৩ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৪৬

অনশনে অসুস্থ দেড় শতাধিক শিক্ষক

এমপিওভুক্তির দাবিতে চলা আমরণ অনশনের অষ্টম দিন পার হলেও সরকারের তরফে কোনো আশ্বাস মিলেনি। এরই মধ্যে অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতিসহ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দেড়-শতাধিক শিক্ষক। যাদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ভর্তি করানো হয়েছে। 

গতকাল সোমবার আন্দোলনের ২৩তম দিনেও খোলা আকাশের নিচে নিজেদের ন্যায্য দাবির জন্য আমরণ অনশন পালন করেছেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি ও নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশনে এতো শিক্ষক অসুস্থ হওয়ার পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস তো দূরের কথা সহানভূতিটুকু দেখাতে কেউ আসেননি। এতে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে শিক্ষকদের মনে।
শিক্ষকদের অনেকেই বলছেন, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর আগে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার সংখ্যা এখন ৫ হাজার দুইশ’ ৪২টি। আর সারা জীবন পড়া-লেখা শেষ করে বেতন-ভাতা ছাড়া এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রায় ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীরা খুব মনবেতর জীবন-যাপন করছেন। যাদের অনেকেরই চাকরির বয়স আর ৫ থেকে ১০ বছর আছে। তাই শেষ জীবনে একটু খুশির আশায় এসব শিক্ষক-কর্মচারী রাস্তায় বার বার নামতে বাধ্য হয়েছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ফের অনশনস্থলে ফিরেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিনয় ভূষণ।
গতকাল তিনি বলেন, আন্দোলন চলাকালে এখন পর্যন্ত আমাদের ১৬৭ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যাদের মধ্যে ঢামেকে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন শিক্ষক। এদের মধ্যে ফেডারেশনের সভাপতি মাহমুদুন্নবী ডলারও রয়েছেন। বাকিদের শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে প্রেস ক্লাবের সামনে। তিনি বলেন, এই খাতে বরাদ্দ কম থাকলেও সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু করাসহ দুইটি শর্ত যোগ করে ইতিমধ্যেই আমরা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আমরা আশা করছি আমাদের দাবি পূরণ হবে। শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবে। আর যতক্ষণ আমাদের দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।

 

http://mzamin.com/article.php?mzamin=124018&cat=10/