৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ১০:০৯

মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে। গতকাল বেলা সোয়া ২টায় প্রধান বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত পত্রে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেবেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
এ দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বরত আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা গত রাতে পদত্যাগ করেছেন। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পারিবারিক সূত্র। সূত্র জানিয়েছে, আগামী রোববার থেকে তিনি আর আপিল বিভাগে বসবেন না। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পরপরই বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা সুপ্রিম কোর্টে তার দফতর থেকে যাবতীয় বই, কাগজপত্র ও মালামাল বাসায় নিয়ে আসেন।

এ দিকে গত রাত ৮টায় নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় অতিবাহিত করে চলে যান।
জ্যেষ্ঠতম কে ডিঙ্গিয়ে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হলে আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা পদত্যাগ করবেন এমন গুঞ্জন বেশ আগে থেকেই সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে। বাস্তবে সেটিই ঘটল।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদিন গতকাল প্রধান বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব বলেন, নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার নিয়োগ আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। তবে আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগপত্র বিষয়ে তিনি বলেন, বাসায় চলে আসায় তিনি এ বিষয়ে তখনো জানতে পারেননি।
এ দিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো: জহিরুল হক এই প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন। এতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর থেকেই এই পদ খালি ছিল। বেশ কিছু দিন ধরেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। গতকাল বঙ্গভবন থেকে নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়ায় এখন দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতি হয়েছেন জানার পর গতকাল সকালে বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা তার চেম্বার থেকে বইপত্র ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। এ বছরের নভেম্বরে বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার অবসরে যাওয়ার কথা। অন্য দিকে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে যাবেন আরো তিন বছর পর। বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার দুই বছর পর ২০০১ সালের শুরুতে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন শুরু করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএনপি সরকার আমলে ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক পদে উন্নীত হন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বিচারক হিসেবে কাজ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিভিন্ন চাপের মধ্যে গত অক্টোবরে প্রথমে এক মাসের ছুটিতে যান সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপর গত ১০ নভেম্বরে পদত্যাগ করার পর থেকে প্রধান বিচারপতির পদটি দীর্ঘ দিন থেকে শূন্য ছিল। রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেন।
বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে রেখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে আনার গুঞ্জন সুপ্রিম কোর্টে কয়েক দিন ধরেই চলছিল।
নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি গঠিত দু’টি সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আপিল বিভাগে এখন যে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন, তার মধ্যে মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা জ্যেষ্ঠতম। তার পরেই বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। জ্যেষ্ঠতার ক্রমে এরপর রয়েছেন বিচারপতি মো: ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি ইমান আলী অবসরে যাবেন। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী অবসরে যাবেন ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এবং বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার অবসরে যাবেন ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
গতকাল দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা কোনো নাম প্রস্তাব করিনি। এটি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। এতে হাত দেয়ার সাহস আমার নেই।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮১ সালে কুমিল্লা জেলা আদালতে এবং ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মুস্তফা আলী এবং মায়ের নাম বেগম কাওসার জাহান। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। তবে কুমিল্লা শহরের আদালতপাড়ার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে তার পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। তিনি বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া লন্ডন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ওরিয়েন্টাল আফ্রিকান স্টাডিজ ও ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড লিগ্যাল স্টাডিজ থেকে ছয় মাসের কমনওয়েলথ ইয়াং ল ইয়ার্স কোর্স করেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটিতে যাওয়া, পদত্যাগ ও নানা নাটকীয়তা : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়ার পর ব্যাপকভাবে আলোচিত-সমালোচিত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটিতে বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় গত ১০ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। ওই দিন তিনি সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে। ১১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পৌঁছার কথা গণমাধ্যমকে জানান।
এরপর গত ১৩ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকে।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

ষোড়শ সংশোধনীর লিখিত রায় প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র সমালোচনা এবং নানা নাটকীয় ঘটনার পর গত ৩ অক্টোবর থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। এরপর ১৩ অক্টোবর দেশ ত্যাগ করেন তিনি। প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা, ছুটি এবং দেশ ত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ওঠে। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অভিযোগ করেন প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন, তাকে জোর করে ছুটি দিয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তার পদত্যাগের খবর প্রকাশের পর বিএনপি নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে পদত্যাগও করানো হয়েছে জোর করে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ৩ অক্টোবর সাংবাদিকদের জানান, অসুস্থতার কারণে প্রধান বিচারপতি ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটিতে গেছেন। ১৩ অক্টোবর দেশ ত্যাগের সময় প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেন, আমি অসুস্থ না। আমি আবার ফিরে আসব। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বারবার সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধান বিচারপতির পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ সুদূর পরাহত।

সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে গত ২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার আগের দিন অসুস্থতার কথা জানিয়ে এক মাসের (৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর) ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশে যেতে আরো দশ দিনের (২ থেকে ১০ নভেম্বর) ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
গত ২ অক্টোবর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ওই এক মাসের জন্য প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটি বেড়ে যাওয়ায় বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার দায়িত্বকালও বাড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ দিকে বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বাসভবনের গেটে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য দিয়ে যান প্রধান বিচারপতি। পরদিন বিবৃতি দিয়ে প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সংবলিত দালিলিক তথ্যাদি আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন। এর মধ্যে বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ আরো সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ১৯৭৪ সালে বিচারিক আদালতে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৬ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন ১৯৮২ সালে। এরপর ১৯৯৯ সালে আপিল বিভাগে প্র্যাকটিস শুরু করেন।
১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরে ২০০১ সালের হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।
এরপর ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
২০১৭ সালের ২ অক্টোবর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এক মাসের ছুটিতে গেলে ৫ অক্টোবর আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হন। চলতি বছরের ১০ নভেম্বর তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/290632