৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, বুধবার, ৯:৪৯

রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। তবে আলোচ্য মাসে রফতানি আয়ের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আলোচ্য মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম রফতানি আয় হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে রফতানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দশমিক ২৩ শতাংশ কম। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল ২ হাজার ১ কোটি ৩২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের শুধু জানুয়ারিতে বিভিন্ন খাতের রফতানিতে আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এই মাসে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪৯ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এই মাসে লক্ষ্যমাত্রার ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের জানুয়ারির চেয়ে রফতানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে তৈরি পোশাকের নিটওয়্যার খাতে আয় হয়েছে ৮৯০ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। ওভেন খাতের পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ৮৭৪ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেশি।
গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারির চেয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে হিমায়িত খাদ্য রফতানি আয় ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া কৃষি পণ্য রফতানি ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানিতে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্য রফতানিতে আয় ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ কমেছে।

http://www.dailysangram.com/post/318166