাজই ‘জঙ্গিবাদের বহিঃপ্রকাশ’ ঢাবি উপাচার্যের এমন বক্তব্যের সঙ্গে আওয়ামী লীগ একমত নয় বলে জানিয়েছেন কাদের। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের সময় ভিসির বাড়িতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা পুরোপুরি জঙ্গি স্টাইলে হয়েছে। কিন্তু পুরো আন্দোলন জঙ্গিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে ঢালাওভাবে আমি কিংবা আওয়ামী লীগ একমত নয়। ‘আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ ছিলাম। তেমন একটা খোঁজ-খবর রাখতে পারিনি। তবে বলবো, কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি জটিল প্রক্রিয়া, সময় লাগবে। তবে কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কমিটি কাজ করছে,’ বলেন তিনি। কোটা সংস্কারে কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এতদিন কমিটি ছিলো না। এখন ক্যাবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে এ বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে, ইতোমধ্যে বৈঠকও করেছে। তারা কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে। দেশের বাইরে থেকেও অভিজ্ঞতা নেওয়া হবে। সুতরাং আন্দোলনকারীদের বলবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় আস্থা রাখুন।
অতএব হোটেল সাহারা তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আখতারুজ্জামান চিরজীবী হউন। রক্ষা পাক হোটেল সাহারা।

http://www.dailysangram.com/post/337380