৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, শনিবার, ১০:০০

মহাসড়কের বাঁক সোজা করতে ১০৩ কোটি টাকা

আড়াই বছরেও বাঁক সোজা হয়নি, অগ্রগতি ২৪.২২ শতাংশ

মহাসড়কের বাঁক সোজা করার প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এ বাঁক সোজা করতেই খরচ দাঁড়াচ্ছে ১০৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। প্রতি কিলোমিটার রাস্তার জন্য ব্যয় হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা। আর গত আড়াই বছরে প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদে বাঁক সোজা করা সম্ভব হয়নি। এ সময়ে ব্যয় হয়েছে মাত্র ১৮ কোটি টাকা বা মূল অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের মাত্র ২৪.২২ শতাংশ বলে প্রকল্প পর্যালোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়া শহরের যানজট কমাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত সড়কের একটি অংশের বক্রতা সরলীকরণে প্রকল্প নেয়া হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে। যার ব্যয় ধরা হয় ৭৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের জুনে অর্থাৎ আড়াই বছরে শেষ করার কথা ছিল। এখানে এ বক্রতা সোজা করতে ৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করার কথা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ মাস আগে এসে ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে বিদ্যমান এলাইনমেন্টে ধর্মীয় স্থাপনা থাকায় সড়কের দিক পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর এ কারণে নতুন করে ১.৮৭ হেক্টর জমি ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকায় অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে কমছে মাটির কাজে ব্যয়। অনুমোদিত ১৪টি কালভার্টের পরিবর্তে এখন ২০টি কালভার্ট করতে হবে।

পর্যালোচনায় বলা হচ্ছে, এক শ’ ফিট প্রস্তে অধিগ্রহণকৃত এলাইনমেন্টটি তৃতীয় কিলোমিটারে সনাতন ধর্মাবলম্বী নাথ সম্প্রদায়ের সমাধিস্থান এবং মন্দিরের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে চলে যায়। ২০০৭ সালে অধিগ্রহণকৃত ওই স্থানটি সময়ের ব্যবধানে সমাধিস্থল এবং মন্দিরের পরিধি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ওই স্থানে বসবাসকারী নাথ সম্প্রদায়ের অসহযোগিতার কারণে সড়কের ৩ শ’ মিটার জায়গায় সড়কে নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি বলে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বলছে।
আর পরিকল্পনা কমিশন বলছে, মূল অনুমোদিত প্রকল্পে সড়কের এলাইনমেন্ট বরাবর কোনো স্থাপনা নেই মর্মে যাচাই কমিটির কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয় বলে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/290596